অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় ২১শে আগস্ট ২০২৩ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ এবং এ উপলক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মান্যবর হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান।
উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহিদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনায় বক্তারা ২১ আগস্টে নিহত আইভি রহমানসহ সকল শহিদের স্মরণ করেন এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় সভানেত্রী ও বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষায় তাদের আত্মত্যাগের বিষয়টি আলোকপাত করেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে চিরতরে ধ্বংস করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের হীন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন। তাঁরা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা যদি সেদিন সৌভাগ্যবশত বেঁচে না যেতেন তাহলে বাংলাদেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হতো। তাঁরা বলেন, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার সাথে ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সম্পৃক্ততা এবং উদ্দেশ্য একই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই শুধু এই অপশক্তিকে পরাজিত ও অপ্রাসঙ্গিক করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে মান্যবর হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যকে স্মরণ করেন। তারপর ২১শে আগস্টে নিহত সকল শহিদকে স্মরণ করেন এবং তাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মান্যবর হাইকমিশনার বলেন, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টের ঘটনা বাংলাদেশ তথা সারাবিশ্বের জন্য একটি কালো অধ্যায় এবং ইতিহাসে একটি জঘন্য নারকীয় ঘটনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কমপক্ষে ২০ বার হত্যার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মান্যবর হাইকমিশনার আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত হবে। ১৯৭১ সালে পরাজিত শক্তিরা পুনরায় অনেক সক্রিয় এবং তারা আগামী নির্বাচন বানচাল করে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে তিনি মনে করেন। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি এক হয়ে এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিভিন্ন সামাজিক খাতে যে প্রভূত উন্নয়ন করেছে তিনি তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ভূটানের পরেই বাংলাদেশের স্থান। মান্যবর হাইকমিশনার সবাইকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান এবং একত্রে কাজ করতে বলেন। তিনি চলমান উন্নয়ন ধারাকে সমুন্নত রাখতে এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে কানাডা প্রবাসী সকল ভাই-বোনকে বিশেষ অনুরোধ করেন। মান্যবর হাইকমিশনার আবারো সকল বীর শহিদের আত্মার শান্তি কামনা করে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
মোনাজাতের মাধ্যমে শোক অনুষ্ঠান শেষ হয়।