কানাডার সংবাদ

অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর জন্মবার্ষিকী পালন

অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর জন্মবার্ষিকী পালন

অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯২ তম এবং শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী পালন।

বাংলাদেশ হাইকমিশন, অটোয়া, কানাডা ০৮ আগস্ট ২০২২ তারিখ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯২ তম এবং জ্যেষ্ঠ পুত্র শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৩ তম জন্ম বার্ষিকী পালন করে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরীত মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন অত্র মিশনের র্কমর্কতাবৃন্দ। বাণী পাঠের পর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের উপর নির্মিত দু’টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়রে প্রফেসর ড. নাসরনি আহমদ, মাননীয় সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সর্ম্পকতি স্থায়ী কমটিরি সদস্য জনাব শাহ ই আলম, এমপি , প্রফেসর ড. সাজ্জাদুর রহমান এবং প্রফেসর ওমর সেলিম শের। আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রফেসর ড. নাসরনি আহমদ বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন একজন মহীয়সী নারী। তিনি বগেম মুজবিকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও পারবিারকি জীবনের অবিচ্ছেধ্য সঙ্গী হসিাবে অভিহিত করনে। বেগম মুজিব রাজনীতির পাশাপাশি দক্ষতার সাথে পরিবারও পরিচালনা করছেনে বলে তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি তাঁর সাদাসিধে জীবন যাপনের উপর আলোকপাত করেন । তিনি আরো বলনে, বঙ্গমাতাকে জীবনে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হয়ছে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তিনি প্রত্যক্ষভাবে বঙ্গবন্ধুসহ যারা আসামি ছিলেন তাদের পক্ষে কাজ করেছেন । মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব শাহ ই আলম, এমপি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বলনে, বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের বড় একটা অংশ কারাগারে ছিলেন এবং কারাবরণকালে তাঁর অর্বতমানে বঙ্গমাতা তাঁর কাছ থেকে র্বাতা নিয়ে দলের নেতা কর্মীদের সুসংগঠিত করছেনে। এমনকি দলকে আরো কিভাবে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া যায় এবং সেই সাথে সাহস যুগিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর অবদানের কথা জাতি র্সবদা স্মরণ করবে অনুষ্ঠানের অন্য দুইজন বক্তা প্রফেসর ড. সাজ্জাদুর রহমান এবং প্রফেসর ওমর সেলিম শের তাঁদের বক্তব্যে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর সাথে তাঁদের ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করেন। তারা তাঁকে একজন বন্ধুসুলভ, মেধাবী এবং বহুপ্রতিভার অধিকারী তরুণ হিসাবে তাঁকে বর্ণনা করেন। তাঁরা বলনে, শেখ কামাল দক্ষ সংগঠক হিসেবে তিনি বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে এবং বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন যা বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিশেষত যুব সমাজের কাছে চিরকাল অফুরন্ত অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে মান্যবর হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে । তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বঙ্গমাতাকে বঙ্গবন্ধুর জীবনের রাজনৈতিক প্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলনে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ তাঁকে বঙ্গমাতা অভিষেকে ভূষিত করেছে। বাঙালির ছয়দফা ও এগার দফা বাস্তবায়নে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। মান্যবর হাইকমশিনার বলেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে যা জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন সোনার বাংলার গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আর এই স্বাধীন সোনার বাংলা গঠনে বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা যুগিয়েছে। তিনি শহিদ শেখ কামালকে বাঙালি জাতির বিশেষ করে যুব সমাজের জন্য একজন রোল মডেল হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের বিনয়ী এবং নিরহংকার জীবনের কথা উল্লেখ করে তাঁকে মেধাবী, সাংস্কৃতিমনা, ক্রীড়ানুরাগী এবং দক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে স্বরণ করেন। তিনি বঙ্গমাতা এবং শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের গৌরবময় জীবন ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সকলকে জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান। মান্যবর হাইকমিশনার আমন্ত্রিত বক্তাদের ধন্যবাাদ জানান। হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত আসামী নূর চৌধুরীকে কানাডা হতে বাংলাদেশে দ্রুত ফেরত নেয়ার অভিপ্রায় ঘোষণা করেন এবং এ বিষয়ে কানাডাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান। এছাড়াও কানাডা হতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী সকলকে আইনের মুখোমুখি করায় সচেষ্ট থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং এ ধরনের অপপ্রচার বন্ধে প্রবাসীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান পদ্মা সেতুকে বঙ্গমাতার নামে নামকরণরে জন্য সরকাররে কাছে উদাত্ত আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালসহ জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।


 

এসএস/সিএ

 


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

 

 

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন