দেশের সংবাদ

সেই কৃষকের জন্য আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা

আর্থিক পুরস্কার
ফসলের মাঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি আঁকেন কৃষক আবদুল কাদির

সেই কৃষকের জন্য আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা

শস্য ক্ষেতে সরিষা ও লালশাক দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, শাপলা, নৌকা, জাতীয় পতাকা ও মুজিব শতবর্ষের প্রতীক আঁকা কৃষকের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম কৃষককে নান্দনিক কাজে আরো অনুপ্রাণিত করার জন্য দশ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেন। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হবে বলে বুধবার সকালে সমকালকে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন।

চারদিকে যখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য থেকে শুরু করে সব ভাস্কর্য নিয়েই চলছে অপপ্রচার ও অপতৎপরতা, তেমন সময়েই এসেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের কৃষক আবদুল কাদিরের এই শিল্পকর্ম। মুজিববর্ষ উপলক্ষে নিজের ৩৩ শতক জমিতে স্থানীয় পাড়া খালবলা বন্ধুমহল ডিজিটাল ক্লাবের সদস্যদের সহযোগিতা নিয়ে গত ১ ডিসেম্বর থেকে ভিন্ন এক সৃষ্টিসুখের উল্লাসে মেতে ওঠেন কাদির। জমিটিতে অবয়ব অঙ্কন করা হয় জাতির জনকের, পাশে রাখা হয় স্মৃতিসৌধ ও জাতীয় পতাকাকে, রাখা হয় ওপরের দিকে শাপলা ও মুজিব শতবর্ষের ও জাতির পিতার ছবির নিচে নৌকা প্রতীক। ছবির মতো চারদিকে বৃত্ত টেনে মুদ্রার আকার দেওয়া হয়। বৃত্তের চারপাশে দেওয়া হয় চারটি লাভ চিহ্নও। রেখা টেনে এসব আঁকার পর সেগুলোতে রবিশস্য লালশাক ও সরিষা শাকের বীজ বপণ করেন তিনি। লাল শাক ও সরিষাগুলো বেড়ে উঠতে উঠতে এখন স্পষ্ট হয়ে উঠছে জাতির পিতার প্রতিকৃতি, শাপলা, নৌকা, জাতীয় পতাকা ও মুজিব শতবর্ষের প্রতীক।

কৃষক কাদিরের নান্দনিক শিল্পকর্ম নিয়ে মঙ্গলবার সমকালে ‘ফসলের মাঠে কৃষকের স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কৃষক কাদিরের অনন্য এই শিল্পকর্মের ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ফসলের মাঠে এবারই প্রথম কোনো কৃষক জাতির পিতার প্রতিকৃতি আঁকলেন। ফসলের মাঠে কৃষকের আঁকা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীকন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন। বিষয়টি নিয়ে বুধবার সমকালে ‘ফসলের মাঠ থেকে ফেসবুকের হিরো’ শিরোনামে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।

কৃষক আবদুল কাদির বলেন, কোনো কিছু পেতে নয়, জাতির জনকের প্রতি ভালোবাসা থেকেই ফসলের মাঠে বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন তিনি।

ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ি ইউনিয়নের পাড়া খালবলা গ্রামের মো. তারা মিয়ার ছেলে আবদুল কাদির। দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক ৪১ বছর বয়সী আবদুল কাদির পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় লেখাপড়া বাদ দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। গেল বছর একই জমিতে ‘ভালোবাসার জমিন’ করে আলোচনায় আসেন কৃষক কাদির।

সূত্রঃ দৈনিক সমকাল

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন