দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলিম কমিউনিটি উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী অনলাইন ইসলামিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারির কারণে এবার অনলাইনে এই কর্মশালাটির আয়োজন করেছেন কোরিয়া মুসলিম কমিউনিটি।
ইসলামিক কর্মশালাটি শুক্রবার কোরিয়ার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে রাত রাত ৮টা পর্যন্ত চলে এবং শনিবার বিকেল ৬টা থেকে ইসলামি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কোরিয়া মুসলিম কমিউনিটি ফেসবুক গ্রুপের পেজ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ অনুষ্ঠানটি দেখেছেন এবং শেয়ার করেছেন।
ইসলামিক কর্মশালা পরিচালানা করেন, কামরুল হাসান (পিএইচডি গবেষক ও খতিব নামিয়াং মসজিদ)। প্রধন অতিথি হিসেবে ছিলেন, ড. মুফতি আবুল কালাম আজাদ বাসার (প্রধান মুহাদ্দিস, মদীনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসা, ঢাকা)।
প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক স্কলার, লেখক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. আবদুস সালাম আজাদী (ডিরেক্ট, কিউএনএস একাডেমিক লন্ডন)।
বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন, হাফেজ মাওলানা সাইয়্যেদ আব্দুর রহমান ( ইমাম ও খতিব, আনিয়াং মসজিদ, দক্ষিণ কোরিয়া)।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম (সভাপতি, কোরিয়া মুসলিম কমিউনিটি)। অনুষ্ঠানের মাঝে-মাঝে সুরেলা কন্ঠে ইসলামি সংঙ্গীত পরিবেশন করেন, আকিল উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল হাসিব, আহসান উল্ল্যাহ।
কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে শিল্পী আমান উল্লাহ আমান পরিচালনায় ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সুমধুর কন্ঠে ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেন একঝাঁক তরুণ শিল্পী। ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত ক্বারি আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী, সুর সম্রাট শিল্পী মশিউর রহমান, শিল্পী লিটন হাফিজ চৌধুরী ও শিল্পী ওবায়দুল্লাহ তারেক।
আরও ছিলেন শিল্পী রবিউল ইসলাম ফয়সাল, নিয়াজ মাখদুম, আব্দুল্লাহ আল হিসাম, সাইফুল ইসলাম শশি, আব্দুল্লাহ হাসিব, ইফতেখারুজ্জান। শিল্পীদের সুরেলা কন্ঠে মনোরম একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয় ভার্চুয়াল জগতে।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য হাফেজ জামাল উদ্দীন খান (সহ-সভাপতি কোরিয়া মুসলিম কমিউনিটি)।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়াতে নববর্ষ ‘সল্লাল’ উপলক্ষে টানা চার দিনের ছুটিতে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছেন কোরীয় সরকার।
কোরিয়ায় করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে না আসায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে বলা হয়েছে। এই ছুটির মধ্যে সংক্রমণ বড়তে পারে বলে ধারণা করছেন কোরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা কেন্দ্রের (কেসিডিসি)।
তাই কোরিয়ান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনার এই পরিস্থিতিতে পাঁচ জনের বেশী একত্র হওয়া নিষিদ্ধ ও দন্ডনীয় অপরাধ।
সূত্রঃ দৈনিক যুগান্তর
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন