দেশের সংবাদ

কমলগঞ্জে বিয়ের ৫ দিনের মাথায় পুলিশ সদস্যের আকস্মিক মৃত্যু


কমলগঞ্জে বিয়ের ৫ দিনের মাথায় পুলিশ সদস্যের আকস্মিক মৃত্যু

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পশ্চিম বিভাগে কর্মরত নুর উদ্দীন (২২) নামের এক পুলিশ সদস্যের বিয়ের ৫ দিনের মাথায় আকস্মিক মৃত্যু ঘটেছে। সে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের মৃত কেয়াম উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে গত ১ জুলাই বাড়িতে এসে ১০ জুলাই বিয়ে করেছিলো সে। বিয়ের ৫ দিনের মাথায় বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর রাত ৪টায় নিজ বাড়িতে মারা যায় পুলিশ সদস্য নুর উদ্দীন।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিলে পুলিশ সদস্য নুর উদ্দীন গত ১ জুলাই আদমপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও নিজ গ্রামে আসেন। বাড়িতে এসে গত ৫ দিন আগে একই গ্রামে বিয়ে করেন। বিয়ের ৫ দিনের মাথায় বুধবার ভোর রাত ৪টায় তিনি অসুস্থ বোধ করলে তার স্ত্রী বাড়ির সবাইকে ডেকে আনার পর তাকে দ্রæত কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার সকালে পুলিশ সদস্যরা মৃত পুলিশ সদস্য নুর উদ্দীনের বাড়িতে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে অস্বাভাবিক কোন কিছু লক্ষ্য করা যায়নি। এখন পর্যন্ত (বুধবার বেলা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত) এ মৃত্যু নিয়ে এ পরিবারের কারো কোন অভিযোগ নেই।

কমলগঞ্জে পছন্দের পাত্রীর সাথে বিয়ে না দেয়ায় সিএনজি চালকের আত্মহত্যা

পরিবারের সদস্যরা পছন্দের পাত্রীর সাথে বিয়েতে অসম্মতি জানালে অভিমানে আত্মহনের পথ বেছে নিয়ে নিয়েছে এক সিএনজি চালক। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভার বড়গাছ এলাকায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জ পৌরসভার বড়গাছ এলাকার মজম্মিল আলির ছেলে স্থানীয় সিএনজি চালক আব্দুল কাইয়ুম (২২) পরিবারের উপর অভিমান করে গত মঙ্গলবার রাতের কোন এক সময় তার বাড়িতে কীটনাশক পান করে। পরবর্তী সময়ে বাড়ির লোকজন ঘটনাটি জানতে পেরে কাইয়ুমকে দ্রæত উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থার অবনতি দেখে পরবর্তীতে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, আব্দুল কাইয়ুম তার বাড়ির পাশের এক কিশোরীর সাথে মন দেয়া নেয়া চলছিলো। দীর্ঘদিন তাদের সম্পর্ক অটুট থাকায় জীবন সঙ্গীনি করতে ওই কিশোরীকে তার বুকে ধারন করে। এতে বিপত্তি ঘটে তার পরিবারের অন্য সদস্যদের। এ নিয়েই পরিবারের সদস্যদের দ্বন্ধ সৃষ্টি হয়। আর এ অভিমান করেই কাইয়ুম মঙ্গলবার রাতে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান জানান, যেহেতু তার মৃত্যু মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে হয়েছে। সে হিসাবে সদর মডেল থানায় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

 

সিএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

সংবাদটি শেয়ার করুন