দেশের সংবাদ ফিচার্ড

কমলগঞ্জে ১৬০টি মন্ডপে পূজার আয়োজন: চলছে প্রস্তুতি

কমলগঞ্জে ১৬০টি মন্ডপে পূজার আয়োজন: চলছে প্রস্তুতি

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) মহাপঞ্চমীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় উৎসব। শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে কমলগঞ্জের সর্বত্র চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিমা শিল্পীদের কাজ আর পূজা কমিটির ব্যস্ততা অত্যাসন্ন দুর্গোৎসবের জানান দিচ্ছে।

কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৬০টি মন্ডপে পূজা আয়োজন করা হয়েছে। তার মধ্যে সার্বজনীন ১৪৩টি, পারিবারিক ১৭টি পূজোর আয়োজন হয়েছে।

জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে মোট ১৬০টি মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। কমলগঞ্জ পৌর এলাকায় ০৮টি মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে।। ১নং রহিমপুর ইউনিয়নে ২০টি মন্ডপে, ০২নং পতনঊষার ইউনিয়নে ১৪টি মন্ডপে, ৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নে ১৬টি মন্ডপে, ৪নং শমসেরনগর ইউনিয়নে ১৪টি মন্ডপে, ৫নং কমলগঞ্জ ইউনিয়নে ৮টি মন্ডপে, ৬নং আলীনগর ইউনিয়নে ২২টি মন্ডপে, ৭নং আদমপুর ইউনিয়নে ১৩টি মন্ডপে, ৮নং মাধবপুর ইউনিয়নে ১৯টি মন্ডপে, ৯নং ইসলামপুর ইউনিয়নে ০৯টি মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া পারিবারিক ১৭টি পূজার আয়োজন করা হয়েছে।

সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষটিকে বলা হয় দেবীপক্ষ। দেবীপক্ষের সূচনা অমাবস্যার নাম মহালয়া। এর আগের পূর্ণিমা তিথি থেকে পিতৃপক্ষের সূচনা থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তর্পণ করে তাঁদের পূর্বপুরুষদের প্রতি প্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। মহালয়ার দিন তর্পণ নিবেদন সম্পন্ন হয়।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পবিত্র মহালয়া। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মহাপঞ্চমী, ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ২ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ৩ অক্টোবর মহাঅষ্টমী, ৪ অক্টোবর মহানবমী ও ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমী।

গত দুই বছর করোনার কারণে পূজার আয়োজন তেমন ঝাকঝমক ছিল না। এবছর পূজাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ দেখা যাচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজার মন্ডপে মন্ডপে চলছে ঝাকঝমক প্রস্তুতি।

পূজার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে কমলগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণীত দেবনাথ জানান, কমলগঞ্জ উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে পূজা আয়োজনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সুষ্ট, সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও উসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকসহ সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দারের জন্য মন্ডপ কমিটিগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে।



সংবাদটি শেয়ার করুন