খাদ্যের অধিকার |||| বিশ্বজিৎ মানিক
অলি ফুলে মধু খায় – ফিঙে পাশে নাচে
কতো সুন্দর ফুল ফোটেছে – বাবুর বাড়ির গাছে।
গাছে গাছে কতো ফুল – নানান রঙের বাহার
তার মাঝেতেই, লুকিয়ে আছে – পতঙ্গদের আহার।
মৌমাছিরা দলে দলে – করছে মধু চয়ন
তাইনা দেখে খোকা বাবুর – জুড়ায় দু’টি নয়ন।
বাবু যখন সকাল বেলা – ফুল তুলতে যায়
ভীমরুল নামের বোলতা এসে – কামড়ে দিলো পায়।
বোলতার কামড় খেয়ে বাবুর – রাতে আসে জ্বর
ছাড়লো সে জ্বর, কামড় খাবার – তিনটে দিনের পর।
জ্বরের প্রকোপ, ছিল বাবুর – এতো এতোই বেশি
তিনটে দিনেই, ছিলোনা তার – মুখে কোনো হাসি।
ফুল বাগানের, কথা যখন – বাবুর মনে হয়
বোলতা নিধন, করবো আমি – বউকে ডেকে কয়।
বউ বলে তার, হাসিমুখে – সুস্থ হয়ে যাও
জ্বর সারেনি, এখন তোমার – বলছো কথা ফাও।
গেলে এখন, দেবে তোমায় – আরো দু’টি কামড়
সপ্তাহান্তেও ছাড়বে না আর – তোমার গায়ের জ্বর।
বউয়ের কথায়, শান্ত হয়ে – খোকা ভাবে মনে
আর ক’টা দিন, সবুর করো – মারবো আমি প্রাণে।
রাতের বেলা, খাবার খেয়ে – ঘুমিয়ে যখন খোকা
স্বপ্ন যোগে, বোলতা এসে – দিলো তাকে ধোঁকা।
বোলতা বলে, খোকাবাবু – সাবধান হয়ে যাও
নইলে এবার, কামড়ে দেবো – তোমার দু’টি পা ও।
স্বপ্ন দেখে, খোকাবাবু – ভীষণ ভীত হয়ে
বিছানাতেই যুদ্ধ করে – কোল বালিশটা লয়ে।
স্বপ্ন ভঙ্গ, হবার পরে – জাগলো যখন বাবু
ভাবলো মনে, স্বপ্ন যোগে – করলে রে তুই কাবু।
ফুলের মাঝে, খাদ্য যদি – থেকে থাকে তোর
তুলবো না আর, ফুলগুলো সব – খাদ্য গ্রহণ কর।
০৩/০৭/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।