দেশের সংবাদ ফিচার্ড

খুলল পদ্মা সেতুর দুয়ার

খুলল-পদ্মা-সেতুর-দুয়ার
খুলল পদ্মা সেতুর দুয়ার

খুলল পদ্মা সেতুর দুয়ার

‘জয় বাংলা’ বলে পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টায় উদ্বোধন করেন তিনি। এর আগে টোলপ্লাজা থেকে নিজ হাতে টোল দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের সামনে এসে পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন তিনি। দেশের মধ্যভাগ ও পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে ছিল এই পদ্মা। খরস্রোতা সেই পদ্মার ওপর সেতু নির্মাণের মধ্যে দিয়ে দূর হলো সেই বাধা, আর সেতুর উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে খুলে গেল দখিনা দুয়ার।

আগামীকাল থেকে সেতুতে শুরু হবে যান চলাচল। পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরুর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্তের দ্বার উম্মোচন হবে। ২১ জেলার মানুষের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বহুমুখি অর্থনৈতিক দ্বার উন্মোচন হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩ ঘণ্টা, আর কুয়াকাটা যেতে সময় লাগবে মাত্র ৫ ঘণ্টা। ফলে বদলে যাবে পদ্মার দক্ষিণ পাড়ে থাকা জেলাগুলোর মানুষের ভাগ্য। জেলায় উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনেও বড় ভূমিকা থাকবে পদ্মা সেতুর।

জীবন যাত্রার মান ও ভাগ্যের পরিবর্তন আসবে নড়াইলের মানুষেরও। রাজধানীর সঙ্গে এ জেলার যোগাযোগে আসবে ব্যাপক পরিবর্তন। নড়াইলের ওপর দিয়ে যাবে এশিয়ান হাইওয়ে সড়কটি, যেটা মিশবে বেনাপোল স্থল বন্দরে। ফলে নড়াইলসহ ঢাকার সাথে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।

এই সেতু যোগাযোগের মেলবন্ধনই তৈরি করছে না, উন্মুক্ত করে দিচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যের অবাধ সম্ভাবনাকে। এই সেতু ঘিরে শরীয়তপুরের আবাসন খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এ জেলায় তৈরি হচ্ছে নতুন-নতুন শপিংমল, মার্কেট ও স্বতন্ত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর এ মহাযজ্ঞের হাত ধরে ব্যাপক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবন-মানেরও ব্যাপক উন্নয়নের স্বপ্ন বুনছে জেলার ব্যবসায়ীরা।

যুগের পর যুগ ধরে এই একটি সেতুর অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগ সহ্য করেছেন কোটি কোটি মানুষ। সেতু ঘিরে ব্যাপক পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে পিরোজপুরের মানুষ। উচ্চ শিক্ষা, কর্মসংস্থান, পর্যটন, পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে এ জেলার জন্য আমূল পরিবর্তন আসবে।

ঝালকাঠি জেলার সর্বস্তরের মানুষও নতুন-নতুন স্বপ্নের জাল বোনা শুরু করেছে। জেলা সদর থেকে লঞ্চ বা বাসযোগে ঢাকা পৌছাতে সময় লাগতো ১২ থেকে ষোল ঘন্টা। আবার কখনও ফেরীঘাটে যানজটের কারনে সময় লেগে যায় ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে মাত্র পাঁচ মিনিটে বাসযোগে সেতু পাড়ি দিয়ে সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টায় পৌঁছানো যাবে ঢাকা। এ যেন এক স্বপ্ন এ জেলার মানুষের কাছে।

এফআই/সিএ

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

সংবাদটি শেয়ার করুন