গ্রিসের এথেন্সস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে পালিত হলো “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ”
যথাযোগ্য মর্যাদায় উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে গ্রিসের এথেন্সস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে পালিত হলো “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” দিবস। এই উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এইদিন সকালে গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, বাংলাদেশ কমিউনিটি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী, জেলা ও বিভাগভিত্তিক আঞ্চলিক সংগঠন, নারী নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদর্শন করা হয়।
প্রবাসী নেতৃবৃন্দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত আলোচনায় রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, জাতির পিতার ভাষণের ইউনেস্কো কর্তৃক পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি আমাদের জাতির জন্য এক গর্বের বিষয়। রাষ্ট্রদূত বর্তমান প্রেক্ষাপটে জাতির পিতার কালজয়ী ভাষণের শ্বাশত প্রাদসঙ্গিকতা তুলে ধরে নতুন প্রজন্মকে ৭ই মার্চের ভাষণ থেকে প্রেরণা নিয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বক্তারা জাতির পিতার অমূল্য অবদানকে স্মরণ করেন, তাঁদের বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন । তাঁরা জাতির পিতার মূল্যবোধ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার অঙ্গীকার করেন।