ট্রাম্প উঠতেই জাতিসংঘের চলন্ত সিঁড়ি থেমে গেল, রহস্য ফাঁস করল ইউএন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পৌঁছেই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তিনি সদর দপ্তরের চলন্ত সিঁড়িতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে সেটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। অপ্রত্যাশিত এ ঘটনায় ট্রাম্প পরে সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দিতে গিয়ে নিজেই হাসিঠাট্টা করেন।
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের সামনে ভাষণ দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, “জাতিসংঘ থেকে আমি দুটি জিনিস পেয়েছি—একটি খারাপ চলন্ত সিঁড়ি এবং একটি খারাপ টেলিপ্রম্পটার।” এ মন্তব্যে উপস্থিত বিশ্বনেতাদের অনেকে হেসে ওঠেন। কারণ ওই দিন তার বক্তৃতার সময় টেলিপ্রম্পটারও সঠিকভাবে কাজ করেনি।
ঘটনার তদন্ত শেষে জাতিসংঘ জানিয়েছে, সিঁড়িটির নিরাপত্তা ফাংশন দুর্ঘটনাক্রমে সচল হয়ে গিয়েছিল। মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, প্রেসিডেন্টের ভিডিওগ্রাফার চলন্ত সিঁড়িতে উল্টোদিকে উঠে ভিডিও ধারণ করছিলেন। তখনই তিনি ভুল করে ‘সেফটি ফাংশন’ সক্রিয় করে ফেলেন। এই ফাংশনের মূল কাজ হলো দুর্ঘটনা ঠেকানো, যেন কেউ যন্ত্রাংশে আটকে না যায়।
সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে জাতিসংঘের চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে উঠছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। তাঁদের ভিডিওগ্রাফার তা ক্যামেরায় ধারণ করছেন । ছবি: রয়টার্স
তবে হোয়াইট হাউস ঘটনাটিকে হালকাভাবে নেয়নি। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্সে পোস্ট করে লেখেন, “প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি চলন্ত সিঁড়িতে ওঠার সময় যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি বন্ধ করে থাকে, তবে তাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করে তদন্ত করা উচিত।”
জাতিসংঘ তাদের অবস্থানে অনড় থেকে বলছে, বিষয়টি পুরোপুরি দুর্ঘটনাজনিত। তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
জাতিসংঘের টেলিপ্রম্পটারে কথা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
টেলিপ্রম্পটার কাজ না করায় ট্রাম্প কড়া ভাষায় বলেন, “যিনি এই টেলিপ্রম্পটার চালাচ্ছেন, তিনি বড় সমস্যায় আছেন।” তবে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা দাবি করেন, ট্রাম্পের দল তাদের নিজস্ব টেলিপ্রম্পটার ব্যবহার করেছিল। সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট আনালেনা বেয়ারবক শেষে স্পষ্ট করে বলেন, “জাতিসংঘের টেলিপ্রম্পটার ঠিকঠাক কাজ করছে।”
চলন্ত সিঁড়ি ও টেলিপ্রম্পটার বিভ্রাটের মধ্যেও ট্রাম্পের রসিকতা বিশ্বনেতাদের আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
– সূত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল