দেশের সংবাদ

ধর্ষণের বিচার পাওয়া ও আইন নিয়ে যত প্রশ্ন বাংলাদেশে

ধর্ষণের বিচার পাওয়া ও আইন
ঢাকায় ধর্ষণের প্রতিবাদ করছেন একজন ছাত্রী। ছবিঃ বিবিসি বাংলা

বাংলাদেশে ধর্ষণের বিচার ও আইন

বাংলাদেশে বর্তমানে বহুল আলোচিত বিষয়গুলোর একটি হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা।

কয়েকদিন ধরে সমাবেশ এবং মিছিলে মিছিলে উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এবার সরকার সমর্থক এবং বিরোধী সব ছাত্র সংগঠনই প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে ধর্ষণের ঘটনার বিচারের দাবিতে এই একটি ইস্যুতে।

কয়েকজন বিক্ষোভকারী জানান, বিভিন্ন সময় ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচার বা দৃষ্টান্তমূলক কিছু না হওয়ায় ধর্ষণের ঘটনা থামছে না। সেজন্য তারা দ্রুত বিচারের নিশ্চয়তা চান।

দু’দিন আগে পুলিশ এই ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে, কিন্তু তা সত্বেও অনেকেই সন্দিহান ঐ নারী আদৌ ন্যায়-বিচার পাবে কিনা।

এই সন্দেহের মূলে আছে বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা এবং জনমনে পুলিশের দক্ষতা আর সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন।

ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীদের আইনগত সহায়তা দেয় বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র। সংস্থাটির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৯ সালে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে ১৪১৩টি- যা তার আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।

তারা বলেছে, ধর্ষণের মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকছে। উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাকে। কুমিল্লায় সেনানিবাস এলাকায় সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার তিন বছরেরও বেশি সময় পার হলেও এখনও তদন্তেই অগ্রগতির কোনো খবর মেলেনি।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কর্মকর্তা নীনা গোস্বামী বলছিলেন, ধর্ষণের কোনো ঘটনা নিয়ে তোলপাড় না হলে সেটির তদন্ত থেকে শুরু করে সবকিছুই ধীরে চলে এবং সে কারণে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।

“নুসরাতকে হত্যার পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলে প্রধানমন্ত্রী যখন নির্দেশনা দেন, তখন এর বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। কিন্তু সকল মানুষই রাষ্ট্রের, সকলের জন্যই একইভাবে আইনী প্রক্রিয়া এগুনো উচিত। শুধু একটা মামলা কোনো উদাহরণ হতে পারে না।”

 

‘ধর্ষণ কাকে বলবো?’

ফৌজদারি অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া এবং আইন নিয়ে কাজ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক তাসলিমা ইয়াসমীন। তিনি আইনের বিশ্লেষণে দেখেছেন, ১৩০ বছরের পুরোনো ব্রিটিশ আমলের আইনে ধর্ষণের যে সংজ্ঞা ছিল, এখনও সেটাকেই ভিত্তি ধরে বিচার করা হয়।

যদিও ২০০০ সালে কঠোর অনেক ব্যবস্থা রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন করা হয়েছে।

তাসলিমা ইয়াসমিন বলছিলেন, ধর্ষণের পুরোনো সেই সংজ্ঞাকে বিবেচনায় নেয়ার বিষয়টি এখন সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এটি ধর্ষণের শিকার ক্ষতিগ্রস্তকে জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করায় বলে তিনি মনে করেন।

“নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনেক কঠিন। কিন্তু ধর্ষণ কাকে বলবো? সেই ধর্ষণের আইনগত সংজ্ঞার জন্য আমাদেরকে কিন্তু ১৮৯০ সালের দণ্ডবিধিতে যেতে হচ্ছে। এবং সেখানে যে সংজ্ঞা দেয়া আছে, সেটি এখন আন্তর্জাতিকভাবে যৌন অপরাধের সংজ্ঞার সাথে একেবারে বেমানান।”

তিনি উল্লেখ করেছেন, পুরোনো সংজ্ঞা বিবেচনা করার কারণে মেডিকেল রিপোর্ট ঘটনা প্রমাণের ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সেট ক্ষতিগ্রস্তের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

“পুরোনো সংজ্ঞার কারণে ট্রাডিশনাল মাইন্ডসেট বা মেডিকেল রিপোর্টের ওপর অসম্ভব জোর দেয়া হয় ধর্ষণের শিকার নারীর ক্ষেত্রে। আর এই মেডিকেল রিপোর্টের মান তখনই বেড়ে যায়, যখন তাতে লেখা থাকে যে ভিকটিমের শরীরে ইনজুরির চিহ্ন আছে বা সে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছে। যদি কোনো ইনজুরি চিহ্ন বা প্রতিরোধ করার চিহ্ন না থাকে, তাহলে আমরা কিন্তু দেখেছি, অনেক ক্ষেত্রেই এটা ভিকটিমের জন্য নেগেটিভ হিসেবে কাজ করে।”

শত বছরেরও বেশি সময়ের পুরোনো আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞায় কোনো পরিবর্তন যে আনা হয়নি, সে বিষয়টিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলোও ধর্ষণের বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত একটা বড় সমস্যা হিসেবে দেখছে।

 

ছেলে শিশু ধর্ষণ বনাম বলাৎকার

নীনা গোস্বামী বলছিলেন, পুরোনো সংজ্ঞার কারণে কোনো ছেলে শিশু ধর্ষণের শিকার হলে সেটাকে বলাৎকার বলতে হয়। তাতে অপরাধীর তেমন কঠোর সাজার ব্যবস্থাও নেই বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

“পুরোনো সংজ্ঞা ব্যবহারের কারণে আমাদের ছেলে শিশুদের ধর্ষণের ক্ষেত্রে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সেটাকে আমরা ধর্ষণ বলতে পারছি না, বলাৎকার বলতে হচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে বিশেষ আইন থাকা সত্বেও ছেলে শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা অন্যভাবে দেখা হচ্ছে। সেটা পেনাল কোডের আওতায় নিতে হয়। সংজ্ঞায় ত্রুটির কারণে এমনটা হচ্ছে।”

তবে ধর্ষণের সেই পুরোনো সংজ্ঞাকে ভিত্তি করে বিচারের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা বা আইনের কোনো ত্রুটি দেখছেন না আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, সেই সংজ্ঞাকে এখনও তারা যুগোপযোগী বলে মনে করছেন।

“পুরোনো আইনে ধর্ষণের যে সংজ্ঞাটা দেয়া হয়েছে, সেই সংজ্ঞাটা এতটাই পরিপূর্ণ যে আজকের বাস্তবতায়ও তা সম্পূর্ণ এবং যুগোপযোগী। ধর্ষণের সংজ্ঞার কারণে কোনো মামলা নষ্ট হয়ে গেছে, এমন নজির কিন্তু নেই।”

 

তদন্তে সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন

ঢাকার কুর্মিটোলায় আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল অজ্ঞাত অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা।

যদিও র‍্যাব সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তা নিয়ে বিতর্কও হচ্ছে।

এছাড়া এই অভিযোগ ওঠে গত ৫ই জানুয়ারি রাতে। পরদিন দুপুরে গিয়ে পুলিশের তদন্ত সংস্থা সিআইডি এবং গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থল তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আলামত সংগ্রহ করে।

কিন্তু মাঝে অনেকটা সময় জায়গাটি অরক্ষিত ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে তদন্তে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার কর্মীরা।

“সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে। কারণ কোথাও দেখা যাচ্ছে, তদন্তে ত্রুটি থাকছে। আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে, পাবলিক প্রসিকিউটর ঠিকভাবে ভূমিকা রাখছেন না। অনেক ক্ষেত্রে মামলা দিনের পর দিন পড়ে থাকছে। আমাদের সকলের ব্যর্থতা আছে।”

তদন্তে সক্ষমতার প্রশ্নে কোনো অভিযোগ মানতে রাজি নন পুলিশ কর্মকর্তারা।

তাদের বক্তব্য হচ্ছে, পুলিশের সিআইডি, পিবিআই এবং ডিবি পুলিশের তদন্তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি ফরেনসিক পরীক্ষা এবং আলামতসহ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার দক্ষতা অনেক বেড়েছে। এমনকি কোনো ঘটনায় অভিযুক্তের কোনো পরিচয় না থাকলেও তাকে চিহ্নিত করার দক্ষতা অর্জনের দাবিও করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

তারা এমন ক্ষেত্রে ঘটনাস্থলকে কেন্দ্র করে মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা তুলে ধরেন।

পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের প্রধান হামিদা পারভিন বলছিলেন, ধর্ষণের মামলাগুলোতে অজ্ঞাত অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা এবং পুরো ঘটনার তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো এখন দক্ষতার পরিচয় রাখছে।

“পুলিশের সিআইডিতে ফরেনসিক বিভাগে যারা আছেন, তারা খুব দক্ষ। আসলে এই ক্ষেত্রে হয়কি, যিনি এমন সহিংসতার শিকার হন তার এবং পরিবারটির মানসিক অবস্থা তখন খুব খারাপ থাকে। ঐ সময় কোন কোন আলামত সংগ্রহ করতে হবে, কোন কাপড়গুলো সংরক্ষণ করতে হবে বা তিনি গোসল করতে পারবেন না – এসব ব্যাপারে আমরা এখনও সচেতন নয়। সেজন্য অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা হয়।”

 

‘প্রতিটি ধাপে ক্ষতিগ্রস্তকেই সন্দেহ করা হয়’

তবে ধর্ষণের মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের মানসিকতার কতটা পরিবর্তন হয়েছে- সেই প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক তাসলিমা ইয়াসমীন।

তিনি বলেছেন, ধর্ষণের মামলায় তদন্ত থেকে শুরু করে আইনি প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে ক্ষতিগ্রস্তকেই সন্দেহ করা হয়।

তাসলিমা ইয়াসমিন বলছেন – আইনেই এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে এবং একইসাথে তদন্তসহ আইনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অনেকের মানসিকতারও পরিবর্তন হয়নি। ফলে ধর্ষণের শিকার নারীকেই সবকিছু প্রমাণ করার জন্য কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়, এবং তিনি একা হয়ে পড়েন।

“ধর্ষণের শিকার নারীর ওপর চাপে একটা সন্দেহের বোঝা। এই সন্দেহের বোঝা কিন্তু এখনও ধর্ষণের শিকার নারীকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। যখন ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, আমরা খুব সহানুভূতি জানাচ্ছি। কিন্তু তারপর যখন তার যাত্রা শুরু হয় বিচার পাওয়ার জন্য, সেই যাত্রায় কিন্তু তিনি একেবারে একা হয়ে যান।”

“তখন তার ওপর থাকে সন্দেহের বিরাট বোঝা। আর এই সন্দেহের কারণে তার জন্য প্রমাণ করার বোঝাটাও অনেক বেড়ে যায়। আমাদের উচ্চ আদালতে অনেকে আগে একটা সিদ্ধান্ত ছিল যে, যদি কোনো বিচারক মনে করেন যে ধর্ষণের শিকার নারীর জবানবন্দী সত্য তাহলে শুধু সেই জবানবন্দীর ওপর বিচারক রায় দিতে পারবেন। কিন্তু সেটা সেভাবে বাস্তবায়ন হয় না।”

অনেক সময় এই অভিযোগও ওঠে যে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আসল অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করে থাকে। বিভিন্ন সময় তদন্ত কাজে অদক্ষতা ঢাকার চেষ্টার অভিযোগও ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।

মানবাধিকার কর্মীরা মনে করেন, নানা প্রশ্ন এবং সমস্যার প্রেক্ষাপটে তদন্ত নিয়েই আস্থার সংকট রয়েছে। ফলে, ধর্ষণের অনেক মামলাতেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার পর তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে।

তবে পুলিশ কর্মকর্তা হামিদা পারভিন বলছিলেন, ধর্ষণ মামলার তদন্ত নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ যাতে না থাকে সেই চেষ্টা তারা করেন।

ধর্ষণের মামলায় আইন অনুযায়ী পাবলিক প্রসিকিউটর বা সরকারি আইনজীবীরা ক্ষতিগ্রস্তের পক্ষে মামলা পরিচালনা করে থাকেন।

ক্ষতিগ্রস্ত নারী ব্যক্তিগতভাবে কোনো আইনজীবী নিয়োগ করলে সেই আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহায়তা দেয়া ছাড়া স্বাধীনভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন না। এই বিষয়টিকেও একটা বড় সমস্যা হিসেবে দেখেন আইনজীবীরা।

তারা মনে করেন, যখন তদন্ত নিয়েই আস্থার সংকট থাকে তখন আইনি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছ্বা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

 

আলোচনা হলেই কেবল বিচারের তৎপরতা?

অন্যদিকে, ধর্ষণের কোনো ঘটনা নিয়ে হৈচৈ-বিতর্ক হলে তখনই কেবল তার বিচারের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের মধ্যে চোখে পড়ার মতো তৎপরতা দেখা যায়।

তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্য – সরকার, কর্তৃপক্ষ বা পুলিশের মানসিকতার অনেক পরিবর্তন হয়েছে।

“ধর্ষণের মামলাগুলো এখন যত দ্রুত গতিতে হচ্ছে, অতীতে কিন্তু এত দ্রুত গতিতে হয় নাই। আমরা বারবারই বলছি, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

মানবাধিকার কর্মী এবং আইনজীবীরা মনে করেন, বাংলাদেশের সমাজে ধর্ষণের শিকার নারীকেই দোষী বানানোর মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্তরাও সাহসী হয়ে আদালতের আশ্রয় নিচ্ছেন। এখন আইনি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আস্থা বাড়ানোর জন্য সরকারকেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা (জানুয়ারীতে প্রকাশিত)

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন