নিউ ইয়র্কে ‘ইউএসবিসিসিআই বিজনেস এক্সপো-২০২২’ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্ক । গতকাল বুধবার (১৯ অক্টোবর, ২০২২) নিউ ইয়র্কে ‘ইউএসবিসিসিআই বিজনেস এক্সপো-২০২২’ পরবর্তী একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউএসবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. লিটন আহমেদ।
গত ২৩, ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ইউএসবিসিসিআই বিজনেস এক্সপো-২০২২’। এই এক্সপোর প্রাপ্তি, সম্ভাব্যতা, সফলতা সহ নানান বিষয়ে এক্সপো পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন ছিলো ইউএসবিসিসিআই।
সংবাদ সম্মেলনে ‘ইউএসবিসিসিআই বিজনেস এক্সপো-২০২২’ পরবর্তী রিপোর্ট পাঠ করেন সংগঠনটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট বখত রুম্মান বিরতীজ।
সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন ইউএসবিসিসিআই’র পরিচালক শেখ ফরহাদ। এসময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, ফাইন্যান্স ও স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাজী হেলাল আহমেদ, উইমেন এম্পাওরমেন্ট কমিটির চেয়ারপারসন রুমা আহমেদ, শেখ ফারজানা প্রমুখ।
বক্তারা ইউএসবিসিসি ‘বিজনেস এক্সপো-২০২২’র প্রাপ্তি, গুরুত্ব ও সফলতা তুলে ধরেন। ব্যবসা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক্সপোটি কীভাবে ভূমিকা রেখেছে এবং রাখবে তারা এসবের বিস্তারিত তুলে ধরেন। সংগঠনের ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ উল্লেখ করে এই ধরণের বিশেষ আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইউএসবিসিসিআই’র সভাপতি মো. লিটন আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক (উত্তর আমেরিকা) লাভলু আনসার, চ্যানেল আই ইউএসএ’র সিইও রাশেদ আহমেদ, সাপ্তাহিক পরিচয়ের সম্পাদক নাজমুল আহসান, দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার সিরাজুস সালেকিন চৌধুরী, দেশ রুপান্তরের স্টাফ রিপোর্টার শাহেদ ইরশাদ, ঢাকা পোস্টের সিনিয়র রিপোর্টার সাইদ রিপন, ব্যবসায়ী বদরুদুজ্জা সাগর সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইউএসবিসিসিআই) হল এমন একটি সংস্থা, যা বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশে আমেরিকান ব্যবসার সমৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য কাজ করে থাকে। এছাড়াও ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের চাহিদা পূরণে সংস্থাটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন এবং একটি উদ্যোক্তা পরিবেশ তৈরি করা ইউএসবিসিসিআই-এর অন্যতম লক্ষ্য। তথ্য, সহায়তা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, উৎসব, ব্যবসায়িক রেফারেল, নেটওয়ার্কিং, সামাজিকীকরণ এবং আরও অনেক কিছুর উৎস এই ব্যবসায়িক সংগঠনটি। ইতিবাচক নানান কর্মের জন্য ইউএস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের ‘বিশ্বস্ত কণ্ঠ’ বলা হয়।