অবিশ্বাস্য হলেও সত্য

নিজের হাতে বন্দুক বানিয়ে প্রেমিকা কে খুন করল প্রেমিক

নিজের হাতে বন্দুক বানিয়ে প্রেমিকা কে খুন করল প্রেমিক

নিজের হাতে বন্দুক বানিয়ে প্রেমিকা কে খুন করল প্রেমিক!

প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা পুরোকায়স্থকে খুন করবে বলে ইউটিউব থেকে বন্দুক বানানো শিখে নিজের হাতে বন্দুক বানিয়ে হত্যাকান্ড সংগঠিত করেছে। লালবাজারে গোয়েন্দা পুলিশের জেরার মুখে ভেঙে পরে এই জবানবন্দি দিয়েছে জয়ন্ত হালদার ।

উল্লেখযোগ্য, দুদিন আগে প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে খুন করে জয়ন্ত। দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্কে। জয়ন্তকে আদালতে তোলা হলে তাকে দশদিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছেন বিচারক । বিবাহিত জয়ন্ত’র প্রেমে পরে কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী একুশ বছরের প্রিয়াঙ্কা। ছাব্বিশ বছরের জয়ন্ত জানায় সে প্রিয়াঙ্কার জন্যে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতেও রাজি। এরই মধ্যে প্রিয়াঙ্কা জানতে পারে যে জয়ন্তর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা।

এই ঘটনা জানতে পারার পরই প্রিয়াঙ্কা জয়ন্ত’র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। বহু চেষ্টাতেও জয়ন্ত আর প্রিয়াঙ্কার নাগাল পায়না । এরপরই সে প্রিয়াঙ্কাকে রোষে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। বন্দুক জোগাড় করার চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে জয়ন্ত ইউটিউব দেখে বন্দুক বানানোর কৌশল রপ্ত করে। দু মাসের চেষ্টায় বন্দুক বানাতে সে সক্ষম হয় বলে পুলিশকে জানিয়েছে। কিন্তু ঘোড়া হলেও চাবুক হয়না। কার্তুজ জোগাড় করতে ব্যর্থ হয় অপেশাদার খুনি জয়ন্ত। আবার সে শরণাপন্ন হয় ইউটিউব এর। সাইকেল এর বল বেয়ারিং এর সঙ্গে বারুদ ঠেসে মেকশিফট কার্তুজ তৈরি করে জয়ন্ত। তার বন্দুক কাজ করবে কিনা সেই সম্পর্কে অনিশ্চিত জয়ন্ত ধারালো ছুরিও নেয় সঙ্গে। তাই, ঘটনার দিন প্রিয়াঙ্কার গলা লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ার পর প্রিয়াঙ্কাকে ছুরির কোপও মেরেছিলো জয়ন্ত।

কলকাতার বিশিষ্ট মনোবিদ ডা: অমরনাথ মল্লিক এর মতে, চূড়ান্ত হতাশা এবং প্রতিহিংসার কারণে এতটা বেপরোয়া হয় জয়ন্ত। কিন্তু, যে ভাবে সে ইউটিউব দেখে বন্দুক বানিয়েছে তাতে জয়ন্তকে ঠান্ডা মাথার খুনি বলে বর্ণনা করছেন তিনি।

যেন বলিউডি ফিল্ম, নিজের হাতে বন্দুক বানিয়ে গুলিতে ঝাঁঝরা করল প্রেমিকাকে

বলিউডের চিত্রনাট্যকেও যেন হার মানায় এই দৃশ্য।  শনিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকার একতলার বাড়িতে ঢুকলো এক যুবক।  হাতে উদ্ধত রিভলবার।  বাড়িতে ঢুকেই সে নাম ধরে ডাকলো তরুণীর।  বসার ঘরে  সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় অব্যর্থ লক্ষ্যে যুবকটির  রিভলবার থেকে গুলি ছুটলো।  রক্তাপ্লুত তরুণী লুটিয়ে পড়লো  মেঝেতে। নিথর হয়ে গেল দেহ।  আত্মীয় পরিজনরা ছুটে আসার আগেই কাজ শেষ করে যুবক রিভালবার দোলাতে দোলাতে চম্পট দিল।  পাড়ার লোকরা যখন ছুটে এলো,  তখন সব শেষ।

রোমহর্ষক ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে রিজেন্ট পার্ক এলাকায়।  নিহত তরুণীর নাম প্রিয়াঙ্কা পুরকায়স্থ।  একুশ বছরের প্রিয়াঙ্কা ছিল দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজের ছাত্রী।  ঘাতক জয়ন্ত হালদার তার প্রেমিক।  বেশ কিছুদিন প্রেমপর্ব চলার পর প্রিয়াঙ্কা জানতে পারে প্রেমিক জয়ন্ত বিবাহিত।  সে সব সংশ্রব ছিন্ন করে জয়ন্ত’র সঙ্গে।  বহু সহেস্ত করেও ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক জোড়া লাগাতে পারেনি জয়ন্ত।  এরপরই প্রতিহিংসা চরিতার্থ এবং বদলা নিতে গিয়ে শনিবার সকালে জয়ন্ত গুলিতে ঝাঁঝরা করলো প্রিয়াঙ্কাকে।  পুলিশ জয়ন্ত’র জন্যে ম্যান হান্টিং শুরু করেছে। প্রিয়াঙ্কার মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া এখন রিজেন্ট পার্কে।

সূত্রঃ মানবজমিন

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন