দেশের সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন মাজেদ গ্রেফতার

বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদ

 

বঙ্গবন্ধুর খুনি গ্রেফতার! জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ মঙ্গলবার আসামি আবদুল মাজেদকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগার পাঠানো হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুর সাড়ে ১১ থেকে গতকাল রাত ৩টার দিকে আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদ যেভাবে গ্রেফতার হলেন

দণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ। রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে সন্দেহজনকভাবে রিকশায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি। এরপরই তাকে গ্রেফতারের পর সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পরে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে তিনি ভারতের কলকাতায় আত্মগোপনে ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা ছাড়া আপিলের কোনো সুযোগ নেই আবদুল মাজেদের।

পুলিশ জানায়, এদিন ভোর আনুমানিক ৩টায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিস) ইউনিটের একটি বিশেষ দল মিরপুর সাড়ে ১১ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

এর আগে, ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তারা হলেন- লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)।

এছাড়াও ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া ছয় আসামি মধ্যে অন্যতম আবদুল মাজেদ। তার বিষয়ে ইন্টারপোল থেকে রেড নোটিস জারি করে প্রতি পাঁচ বছর পরপর নবায়ন করা হচ্ছিল।

ইন্টারপোল জানায়, মাজেদ ভারতে পলাতক রয়েছে। পরে এ বিষয়ে বাংলাদেশের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে ভারত বলেছিল, মাজেদ তাদের দেশে নেই।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল সেনা সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হানা দিয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে শিশুসন্তান রাসেল, স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে মামলা হয়। বিচারিক আদালত এ মামলায় ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আপিল বিভাগ ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

১৯৭৫ সালের ন্যক্কারজনক এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯৯৬ সালে প্রথম মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে আসামি করা হয় ২৪ জনকে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ও শেখ রেহানা সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

 

বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত।

আজ মঙ্গলবার আসামি আবদুল মাজেদকে আদালতে হাজির করা হয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আবদুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

 

মাজেদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আপিলের সুযোগ নাই।

রাজধানীর মিরপুর সাড়ে ১১ থেকে গতকাল সোমবার রাত ৩টার দিকে আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর আজ মঙ্গলবার আসামি আবদুল মাজেদকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মাজেদ ঢাকায় আসার পর স্ত্রী সালেহা বেগমের সঙ্গে বসবাস করছিলেন। গোয়েন্দাদের কাছে তার সমস্ত তথ্য ছিল।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আবদুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন

 

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন


 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + 14 =