লেখালেখি

বহুরূপী করোনার পর্যালোচনা

এলকোহল-গার্গেলের-বিপদ

 

বহুরূপী করোনার পর্যালোচনা

প্রতিদিন চোখ রাখার চেষ্টা করছি বাংলাদেশের করোনার টেস্ট সংখ্যা, সংক্রমিতদের সংখ্যা আর এর অনুপাতের উপর। বৈশ্বিক  স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে বাংলাদেশে টেস্টের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল।  কেন অপ্রতুল, কি করা যেত, কেন করা যায়নি, বাংলাদেশের বিভিন্ন  বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য RTPCR  মেশিন থাকার পরও একে  ডুমুরের ফুল  বানিয়ে রাখা  সহ অনেক প্রশ্নের কোন উত্তর নেই। চীন থেকে শুরু করে ইরান হয়ে ইউরোপে যখন করোনার তাণ্ডব, সময় ছিল টেস্ট করার পর্যাপ্ত অবকাঠামো  প্রস্তুত করার। টেলিভিশনে বিজ্ঞপ্তি দিয়েও জানা যেত  দেশের কোথায় কোথায় RTPCR ব্যবহারের সক্ষমতা রয়েছে বা ব্যবহারের উপযোগী করার মত অবস্থায় আছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই অধ্যায়টি বুঝতেই চলে গেল গুরুত্বপূর্ণ সময়, ফলে টেস্ট, টেস্ট আর টেস্টের অভিযানে আমাদের পিছিয়ে পড়তে হল অনেক। টেস্টের পরিমানে বৈশ্বিক অবস্থানে আমরা খুবই নীচের দিকে।

ইনফেকশনের হারে বাংলাদেশের অবস্থা ভীষণ উদ্বেগজনক। কোন কোন দিন টেস্ট করা জনসংখ্যার বিপরীতে সংক্রমিত  জনসংখ্যার হার ১৭%  ছাড়িয়ে যায়। গত বেশ  কিছু দিন যাবৎ সংক্রমণের হারটি ১২ থেকে ১৭% এ উঠানামা করছে।  বৈশ্বিক পরিসংখ্যানে এটি সম্ভবত  শীর্ষ স্থানীয়।  কোভিড-১৯ যখন মার্চের দিকে  রোমান  সাম্রাজ্যের  আদিভূমি  ইতালিকে  প্রকৃতির  কাছে সমর্পিত একটি অসহায় রাষ্ট্রে পরিনত করে, ঐ পিক সময়ে এদের সংক্রমণের হার ছিল ১২-১৩%। কানাডায় এই হার বরাবরই ৫-৬%। সংক্রমণ বনাম মৃত্যুর হার বাংলাদেশে বেশ কম, ৩% এর  কাছাকাছি।  বাংলাদেশে মৃত্যুর হার কম হবার পেছনে করোনায় মৃত্যুর  স্বীকৃতি বিষয়ে বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও বলা যায়  মৃত্যুর হার চোখে পড়ার মত হলে  লুকিয়ে রাখা বোধ হয় সম্ভব হতোনা। কিছু এরর  থাকা সত্ত্বেও সরকারীভাবে ঘোষিত মৃত্যুর হারকে স্ট্যান্ডার্ড ধরতে হবে। উন্নত  বিশ্বে মৃত্যুর হারের একটি বড় অংশ  বৃদ্ধাশ্রমের অসুস্থ বাসিন্দারা, বাংলাদেশের অবস্থাটি সেরকম নয়।  অবশ্য বাংলাদেশের টেস্টের স্বল্পতায়  সংক্রমিত  অনেকেই পরিসংখ্যানের বাইরে রয়েছেন।

বিশ্বের মাত্র ৩% বসবাসযোগ্য জমির বলয়ের এই পাক-ভারত উপমহাদেশে বিশ্বের ২১%  মানুষের বসবাস।বাংলাদেশের সংক্রমণের ধারাটি উপমহাদেশের  সংক্রমণের ধারার সাথে  সঙ্গতিপূর্ণ । ঘন বসতিপূর্ণ এই  উপমহাদেশে ইতালি, স্পেন, ইরান বা নিউ ইয়র্ক সিটির মত কঠিন অবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কাটি কি আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে,  না  উতরে যাওয়া যাবে এ দোলাচলে  আমাদের বর্তমান অবস্থা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি জানাজায় হাজার হাজার মানুষ, বরগুনা, গোপালগঞ্জে  লক ডাউনের ব্যাপক বিচ্যুতি, ঢাকার কাওরান বাজার সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক জনসমাগম, তরুণদের মধ্যে আড্ডা দেবার প্রবণতা সহ  শারীরিক, সামাজিক দূরত্বের  শিথিলতা বাংলাদেশের ইনফেকশনের উচ্চ হারের জন্যে সম্ভবত দায়ী। নিউইয়র্কে  জনসংখ্যার অনুপাতে  বাংলাদেশীদের সংক্রমণ আর মৃত্যু হারের আধিক্যে বাংলাদেশীদের মধ্যে শারীরিক, সামাজিক দূরত্ব মানার শিথিলতাকে অনেকে  দায়ী করে থাকেন।বাংলাদেশ সহ ভারতীয় উপমহাদেশ সংক্রমণের ঢেউটি ইউরোপ থেকে ৪ সপ্তাহ কিংবা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ সপ্তাহ পেছনে এবং এই হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশ সেই  কঠিন ফেজে প্রবেশ করার সময় এটি। আমরা কি ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রের মত একই পরিণতির দিকে যাব নাকি অনেকটাই মাফ পেয়ে যাব এই বিষয়ে অনেক হাইপোথেসিস আছে। মাফ পাবার বিষয়ের হাইপোথেসিসগুলি হচ্ছে  বিসিজি টিকা,  তাপমাত্রা/আর্দ্রতা, মিউটেশনে ভাইরাসটির সংক্রমণ সক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদি। বিশ্বের যক্ষ্মার  রোগের ৪০%  ঘটনাই এই  দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে । ফলে দক্ষিণ এশিয়ার  মানুষের ইম্যুনিটির সক্ষমতার ব্যাপারটি সামনে আসছে। রোগ বালাইয়ে অভ্যস্ত  এশিয়া আফ্রিকার মানুষগুলোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে।

SARS-CoV-2 গত মার্চ থেকে নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছে  উন্নত বিশ্বের যে দেশগুলোকে, তাঁদের স্বাস্থ্য সেবার  অবকাঠামো, জনগণের সচেতনতার আমাদের চেয়ে অনেক  উন্নত হবার পরেও  মৃত্যুর মিছিল রোধ করা যায়নি। বিশ্বব্যাপী SARS-CoV-2 আক্রান্তের ৪০% ইউরোপে, ৩২% যুক্তরাষ্ট্রে।  বাকী ২৮%  বিশ্বব্যাপী। এর মধ্যে ইরান আর চীনকে বাদ দিলে বাকী বিশ্ব কাভার করছে মোট বৈশ্বিক সংক্রমণের ২০% এর কম যার মধ্যে ব্রাজিল, ভারত, আর্জেন্টিনা, তুরস্ক, কানাডা,  ইন্দোনেশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য সহ দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকার  দেশগুলি রয়েছে। বৈশ্বিক  মৃত্যুর মিছিলে  যুক্তরাষ্ট্র একাই বহন করছে  ২৬%, ইউরোপ সম্মিলিতভাবে  বহন করছে ৬০%। ইরান আর চীন বাদে বাকী বিশ্ব বহন করছে মোট মৃত্যুর মাত্র ৮-৯%। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া করোনা যুগে প্রবেশ করেছে তিন মাসেরও বেশী হল, বাংলাদেশ, ভারত আর পাকিস্থান করোনা যুগে প্রবেশ মাস দুয়েক বা এর কাছাকাছি। ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রের মত তাণ্ডব লীলা  এখন পর্যন্ত প্রত্যক্ষ করতে হয়নি এই দেশগুলো সহ বিশ্বের বহু দেশের।  স্বাস্থ্য সেবার মানে করোনা নিয়ন্ত্রণে  দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ডের আপাতত সাফল্যের বাইরে স্বাস্থ্য  অবকাঠামোতে দুর্বল, শারিরিক আর সামাজিক দূরত্বের শিথিল সংস্কৃতির  অনেক দেশেই করোনার আক্রমণ  ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রের মত ভয়াবহ হতে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। SARS-CoV-2  তাণ্ডবলীলার  এই ভিন্নতার গবেষণা রিভিউ হওয়াটা জরুরী। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রিভিউটা বাংলাদেশকেই করতে হবে,  অন্যে দেশের দিকে তাকিয়ে থাকা চলবেনা।

অনুজীবঘটিত রোগ গবেষণায় অণুজীবটি, অনুজীবের হোস্ট আর অনুজীবের টিকে থাকার পরিবেশটি  রোগ বিস্তারের  সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর বলে বিবেচনা করা হয়। এই তিনটি ফ্যাক্টরের যে কোন  একটির পরিবর্তনজনিত কায়দা বা বেকায়দায় রোগের বিস্তার প্রভাবিত হবে  এটাই স্বাভাবিক। হোস্ট অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যাক্তিগত বা  ডেমোগ্রাফিক  পার্থক্য, আবহাওয়া  সহ পরিবেশজনিত পরিবর্তনে  রোগের বিস্তার বাড়তে কমতে পারে। বিশ্বব্যাপী করোনার আক্রমণের এই তারতম্যে হোস্ট আর পরিবেশের প্রভাব নিয়ে  অনেক   বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ সহ ট্রপিক্যাল অঞ্চলের  ধীর সংক্রমণে  তাপমাত্রার  প্রভাবের কথা আলোচনায় এসেছে কিন্তু  নির্ভরযোগ্য ডাটার অভাবে কোন কিছু বলার সময় আসেনি। কিছু গবেষণায় তাপমাত্রা আর আর্দ্রতার প্রভাব সম্পর্কে বলা হলেও এই ধরনে হাইপোথিসিসে  ফিল্ড ডাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যা সময় সাপেক্ষ। বেশী আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে মোটামুটি 30-50 N” করিডোরে একই আবহাওয়া প্যাটার্নে  বিশেষ করে  তাপমাত্রার ক্ষেত্রে মিল পাওয়া গেছে একটি গবেষণায় । গ্লোবাল ভাইরাস নেট ওয়ার্ক (GVN) এর বিজ্ঞানীদের  গত  মার্চে প্রকাশিত  Enhanced Model for Monitoring Zones of Increased Risk of Covid-19 Spread   শীর্ষক এই গবেষণায় তাপমাত্রা, অক্ষাংশ আর ঋতু  প্রভাব নিয়ে ধারণা দেওয়া হয়েছিল। মুশকিল হচ্ছে এই সব গবেষণার চূড়ান্ত কথাটি বলবার আগে অঞ্চল ভিত্তিক ব্যাপক তথ্য-উপাত্তের প্রয়োজন হয়। রোগ বালাইয়ের ক্ষেত্রে একটি কমন প্রবণতা হচ্ছে  পশ্চিমারা নিজে আক্রান্ত হবার পর দক্ষিণ  গোলার্ধে  এশিয়া,  আফ্রিকায় এর  ব্যাপক সংক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় যা অনেক ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় না।  কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে  দক্ষিণ  গোলার্ধে ব্যাপক সংক্রমণের আশঙ্কা  বাস্তব না হলেই বিশ্ববাসী খুশী। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ডাটায় গোলার্ধ ভিত্তিক সংক্রমণের পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। উত্তর গোলার্ধের ভয়াবহতা দক্ষিণ  গোলার্ধে আপাতত অনুপস্থিত।

তবে  এই পার্থক্যের পেছনে কি অঞ্চল ভিত্তিক মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার তারতম্য  কিংবা গোলার্ধের আবহাওয়ার/পরিবেশের তারতম্যের নানা আলোচনায় বিষয়ে আমরা অবহিত।  এই দুটি  ফ্যাক্টরের বাইরে ভাইরাসটির ইতিমধ্যে সংঘটিত মিউটেশন নিয়ে অনেক তথ্য-উপাত্ত আসছে। বলা হচ্ছে মিউটেট হয়ে অনেকগুলি স্ট্রেইন সংক্রমণে রয়েছে। বাংলাদেশে আক্রমণ মূলত ইতালিয়ান উৎস থেকে। বাংলাদেশে আসার পর এই  স্ট্রেইনটির  মিউটেশন হয়েছে কিনা জানাটা খুব জরুরী। এই বিষয়ে  বাংলা  ট্রিবিউনে  প্রকাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা আমাকে কৌতূহলী করে তুলেছে।   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক  ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজির শিক্ষক ডঃ মুশতাক ইবনে আয়ূবের গবেষণায় সার্স-কভ-২ ভাইরাসটির   জেনেটিক পরিবর্তনের  মাধ্যমে  রোগ সৃষ্টির ক্ষমতা হ্রাসের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বটে। ভাইরাসটির  জিনোমের গাঠনিক উপাদানের পরিবর্তনের ফলে আগ্রাসী আচরণ কমে গিয়ে লোকজনের  কম আক্রান্ত হবার  বিষয়টি পর্যাপ্ত গবেষণার দাবী রাখে। নিউক্লিওক্যাপ্সিড  প্রোটিন সহ  পরিবর্তনের  ক্ষেত্রগুলি গবেষণাগারে বিশ্লেষণের পাশাপাশি ডেমোগ্রাফিক কেস স্টাডি করা এবং নির্দিষ্ট ক্লাস্টার থেকে স্যাম্পল নিয়ে গবেষণাটা জরুরী।  বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভাইরাসটির ধরণ, সংক্রমণের সক্ষমতা নিয়ে ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন।  ভাইরাসটি মোকাবিলায় আমাদের লড়াই আর স্বাস্থ্য সেবার কৌশল নির্ধারণে এসব তথ্য–উপাত্ত খুব জরুরী। আমাদের দেশে এই ধরণের গবেষণায় সক্ষম জনশক্তি রয়েছে। জাপান আর পশ্চিমা বিশ্বে  প্রশিক্ষিত আমাদের  গবেষক/বিজ্ঞানীদের নিয়ে  গবেষণা টাস্ক  ফোর্স গঠন করা যেতে পারে। শনাক্তকরণ আর চিকিৎসার পাশাপাশি এই ধরণের গবেষণা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আমাদের যুদ্ধের অন্যতম প্রধান অস্ত্র।

আমরা সব সময়ই ভ্রান্ত ধারণা পুষে চলি। মেডিক্যাল সায়েন্সে যে কোন কার্যক্রমে আমাদের ধারণা এগুলি সবই ডাক্তারদের কাজ। মেডিক্যাল সায়েন্সে যে সব আবিষ্কার তার বেশীরভাগ অংশ আসে ডাক্তার নন,  লাইফ সায়েন্সের এমন সব  বিজ্ঞানী/গবেষকদের কাছ থেকে এবং এদের গবেষণা কর্ম পড়েই  শিক্ষার্থীরা ডাক্তার হন। আরেকটা বড় অংশ আসে আসে নন প্র্যাকটিসিং  গবেষক ডাক্তার সাহেবদের কাছ থেকে। গবেষণা আর ডাক্তারি একই সাথে করছেন এদের সংখ্যা খুব বেশী নয়।  অর্থাৎ যারা  ডাক্তারি করছেন এদের   বিশাল অংশ  গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত নন বা সুযোগ নেই।  গবেষক/ বিজ্ঞানীরদের  গবেষণা কর্মে সমৃদ্ধ হয়  ডাক্তার সাহেবদের  জ্ঞান যা উনারা প্রয়োগ করেন চিকিৎসা কর্মে।  এই বাস্তবতায় এগিয়ে চলে চিকিৎসা বিজ্ঞান  লাইফ সায়েন্সের নন ডাক্তার বিজ্ঞানী আর ডাক্তাররা একে অন্যের হাত ধরে। কোভিড-১৯ চিকিৎসার  মূল দায়িত্ব  ডাক্তারদের আর ভাইরাসটিকে বাগে আনতে, শনাক্তকরণে নানা কৌশলে মূল দায়িত্বটা  থাকে  থাকে  গবেষক/বিজ্ঞানীদের হাতে। এই গবেষকরা ডাক্তারও হতে পারেন তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ডাক্তার নন।

RTPCR  মেশিন নিয়ে দিনরাত কাজ করেছেন  বা করছেন এমন গবেষকদের সংখ্যা  বাংলাদেশে কম নয়। বিদেশে উচ্চশিক্ষার বদৌলতে ভাইরোলজি, জেনেটিক্সে দক্ষ জনশক্তির  কমতি নেই এই দেশে, প্রয়োজন সঠিক সময়ে সঠিক মানুষটি খুঁজে নেওয়া। বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের  বায়োটেকের অধ্যাপক ডঃ তোফাজ্জল ইসলাম শাহীন অনুজীব নিয়ে কাজ করছেন দীর্ঘ দিন যাবত, রাষ্ট্র কর্তৃক খেতাবপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বনামধন্য  বিজ্ঞানী। বাংলাদেশ পার্সপ্যাক্টিভে কোভিড -১৯ নিয়েও কাজ করছেন। ডঃ তোফাজ্জল, ডঃ মুশতাকের মত বহু মেধাবী  বিজ্ঞানী আছে এই দেশে। রাষ্ট্রের উচিত এই মেধাবীদের কাজে লাগানো করোনা বিষয়ক গবেষণায়।  এই মহামারির বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধরত, আর এই  যুদ্ধ জয়ের কৌশলটা হওয়া উচিত হোলিস্টিক, যাকে যখন যেভাবে কাজে লাগানো প্রয়োজন, সেইভাবেই কাজে  লাগানো।

 

ডঃ  শোয়েব সাঈদ ।। মন্ট্রিয়লের বায়োটিক বিষয়ক বহুজাতিক কর্পোরেট গবেষণা পরিচালক হিসেবে কর্মরত, বাকসু’র সাবেক সাহিত্য সম্পাদক এবং সিবিএনএ২৪ডটকমের উপদেষ্টা।

 

সিবিএনএ/এসএস

 


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন