পত্রিকার পাতা থেকে

বিভিন্ন শহরের নিউ ইয়ার পার্টি

বিভিন্ন শহরের নিউ ইয়ার পার্টি

পৃথিবীতে সবার আগে ২০২০ সালে প্রবেশ করবে সামোয়া নামের দ্বীপরাষ্ট্র।বিভিন্ন শহরের নিউ ইয়ার পার্টি২৪ ঘণ্টা পর হাওয়াইতে গিয়ে শেষ হবে নতুন বছরের উদযাপন। এই ২৪ ঘণ্টা জুড়েই বিশ্বের বিভিন্ন শহর রঙিন হয়ে উঠবে আতশবাজির আলোয়।

মন্ট্রিয়ল
গরম কাপড় পরে ক্যানাডার মন্ট্রিয়ল বন্দরে আতশবাজি দেখার আনন্দই আলাদা। শহরটিতে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ উপস্থিত হন। কু্ইবেক প্রদেশের সবচেয়ে বড় এ শহরটিতে বরফে স্কি করা এবং বরফে ঢাকা পাহাড়ে হাইকিং করাও এই উদযাপনের অংশ। আতশবাজি শেষ হলে বিভিন্ন ক্লাবে নেচে গেয়ে কাটানো যাবে রাত।

দুবাই
২০২০ সালের ২০ আগস্ট হবে হিজরি নববর্ষ। কিন্তু গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের নববর্ষও দুবাইয়ে বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে উদযাপন করা হয়। সমুদ্র সৈকতে, বিলাসবহুল রিসোর্টে বা শহরের যেকোনো স্থান থেকেই আতশবাজির প্রদর্শনী দেখা যায়। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় পাইরোটেকনিক বা আগুনের খেলা দেখানো হবে এই শহরে, একসঙ্গে কয়েক শত জায়গা থেকে নিক্ষেপ করা হবে আতশবাজি।

রিও ডি জেনেইরো
ব্রাজিলের এই শহরটিতে নতুন বছরের মধ্যরাত বেশ রোমান্টিক। সাগরের ওপরে শোভা পায় আতশবাজি। মানুষ পানিতে ফুল ও মোমবাতি ভাসিয়ে নতুন বছরে স্বাগত জানায়। সৈকতের পার্টিগুলোতে সাম্বা হচ্ছে মূল আকর্ষণ। ব্রাজিলিয়রা মনে করেন, নতুন বছরের প্রথম মুহূর্তে সাদা পোশাক পরলে, তা সৌভাগ্য বয়ে আনে।

বার্লিন
বার্লিনের নতুন বছর উদযাপন ধীরে ধীরে ঐতিহ্যে পরিণত হচ্ছে। জার্মানির রাজধানীতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ ব্রান্ডেনবুর্গ গেট আর ভিক্টোরি কলামের মাঝখানে জড়ো হন। আতশবাজির খেলা শেষ হওয়ার পরও সারা রাত ধরে চলতে থাকে পার্টি।

লন্ডন
বিগ বেন ঘোষণা দেয় নতুন বছরের আগমনের। এর পরপরই টেমস নদীর ওপর শুরু হয় আলোর খেলা। তবে সবচেয়ে ভালো দৃশ্য় দেখতে হলে চড়তে হবে লন্ডন আই-এ। ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই ফেরিস হুইলের নববর্ষের টিকেট পাওয়া অবশ্য দুঃসাধ্য।

প্যারিস
ফ্রান্সের শঁ দ্য মার্স এবং পালে দু ত্র্য তে সবচেয়ে বড় নববর্ষের আয়োজন হয়। আইফেল টাওয়ারে আয়োজন হয় লাইট আর লেজার শো। শঁস এলিস থেকে দেখা যায় আর্ক দে ত্রিওম্ফ। সেখানে প্যারিসিয়ানরা জড়ো হন সবাইকে ‘বন অ্যান্নি’ বা ‘শুভ নববর্ষ’ জানাতে।

রোম
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রিস্টানরা জড়ো হন ভ্যাটিকানের সেইন্ট পিটারস স্কয়ারের পিয়াৎসা সান পিয়েত্রোতে। সেইন্ট পিটারস ব্যাসিলিকায় পোপ নিজে আসেন নববর্ষ উদযাপন করতে। এই উদযাপনের টিকেট পাওয়া যায় বিনামূল্যে। কিন্তু আসন সীমিত, কেবল ১০ হাজার।

প্রাগ
চেকিয়ার রাজধানী প্রাগে আশেপাশের পাহাড়ের ওপর থেকে নিক্ষেপ করা হয় আতশ। আপেল কেটে প্রাগবাসী বরণ করেন নতুন বছর। যদি আপেলের মাঝখানে তারার আকৃতি পাওয়া যায়, সেটিকে সৌভাগ্যে প্রতীক বিবেচনা করা হয়।

মাদ্রিদ
স্পেন রাজধানীর কেন্দ্র পুয়ের্তা দেল সোল স্কয়ারে সবচেয়ে বড় পার্টির আয়োজন হয়। স্পার্কলিং ওয়াইন এবং আঙুর নিয়ে সবাই সেখানো জড়ো হন। ঘড়ির কাঁটা যখন নতুন বছরের ঘোষণা দেয়, তখন ঘণ্টার প্রতিটি আওয়াজের সঙ্গে একটি করে আঙুর খাওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে স্পেনে। প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অপরকে আঙুর খাইয়ে দেন। একে সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়।

জেনেভা
সম্ভবত নতুন বছর উদযাপনের সবচেয়ে খরুচে স্থান সুইজারল্যান্ডের এই শহর। লেক জেনেভায় আতশবাজি দেখার পাশাপাশি প্যাডেল হুইল স্টিমারে ছয় পদের ডিনার এবং শ্যাম্পেন পানের আয়োজন করা হয়। পুরো লেকের পাড় নানা রঙের আলোতে সাজিয়ে তোলা হয়।

– ডিডাব্লিউ

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ ঘটন-অঘটন ২০১৯

কানাডা প্রবাসীদের অনুষ্ঠানের ভিডিও দেখতে হলে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 2 =