প্রবাসের সংবাদ

বিলেতে কমলগঞ্জের শতজন | ব্যারিষ্টার তানজিবুর রহমান

বিলেতে কমলগঞ্জের শতজন Syed Masum
ব্যারিষ্টার তানজিবুর রহমান
# বিলেতে কমলগঞ্জের শতজন # ব্যারিষ্টার তানজিবুর রহমান  :এক সফল রাজনীতিবিদের গর্বিত উত্তরাধিকারী ।। ব্যারিষ্টার তানজিবুর রহমানের জন্ম ১৯৮৭সালে মৌলভীবাজার জেলাধীন কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের নছরতপুর গ্রামে। পিতা কমলগঞ্জ তথা মৌলভীবাজার জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক নির্বাহী সদস্য ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান ও মা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রওশন আরা চৌধুরী।
জনাব তানজিবুর রহমান এলাকায় ও ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে নিকন নামেও পরিচিত।

জনাব তানজিবুর রহমান প্রথমে কমলগঞ্জ মডেল প্রাইমারী স্কুল এবং শমসের নগর আব্দুল মছব্বির একাডেমিতে কিছুদিন পড়াশুনা করে ভারতের দার্জিলিংস্থ বোর্ডিং স্কুল থেকে কৃতিত্বের সহিত মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।
ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে ভর্তি হন ঢাকা নটরডেম কলেজে। ২০০৬সালে জনাব রহমান কৃতিত্বের সহিত নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ন হন।

২০০৭সালে উচ্চ শিক্ষার্থে পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। ২০০১২সালে স্টাফোর্ডশায়ার ইউনিভার্সিটি থেকে এল এল বি (অনার্স )এবং পরবর্তীতে একই ইউনিভার্সটি থেকে এল পি সি এবং কমার্শিয়াল ল’এর এর উপর স্নাতকোত্তর এল এল এম সম্পন্ন করেন। বার এট ল ’ পড়েন ম্যানচেষ্টার মেট্রপলিটন ইউনিভার্সিটিতে। ২০১৮সালে তাঁর বার কোর্স সম্পন্ন হয়। জনাব রহমান লিংকন ইন এরও একজন সম্মানিত সদস্য।

ব্যারিষ্টার তানজিবুর রহমানের পিতা অধ্যাপক রফিকুর রহমান এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী গনমানুষের সাথে সম্পৃক্ত তৃণমূল থেকে উঠে আসা এক বরেণ্য রাজনীতিবিদ।

জনাব রফিকুর রহমান ১৯৬৭সালে মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের ও ১৯৬৮সালে সিলেট সদর মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৬৯সালের আয়ুব বিরোধী সিলেটের ছাত্র আন্দোলন মূলত তাঁরই নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
১৯৭১সালে জনাব রফিকুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।

১৯৭৫সালে তিনি কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে শিক্ষকতায় যোগদেন এবং ২০১১সালে একই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন।

জনাব রফিকুর রহমান ১৯৭৭সালে কমলগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ,পরে মৌলভীবাজার জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ,কেন্দ্রিয় কৃষক লীগের সদস্য এবং নব্বইর দশকে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪সালে তিনি কমলগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০১৬সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে এই বরেণ্য রাজনীতিবিদকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য করা হয়।

১৯৯০সালে জনাব অধ্যাপক রফিকুর রহমান কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি তৃতীয়বারের মতো কমলগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিলেতে কমলগঞ্জের শতজন!

অধ্যাপক রফিকুর রহমানের একমাত্র পুত্র ব্যারিষ্টার তানজিবুর রহমান বাবার মতো রাজনীতিবিদ না হলেও রাজনীতি সচেতন ,দেশ ও জাতির কল্যাণ কাজে নিবেদিত প্রাণ। তাঁর স্বপ্ন দেশের জন্য কাজ করা এবং বাবার মতো দেশের বঞ্চিত হত দরিদ্র মানুষের পাশে থাকা।

বর্তমানে তিনি সরকারী চাকুরিজীবী ,হাইয়ার এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসাবে ইউকে কেবিনেট অফিসে কর্মরত আছেন।
ব্যক্তি জীবনে বিবাহিত জনাব ব্যারিষ্টার তানজিবুর রহমান ইংল্যান্ডের সারী শহরে বসবাস করেন এবং তাঁর স্ত্রী নাদিয়া রহমান একটি বহুজাতিক ব্যাংকে ফাইনেন্সিয়াল ক্রাইম এন্ড এন্ট্রি মানি লন্ডারিং এনালিস্ট হিসাবে কর্মরত।
সৈয়দ মাসুম। লেখক, কবি ও গবেষক। যুক্তরাজ্য
সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 2 =