দেশের সংবাদ

বেকার যুবকদের টাকা হাতাতে ফেসবুকে অভিনব ফাঁদ!

বেকার যুবকদের টাকা হাতাতে ফেসবুকে অভিনব ফাঁদ!

বেকার যুবকদের টাকা হাতাতে ফেসবুকে অভিনব ফাঁদ!

 

চাকরি খুঁজছেন? কোনো চিন্তা নেই। মাত্র ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা জামানত দিলেই মিলবে মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন। এমন অফার দিয়ে ফেসবুকে একাধিক আইডি ও গ্রুপ খুলে বেকার যুবকদের টাকা হাতিয়ে নেয়ার ফাঁদ পাতা হচ্ছে। এই চক্রের ফাঁদে পড়ে মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরের অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। প্রশাসন বলছে, কোনো ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর র‌্যাব বলছে, অভিযোগের ভিত্তিতে এসব প্রতারকচক্র ধরতে কাজ শুরু করেছে তারা।

মাদারীপুরের সরকারি নাজিমুদ্দিন কলেজের তৃতীয় বর্ষ সম্মানের ছাত্র সাজ্জাদ। লেখাপড়ার খরচ চালানোর জন্য দরকার চাকরির। তাই ফেসবুকে উচ্চ বেতনে চাকরির অফার দেখে ভাগ্য বদলাতে ৮ হাজার টাকা জামানত দেন। কিন্তু চাকরি নয় প্রতারণার শিকার কালকিনির এই যুবক।

প্রতারকচক্র বিকাশের মাধ্যমে টাকা নেয়ার পরই সাজ্জাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

ভুক্তভোগী সাজ্জাদ বলেন, ফেসবুকের একটা গ্রুপে কিছু মানুষ অ্যাড হয়, সেখানে টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছি।

শুধু সাজ্জাদ’ই নয়। তার মতো অনেক যুবক ফেসবুকে লোভনীয় বিজ্ঞপ্তি দেখে চাকরির আশায় টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার। তাদের জানানো হয়, প্রতিটি উপজেলায় নিয়োগ দেয়া হবে অন্তত ৯০০ স্বাস্থ্যকর্মী। যাদের বেতন হবে অন্তত ২৫ হাজার টাকা।

চাকরির জামানত দিতে হবে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর প্রতারকচক্র টাকা হাতে পাওয়ার পরই ফেসবুক ও গ্রুপ থেকে ওই যুবকদের ব্লক করে দিচ্ছে।

ভুক্তভোগী যুবকদের আরেকজন বলেন, টাকা নেয়ার পর ওই গ্রুপ থেকে আমাদের বাদ করে দেয়া হয়েছে। ব্লক করে দেয়া হয়েছে।

বৃহত্তর ফরিদপুরের যুবকদের টার্গেট করে বিএমএ পদ্মা বিভাগ নামে ফেসবুকে একটা গ্রুপ খোলা হয়েছে। মূলত এটি চালায় সোনালী হেলথ কেয়ার নামে একটা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতারক চক্রের মূলহোতা মুশিউর রহমান।

মুঠো ফোনে দাবি করেন, ট্রেনিং ও সুরক্ষা সামগ্রী কিনতে আবেদনকারীকে দিতে হয় জামানত। কিন্তু টাকা নেয়ার পর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয় কেন জানতে চাইলে লাইন কেটে দেয়া হয়।

সোনালী হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান মুশিউর রহমান বলেন, সরকারি সার্কুলারে যারা আবেদন করে, আমরা তাদের তালিকা সরকারকে দেই। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও লোক সরবরাহ করা হয়।

ভুক্তভোগী কেউ অভিযোগ করলে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, যারা প্রতারণার শিকার হয়েছে তারা নিকটস্থ থানায় অভিযোগ করতে পারেন, মামলা অথবা জিডি করতে পারেন। আমরা তাদের আইনগতভাবে সাহায্য করব।

অন্যদিকে, অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এসব প্রতারকচক্র ধরতে কাজ শুরু করেছে র‌্যাবের একাধিক দল।

মাদারীপুরের র‌্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অতি শীঘ্রই এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো সংস্থা স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিলে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগকে জানাতে হয়। তবে, বিএমএ পদ্মা বিভাগ, সোনালী হেলথ কেয়ারসহ নামে বেনামে বিভিন্ন সংগঠনের সাথে চাকরির জন্য আর্থিক লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।

সূত্রঃ সময় টিভি নিউজ

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন