মন্ট্রিয়লে হতে যাচ্ছে উন্মুক্ত স্থায়ী শহীদ মিনার!
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে মন্ট্রিয়লে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি কিংবা বাংলা ভাষাভাষী মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলছে।। নীরবে নিভৃতে একজন মানুষ দীর্ঘদিন চেষ্টার পর তা বাস্তবে রূপ নিতে চলছে।
কানাডার টরন্টোসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশের বাঙালি অধ্যুষিত শহরে প্রতিষ্ঠিত হলেও মন্ট্রিয়ল কমিউনিটিতে বহুধা বিভক্ত থাকায় তা বারবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও বিশেষ করে অনৈক্যের কারনে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। ২০২৩ এর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষাকে (মহান শহীদ দিবস) সামনে রেখেই এগিয়ে চলছে কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠিত হতে চলছে মন্ট্রিয়লের ডাউনটাউনের পাশেই Parc de L’encan এ স্থায়ী উন্মুক্ত শহীদ মিনার। এই শহীদ মিনারটি ডিজাইন ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে হলেও কিছুটা ছোট সাইজের হবে বলে জানিয়েছেন শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার মূল নায়ক রোমান আলম। ইতোমধ্যে আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ারের ডিজাইন অনুয়ায়ী মাটির খনন কাজ শুরু হয়েছে। গত ৩০শে অক্টোবর রোববার সিটির ভিনেত লাইব্রেরীর হলরুমে মিডিয়া ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সামনে এই প্রজেক্টটি ঘোষণা করেন রোমান আলম। সভাশেষে বরাদ্দকৃত মাঠ পরিদর্শন করেন সাংবাদিক এবং কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ। ছোট্ট সভা হলেও বিষয়টির ব্যপ্তিটি ছিল বিশাল। রোমান আলমকে সহযোগিতা করছেন কানাডায় জন্মনেওয়া এ প্রজন্মের অনেক সন্তানরা।
সভার শুরুতেই রোমান আলম ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র দেখান এবং সতেরো বছর বয়সী ভারতীয় এবং বাংলাদেশিদেরকে নিয়ে Maison des jeunes L’Escampette অর্গানাইজেশন মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি সন্মান জানাতে মন্ট্রিয়ল শহরের ডাউন টাউনে Parc de L’encan-এ শহীদ মিনারটি নির্মাণ হবে এবং এই নির্মাণে কমিউনিটির কাছ থেকে কি কি সহযোগিতা প্রয়োজন তা ব্যক্ত করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রজেক্টের পরিচালক জুলি লেপেজ, খোকন মনিরুজ্জামান, এলেন হেলাল চৌধুরী, এজাজ আকতার তৌফিক, সোহেল মিয়া, খন্দকার হাসান জাহিদ কমল, সদেরা সুজন, শরিফ ইকবাল চৌধুরী, তাহা আব্দুল্লা আল ইদ্রিসী, বেলায়েত হোসেন, দীন মোহাম্মদ,নাফিসা রহমান, রাবেয়া হোসেইন, শফিকুর রহমান এবং প্রজেক্টের প্রকৌশলী এরিক ক্যানো।
বক্তারা রোমান আলমের নীরব বিপ্লবের প্রশংসা এবং ধন্যবাদ জানিয়ে সবধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে দল-মত-ধর্ম-জাতি-সম্প্রদায় নির্বিশেষে এমন সুন্দর মহৎ কাজের জন্য সবার এগিয়ে আসার দাবি জানান।