মানা ||| শীতল চট্টোপাধ্যায়
বৃষ্টি হলো, জল গড়ালো
গড়িয়ে জল বইছে যখন,
একটা মরা নদীর রেখা
চাইছে যেন ও জল তখন !
বলছে – আমি নদী পায়ে
কবেই গেছি অবশ হয়ে,
বৃষ্টি গড়ান জল এসে তুই
মিথ্যে নদী হ-না বয়ে ৷
আমারও তো নাম ছিল এক
সে নাম ধরে ডাকত সবাই,
শরীরে রোগ আনল যারা
মানুষ তারা, কেউ কাছে নাই ৷
ক্ষয় রোগেতে কষ্ট বাড়ে
পচন ধরে শরীরময়ে,
জল কথারা ফোটেনা আর
প্রতিদিনের শরীর ক্ষয়ে ৷
কন্ঠ আমার রোধ হয়ে যায়
নিজের গল্প নিজেই ভুলি,
নৌকো বলে- ও মাঝি ভাই
আমি এখন কোথায় দুলি ৷
নদীর মরণ দেখতে বোধহয়
মানুষ খুবই ভালোবাসে,
সজ্ঞানেতে মরছি যখন
কাঁদছিল কাশ আমার পাশে ৷
জলহীন আমায় জল দিলনা
মরণ কালে একটু মুখে,
পাড়ের শ্মশান দেখছে চেয়ে
মৃত্যু – বাঁচে আমার বুকে ৷
মরা শরীর তোলে না কেউ
দেহের ওপর মরে পানা,
নদীর ছিল জলঙ্গী নাম
নাম বলা আজ সবার মানা ৷
——————————
পাথর দেখেছিল
প্রস্তর যুগের পাথর দেখেছিল
আজকের বর্তমান ৷
নিজের দুর্ভেদ্য বক্ষাধারের কঠিন্যে
ঝর্ণা রপসীকে
আগলিয়ে রেখেছে তাই ৷
অমানবিকে – মানবিক ঝর্ণা যখন
স্তব্ধ হয় প্রতিদিন , তখন
পাহাড় তাদের প্রতীকীতে ঝর্ণা বওয়ায় ৷
ঠিকানা – জগদ্দল , পশ্চিমবঙ্গ , ভারতবর্ষ