মালয়েশিয়ার জরুরি অবস্থা জারি করতে রাজা সুলতান আব্দুল্লাহ রিয়াতুদ্দিন আল-মুস্তাফা বিল্লাহ শাহের পাহাং-এর কুয়ানতানে তার প্রাসাদে ইয়াং দি-পারতুয়ান আগং-এর সাথে সাক্ষাৎ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তান শ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন আজ (শুক্রবার) রাতে জনগণের কাছে সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন না। যাতে জনগণের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজার কাছে দেশে জরুরি অবস্থা জারির অনুরোধ জানানো হলেও এই নিয়ে এখনই জনগণের কাছে কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন না বলে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র থেকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার এক বিশেষ বৈঠকের পর পাগোহ এমপি কুয়ান্তানে ইয়াং দি-পারতুয়ান সুলতান আব্দুল্লাহ রিয়াতুদ্দিন আল-মুস্তাফা বিল্লাহ শাহের সাথে দেখা করতে কুয়ানতানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তারপর বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে কুয়ানতানের ইস্তানা আব্দুল আজিজে আসতে দেখা যায় এবং রাজার সাথে দুই ঘণ্টার সাক্ষাতের পর তিনি চলে যান।
তবে কী কারণে প্রধানমন্ত্রী জরুরি অবস্থা জারির অনুরোধ জানিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। প্রস্তাবিত জরুরি অবস্থার আওতায় পার্লামেন্ট স্থগিতের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে। আগামী মাসে (নভেম্বর) পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরুর কথা।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলার জন্য নয়, বরং করোনাভাইরাসজনিত ব্যয় নিশ্চিত করতেই অর্থনৈতিক জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণার চিন্তা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় কারফিউ জারির মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে না কিংবা সামরিক বাহিনীকেও সম্পৃক্ত করা হবে না বলে দাবি করছেন তারা।
এদিকে, এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন বিরোধীদলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করতে করোনা মহামারিকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সংকট মোকাবিলায় জোরালো নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে অগণতান্ত্রিক উপায় বেছে নিচ্ছে।
এছাড়াও তিনি এক বিবৃতিতে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের এমন একটি সরকার রয়েছে যার বৈধতা নেই এবং তিনি জানেন যে, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেতে ব্যর্থ হবেন। সে জন্য ক্ষমতার অপব্যবহারের অংশ হিসেবে করোনা সংকটকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছেন।
গত মার্চ মাসে সংসদে মাত্র দুটি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। যদিও বিরোধী নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম দাবি করেছেন যে, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সংসদে এখনও তার সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন আছে। মূলত এরপর থেকেই বেশ চাপে আছেন মালয়েশিয়ান প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, রাজা তখনই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন, যদি দেখেন যে, জাতীয় সুরক্ষা, অর্থনীতি বা জন-শৃঙ্খলার জন্য হুমকি রয়েছে। দেশটিতে সবশেষ ১৯৬৯ সালে রাজনৈতিক গৃহবিবাদ ও দাঙ্গার সময় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। এরপর আর এটির প্রয়োজন হয়নি।
সূত্রঃ সময়নিউজ
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন