সাহিত্য ও কবিতা

চুলকানি |||| বিশ্বজিৎ মানিক


চুলকানি |||| বিশ্বজিৎ মানিক

চুলকানি রোগী আজ – বেড়ে গেছে সমাজে
স্থান কাল বুঝে না – চুলকানি মেজাজে
শুরু হলে একবার – থামতেই চায়না
চামড়াটা উঠে গেলেও – চুলকানি যায় না।

স্বাধীনতার পরে বেশ – চুলকানি ছিল ভাই
আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে – উঠে যেতো দেখি ‘ চাই ‘
দাওয়াই এর অভাবটি – ছিল দেশে কতো যে
‘ চাই ‘ গুলো মারা হতো – গাভী গরুর ‘ চানা ‘ তে।

কাঁটা দিয়ে খুঁটা হতো – পুঁজওলা যতো ‘ চাই ‘
দৃশ্যমান ‘ চাই ‘ কিন্তু – এখন আর দেশে নাই
জীবানুটি হয়নি তো – একেবারে নিঃশেষ
রোগী দেখে হবেনা তো – কারো কোন বিশ্বেস।

ডাক্তারের চেম্বারে – কতো দেখি লোকজন
কোট টাই পড়ে যায় – বেশধারী রোগীগণ
কাপড়ের নিচে তার – চুলকানি অবিরাম
শুরু হলে চুলকানি – ভুলে যায় ধরাধাম।

লজ্জার মাথা খেয়ে – লোকালয়ে চুলকায়
কে কিবা বলে তাতে – তার কিবা আসে যায়
চুলকানি শুরু হলে – শেষ বুঝি  হবেনা
দাওয়াইটি পেলে ঠিক – চুলকানি রবেনা।

চেতনার ধুয়ো তুলে – কতোজন চুলকায়
অকারণে প্রতিদিন – দেখি শুধু ধমকায়
ইউ টিউব ফেসবুকে – চুলকানি হরদম
কথা দিয়ে কথা নিয়ে – ঢিল ছুঁড়ে  মারে বোম।

সাইবার ক্রাইম করে – পাড় পেয়ে যায় কেউ
গিনিপিগ হয়ে যায় – করে যারা ঘেউ ঘেউ
চুলকানি খেয়ে কারো – উঠে শীষ মাথাতে
প্রতিকার নেই দেখে – থাকে শুধু হাঁপাতে।

জনসভা করে কেউ – মাইক হাতে চুলকায়
চুলকানি রোগ আছে – তাকে দেখে বুঝা যায়
ভেক ধরে সাধু সেজে – চুলকানি আছে যার
শয়তান বুঝে তাকে – সাধ্যটি আছে কার?

প্রকাশ্যে চুলকানি – ভালো বলে মনে হয়
বুঝেশুঝে চলা যায় – বন্ধুটি সে তো নয়
ভিতরেতে ঢুকে কেউ – গোপনেতে চুলকায়
কঠিন হলে চেনা তাকে – ধন মান প্রাণ যায়।

২৪/১০/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।

সংবাদটি শেয়ার করুন