দেশের সংবাদ ফিচার্ড

মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অনশন ভাঙালেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক

মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অনশন ভাঙালেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক

চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: ২০ জুলাই চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক অনশনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষনা করে আগামী দুই মাস সময় নিয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল পূর্নাঙ্গরুপে চালুর আশ্বাস প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান নিজের হাতে আজ ২০ জুলাই অনশনরত মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোমল পনীয় পান করান।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান বলেন, শুধু এই জেলায় না। এই রকম নতুন স্থাপনা দেশের অনেকগুলো নির্মিত হয়েছে। এ জেলাগুলোতে একই সাথে কার্যক্রম শুরু হবে। চুয়াডাঙ্গায় প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়েছে কিনা তত্ত্বাবধায়ক বলতে পারবেন। এরপর লাগে বাজেট বরাদ্দ। তবে আপনাদের (অনশনকারীদের) বিষয়টা আমি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহতি করে যাচ্ছি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা: আতাউর রহমান বলেন, আমি দুইবার চিঠি দিয়েছি উর্দ্ধতন সংশ্লিষ্ট বিভাগে। সেখান থেকে জানানো হয়েছিল নতুন অর্থ বছরে বিষয়টি দেখবেন। গতকালও মিনিস্ট্রিতে কল করেছি, সেখান থেকে জানানো হয়েছে অর্থ মন্ত্রনালয়ে আছে।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমরা পর্যালোচনা করেছি তাদের দাবিগুলো অন্যান্ত যোক্তিক। আসলে যারা জনস্বার্তে ও মানবতার পক্ষে এই দাবিগুলো তুলে ধরেছেন তাদের ধন্যবাদ জানায় এবং সেই সঙ্গে তাদের দাবি সঙ্গে আমি একাত্মতা ঘোষনা করছি।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমাদের ২৫০ শয্যার সকল কিছুর অনুমোদন হয়ে গেছে। ধাপে ধাপে সকল কার্যক্রম শুরু হবে। কত দিনের মধ্যের দাবি বাস্তবায়ন করা হবে অনশনকারীদের এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, দুই মাস আমরা সময় চেয়ে নিচ্ছি। স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাজ আছে। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গেলে জনবল আমরা পেয়ে যাব।

এদিকে, গত ১৮ জুলাই সকাল থেকে সদর হাসপাতাল চত্বরে আমরণ অনশন শুরুর পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে অনশন ভাঙ্গলেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের নেতাকর্মীরা।

মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গরীব রুহানী মাসুম বলেন, জেলা প্রশাসক ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আমরা আমরণ অনশন থেকে সরে এসেছি। নিজ হাতে পানি পান করিয়ে আমাদের অনশন ভাঙ্গিয়েছেন। তবে তারা দুই মাস সময় নিয়েছেন। এর মধ্যে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২১ সেপ্টম্বর থেকে আবারো আন্দোলন শুরু করা হবে। যতক্ষন পর্যন্ত দাবি বাস্তবায়ন না হবে তত দিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূইয়া, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমানসহ অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তারা।



এসএস/সিএ
সংবাদটি শেয়ার করুন