ফিচার্ড মত-মতান্তর

‘মুক্ত ঝুমন’ এবার পূজার বোনাস!

বাংলাদেশের-ভবিষ্যৎ-কি

মুক্ত ঝুমনএবার পূজার বোনাস!

শিতাংশু গুহ, ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২১, নিউইয়র্ক।। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে আটক সুনামগঞ্জের ঝুমন দাস আপন’-র জামিন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২১ বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারোয়ারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ তার ১ বছরের জামিন-র আদেশ দেন। আদালত অনুমতি ছাড়া ঝুমন সুনামগঞ্জের বাইরে যেতে পারবে না বলেও আদেশ দেন্। দূর্গা পূজার আগে ‘মুক্ত ঝুমন’ এবার পূজার বোনাস।

ঝুমনের মুক্তির জন্যে দেশের প্রগতিশীল শক্তি মাঠে নেমেছিলো, জনমত গড়ে উঠেছিলো। যাঁরা ঝুমনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, ব্যক্তি, সামাজিক সংগঠন, দেশে-বিদেশে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি, প্রতিবাদ করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। বিশেষ ধন্যবাদ এডভোকেট জেড আই খান পান্না এবং তাঁর টীমকে। এডভোকেট পান্না বলেছেন, ‘ঝুমন দাশ একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক, তার বিরুদ্ধে কোনভাবেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা চলতে পারেনা’।

ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার  অভিযোগ তুলে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের সমালোচনায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ঝুমন দাসের নামে। দীর্ঘদিন কারাবন্দী থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের যুবক ঝুমন দাস হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এ ঘটনার জেরে ১৭ মার্চ কয়েক হাজার মৌলবাদী ঝুমনের বাড়িসহ সংখ্যালঘুদের গ্রামে হামলা চালায়। প্রায় দেড় হাজার লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয়, গ্রেফতার হয় ৫২জন, যারা সবাই জামিনে মুক্ত। জেলে ছিলেন শুধু ঝুমন, প্রায় ৭মাস পর ৭বারের চেষ্টায় তিনি জামিন পান।

ঝুমন গ্রেফতার হ’ন ১৬ই মার্চ, সেদিন তাঁর মোবাইল পুলিশ জব্দ করে। কিন্তু পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে ২২শে মার্চ ২০২১, আদালতে ওঠায় পরদিন ২৩শে মার্চ ২০২১। ১৬-২২ মার্চ ঝুমন কোথায় ছিলেন? এ্যাডভোকেট জেডআইখান পান্না হিন্দু সংগঠন, নেতা ও হিন্দু এডভোকেটদের একহাত নিয়েছেন। এটি ঠিক, হিন্দু এডভোকেট ও নেতারা ব্যর্থ। এ্যাডভোকেট পান্না প্রথমবারেই বাজিমাৎ করেছেন। সত্য যে, তিনি যখন মামলা হাতে নিয়েছেন, তখন জনমত ঝুমনের পক্ষে।

ঝুমন দাস মুক্তি পেয়েছে, ভালো কথা, এরপর কি? ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টে ‘ধর্ম-অবমাননার’ দায়ে আরো অনেক ছেলেমেয়ে অযথা জেলে পঁচছে, ঝুমন দাসের মতই এঁরা নিরাপরাধ ভিকটিম, এদের মুক্তি দেয়া হোক। ডিজিটাল আইনটি ধর্ম-অবমাননার ক্ষেত্রে অপব্যবহার হচ্ছে, এটি বন্ধ হওয়া দরকার। ধর্ম এত ঠুনকো জিনিস নয় যে কেউ কিছু বললে, ‘গেল গেল’ বলে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। দেশে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি হচ্ছে, তা বলা বাহুল্য, সময় থাকতে এর রাশ টেনে ধরা উচিত।

ঝুমন দাসের মুক্তি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এনিয়ে জাতীয় ঐক্যমত ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ক্ষমতাসীন দল এবং সরকার মৌলবাদের সাথে গাঁটছড়া ছিঁড়ে বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথে, বাহাত্তরের সংবিধানের আলোকে দেশ ও জাতিকে পরিচালনা করুন। দেশে শনৈ শনৈ উন্নতি হচ্ছে ঠিকই, কিন্ত নৈতিক অবক্ষয় এবং দুর্নীতিতে দেশ আকণ্ঠ নিমজ্জিত। আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছে, দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাচ্ছে, আওয়ামী লীগকেই পারতে হবে দেশকে ‘সঠিক রাস্তায়’ নিয়ে যেতে, নইলে সবকিছু অর্থহীন হয়ে যাবে। # [email protected];

 

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

সংবাদটি শেয়ার করুন