গণমাধ্যমকে কন্সাল জেনারেল সাদিয়া
মুজিববর্ষে নিউইয়র্কের লাইব্রেরিতে বাংলা কর্নার
নিউইয়র্কস্থ কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা জানিয়েছেন কুইন্সের সবচেয়ে বড় পাবলিক লাইব্রেরিতে মুজিববর্ষে নিউইয়র্কের লাইব্রেরিতে বাংলা কর্নার ‘বাংলা কর্নার’ স্থাপনের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কন্স্যুলেট মিলনায়তনে স্থানীয় গণমাধ্যমের সাথে বিগত বছরের কার্যক্রম এবং মুজিববর্ষের পরিকল্পনা উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা জানান।
১৭ মার্চ নতুন প্রজন্মের বাঙালি ছাড়াও ভিনদেশী প্রজন্মের উপস্থিতিতে ‘বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী’ তথা মুজিববর্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে জ্যামাইকায় কুইন্স লাইব্রেরির প্রধান মিলনায়তনে। এর চারদিন পর ২১ মার্চ জাতিসংঘ সদর দফতরের নিকট ম্যানহাটানে বহেমিয়ান অডিটরিয়ামে কংগ্রেস ও অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্য ছাড়াও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী বন্ধু এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্যগতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের শুভার্থীসহ বাংলাদেশী আমেরিকানদের নিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী একটি আলোচনা ও বিষয়ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
সাদিয়া ফয়জুননেসা এসময় উল্লেখ করেন, এই কন্স্যুলেটের আওতায় ৮টি অঙ্গরাজ্যেই বছরব্যাপী অনুষ্ঠান করা হবে। সবগুলো অনুষ্ঠান গিয়ে মিলবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে।
মুজিববর্ষে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে নিজস্ব ভবনে বাংলাদেশ কন্স্যুলেট তথা ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’র কী হল? জানতে চাইলে কন্সাল জেনারেল জানান, ‘এটি সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। প্রবাসীরাও সদা সোচ্চার নিজস্ব ভবনে কন্স্যুলেট হওয়া নিয়ে। আলাদা একটি ভবন হলে সেটির নাম দেয়া যাবে বঙ্গবন্ধু ভবন, যার ওপরে পতপত করে উড়বে লাল-সবুজের পতাকা।’
গণমাধ্যমের সাথে কন্স্যুলেটের কর্মকান্ড আলোকে অনুষ্ঠিত এ শুভেচ্ছা বিনিময় সমাবেশে জাতিসংঘে বাংলাদেশের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূরএলাহি মিনা, কন্সাল আয়েশা হক, কন্স্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারি শামীম হোসেন সহ কর্মকর্তারা ছিলেন। এ সময় উন্নয়নের রোল মডেল আলোকে কন্স্যুলেটের বিভিন্ন সার্ভিসের ওপর তথ্য-চিত্র প্রদর্শন করা হয়।