কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর সচল হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা।
আজ রোববার (২৮) বিকেল ৩টা থেকে সারাদেশে এ সেবা চালু করা হয়। এখন ফোরজি সেবা চালু হয়েছে। পরবর্তীতে ৫জি সেবাও চালু করা হবে।
এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) ব্রিফিংয়ে ৩টা থেকে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালুর এ ঘোষণা দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় মোবাইল অপারেটর ছাড়াও বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, সকালে বিটিআরসিতে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আজ বিকেল ৩টার পর থেকে মোবাইল ইন্টারনেট কানেকটিভিটি পুনঃস্থাপন করতে পারবো। বিকেল ৩টার পর থেকে সারাদেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হবে। তার জন্য প্রযুক্তিগত যত সহায়তা দরকার, আমরা তা সবসময় দেবো। মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোও যত দ্রুত সম্ভব প্রস্তুতি নেবে।
প্রসঙ্গত, গ্রাহকদের ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সব মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে ৫ জিবি করে ডাটা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যার মেয়াদ হবে তিন দিন। সকল অপারেটরের গ্রাহকরাই এই সুবিধা পাবেন।
মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক, টিকটকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
শনিবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ফেসবুক, ইউটিউব এবং টিকটককে চিঠি দিয়েছে বলে আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বিটিআরসি তে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পলক বলেন, গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে তাদের কাছে জানতে চেয়েছি যে, তারা কি বাংলাদেশের সংবিধান মেনে বাংলাদেশের সাইবার স্পেস ব্যবহার করতে চায় নাকি আইন ভেঙে?
৩১ জুলাই বিটিআরসি তে এসে লিখিত এবং মৌখিকভাবে জবাব ও ব্যাখ্যা দিতে বলেছি। তাদের থেকে শুনে সিদ্ধান্ত নিতে চাই। সম্পূর্ণভাবে কোনো অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করিনি। বাকিটা তাদের ওপর নির্ভর করবে। তারা দায়িত্বশীল আচরণ করলে সরকারের সহযোগিতা পাবে। আমরা কোনো কিছু বন্ধ করতে চাই না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আওয়ামী লীগের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে এমন ইঙ্গিত করে পলক বলেন, গত ১ মাসের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও গুজব ছড়িয়ে যেসব কনটেন্ট প্রকাশ করা হয়েছিল, সেগুলো তাদেরকে পাঠিয়েছি। যতগুলো কনটেন্ট তারা সরিয়েছে, প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করেছে সেটা অতি নগন্য, আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
আওয়ামী লীগের সমর্থনে কাজ করা ৫০ পেজ ও একাউন্ট বন্ধ করেছে। একই কাজ বিএনপির ভেরিফায়েড পেজ থেকে বা তারেক রহমানের পেজ থেকে যা পোস্ট করা হচ্ছে, সেগুলো কেন ব্লক করা হচ্ছে না।