প্রবাসের সংবাদ

ম্যানহাটনে নিজ বাসায় খুন হলেন ফাহিম সালেহ

আমেরিকান তরুণ ব্যবসায়ী ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম সালেহ।

ম্যানহাটনে নিজ বাসায় খুন হলেন ফাহিম সালেহ !

বাইকে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি ফাহিম সালেহ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনে খুন হয়েছেন। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ফাহিমের মরদেহ তার বাসা থেকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উদ্ধার করা হয়। হাত-পা ও মাথা তার শরীর থেকে আলাদা ছিল। আর তার মরদেহের পাশেই পাওয়া গেছে ইলেকট্রিক ‘স’। নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনের নিজের অভিজাত এ্যাপর্টমেন্টে নৃশংসভাবে খুন হলেন বাংলাদেশী আমেরিকান তরুণ ব্যবসায়ী ফাহিম সালেহ। ফাহিম সালেহ’র লাশ গত ১৪ জুলাই মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে ম্যানহাটনের লোয়ার ইস্ট সাইড এ্যাপার্টমেন্টে পাওয়া যায়।

ফাহিম সালেহ’র কাজিন আতাউর বাবু জানান, ফাহিম সালেহ’র জন্ম এখানেই। তার বাবা- মা নিউইয়র্কের পোকেএসপিতে থাকেন। তার আরো দুটো বোন রয়েছে। ফাহিম সালেহ কম্পিউটার সাইন্সে গ্যাজুয়েশন করেছেন। ছাত্র অবস্থা থেকেই ফাহিম সালেহ মিলিয়নার ছিলেন। তিনি বাংলাদেশীদের মুখ আমেরিকায় উজ্জ্বল করেছিলেন। তিনি একবার বাংলাদেশে বেড়োতে গিয়েছিলেন। সেখানে ট্রাফিক জ্যাম দেখে তার উপরই রাইড শেয়ারিং পাঠাও নামে একটি সফটওয়ার ডেভেলপ করেন। বাংলাদেশী এবং আমেরিকার তরুণ সমাজের আইন ফাহিম তার সফটওয়ার নিয়ে অতিসম্প্রতি নাইজেরিয়ার কাজ শুরু করেছিলেন। জানা গেছে, ফাহিম সালেহ ম্যানহাটনে যে এ্যাপার্টমেন্টে খুন হন সেই এ্যাপার্টমেন্ট তিনি নিজে ক্রয় করেছিলেন। এই এ্যাপার্টমেন্টের মূল্য প্রায় ২.৫ মিলিয়ন ডলার। ফাহিম ঐ এ্যাপার্টমেন্টে একা থাকতেন। তার একটি কুকুর রয়েছে। ফাহিম সালেহ’র লোকজন / বন্ধু বান্ধব ক্যালিফোর্নিায়াতেও কাজ করেন। তাদের কয়েকজন ফাহিমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে।

কিন্তু কোনভাবেই তাকে পাচ্ছিলো না। ঐ সময় তারা ব্রঙ্কসে থাকা ফাহিমের খালার বাসায় কল দেন। জানা গেছে, ফাহিমকে দেখতে তার খালাতো বোন যান এবং তিনি ফাহিমের কোন নাড়া শব্দ না পেয়ে পুলিশকে কল দেন। পুলিশ এসে দেখতে পায় বাসায় ৩৩ বছর বয়সী ফাহিমের খন্ডবিখন্ড লাশ। লাশের পাশে কয়েকটি প্লাস্টিক ব্যাগও ছিলো। কবে, কারা এবং কীকরণে তাকে খুন করেছে পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। তার কুকুরটিকে পাশের একটি বন্ধ করে রাখা হয়। পুলিশ ফাহিমের মৃত্যুর বিষয় তদন্ত করছে। এখনো পর্যন্ত তারা কোন ক্লু পায়নি। জানা গেছে, ফাহিমের বাবা- মা ব্রঙ্কসে এসেছেন। তার দেশের বাড়ি বাংলাদেশের সন্দ্বীপে। ফাহিমের পরিবার বাকরুদ্ধ। চলছে শোকের মাতম। সূত্রঃ ঠিকানা ও ডেইলি নিউজ থেকে সংকলিত

 

সিএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

সংবাদটি শেয়ার করুন