যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলা নববর্ষ, ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপন
ওয়াশিংটন, ডিসি, ১৪ মে। ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটন, ডিসি-তে বাংলাদেশ দূতাবাস শুক্রবার (১৩ মে) বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ এবং ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপন করেছে।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়া ও জন কূটনীতি বিষয়ক মার্কিন উপ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বাসেডর কেলি কেইডারলিং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অপরাজিতা হক এবং এডিটরস গিল্ডের সভাপতি ও একাত্তর টেলিভিশনের এডিটর-ইন-চিফ মোজাম্মেল বাবু।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ সহিদুল ইসলাম দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর কূটনীতিকরা, মার্কিন সরকার ও পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি আনন্দঘন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূত কেলি কেইডারলিং তার বক্তৃতায় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন ।তিনি বলেন, লাখ লাখ বাংলাদেশি দারিদ্র্য সীমা থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং বাংলাদেশ এখন মধ্যমে আয়ের শ্রেণীতে প্রবেশ করেছে।রাষ্ট্রদূত কেইডারলিং বলেন, তার দেশ এমন একটি দেশের সাফল্য গাঁথার অংশ হতে চায় যে দেশ অর্থনৈতিক শক্তিধর একটি দেশ হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বর্ণাঢ্য ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং জাতির সার্বজনীন উৎসব।
তিনি বলেন, অন্যদিকে ঈদুল ফিতর সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব; যা তাদের আত্মশুদ্ধি, সহমর্মিতা ও দানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
তিনি উল্লেখ করেন যে এই দুটি উৎসব স্বাধীনতা যুদ্ধের মৌলিক মূল্যবোধ উদযাপনের জন্য, যেখানে সকল ধর্ম ও জাতির মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করবে। যেমনটি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি সমাজের অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল নীতিকে সমুন্নত রাখতে অটল রয়েছেন এবং তার দল আওয়ামী লীগ সমাজে ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থানের বিরুদ্ধে অবিরাম সমর্থন দিয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ ও ঈদুল ফিতর উদযাপনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের চার কর্মকর্তা বাংলায় কবিতা ও ছড়া আবৃত্তি করেন। বাংলাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা আনিলা চৌধুরীর গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এই পর্ব শেষ হয়।
উদযাপনের অংশ হিসাবে এর আগে চ্যান্সেরি প্রাঙ্গণ থেকে একটি “মঙ্গল শোভাযাত্রা” বের করা হয়। ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রাটি দূতাবাসের পার্শ্ববর্তী সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
অনুষ্ঠান শেষে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবার পরিবেশন করা হয় যা বিদেশি অতিথি কতৃক দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এসএস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান