জানা অজানা

রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ

রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ
করোনার মধ্যে রমজান মাসে করনীয়। ছবি: সংগৃহীত

রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ! পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে করোনা মোকাবিলায় কিছু নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির মতে- ধর্মীয় ও সামাজিক জমায়েত বাতিল করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে- জনসমাগমকে সীমাবদ্ধ, সংশোধন, স্থগিতকরণ, বাতিল করা বা এগিয়ে যাওয়ার যে কোনো সিদ্ধান্ত ঝুঁকি মূল্যায়ন করার পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে নেয়া উচিত। এ সিদ্ধান্তগুলো করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি কি হবে সে হিসেবে নেয়া উচিত। যদিও ধর্মীয় ও সামাজিক সমাবেশ বাতিল করা হয় সেক্ষেত্রে বিকল্প ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।

রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ:

১. মসজিদে নামাজ আদায় করার সময় কমপক্ষে ১ মিটার বা ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

২. কোলাকুলি করা, গায়ের উপর হাত দিয়ে ডাকা, শরীরের উপর হাত রাখা- এসব অভ্যাস ত্যাগ করুন।

৩. রমজানে দোকানে বা বাজারে একসঙ্গে অনেক মানুষ জমায়েত বন্ধ করুন।

৪. অসুস্থ মানুষ এবং করোনার সামান্যতম লক্ষণ আছে তাদের বাসায় থাকতে বলুন। সেইসঙ্গে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন।

৫. প্রবীণ এবং অসুস্থদের সমাবেশে অংশ নিতে নিষেধ করুন।

রমজানে যে কোনো প্রকার সমাবেশের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ:

১. বাইরের যেকোনো সমাবেশ পরিত্যাগ করতে হবে এবং একান্ত প্রয়োজন হলে বাড়ির ভিতর খোলামেলা জায়গায় ব্যবস্থা করতে হবে।

২. সমাবেশের সময়সীমা যতটা সম্ভব কম করুন।

৩. বড় বড় সমাবেশে যোগ দেয়ার চেয়ে কম অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ছোট সমাবেশের আয়োজন করুন।

৪. দাঁড়িয়ে থাকার সময়, নামাজ পড়ার সময়, ওযু করার সময় এবং জুতা সংরক্ষণের স্থানেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন।

৫. মসজিদে প্রবেশ এবং বের হওয়ার মুহূর্তে সব সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

৬. সমাবেশের মধ্যে যদি কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায় তবে তার ঠিকানায় যোগাযোগ করতে হবে।

৭. মসজিদের প্রবেশদ্বারে এবং ভিতরে হ্যান্ড ওয়াশ ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। সেইসঙ্গে অ্যালকোহল সমৃদ্ধ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

৮. পর্যাপ্ত পরিমাণে টিস্যু থাকতে হবে ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।

৯. মসজিদে কার্পেটের উপরে ব্যবহারে জন্য ব্যক্তিগত জায়নামাজ ব্যবহারের বিষয়ে সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে।

১০. জীবাণুনাশক এবং ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে নামাজের আগে পরে মসজিদ পরিষ্কার রাখতে হবে।

১১. মসজিদের প্রাঙ্গণ, ওযুখানা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

-ইত্তেফাক

সিবিএনএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × five =