সেই কবে ছেলেবেলায় তোমার কবিতা
মুখস্থ করেছি –
‘ মা গো , আমায় ছুটি দিতে বল …’
সে দিন কেউ ছুটি দেয়নি ;
মাও …
হয়নি ‘ পড়া পড়া খেলা ‘ ;
এখনও হয় না ,
আমার সন্তানও খেলার সময় পায় না ;
অথচ , এখন আঁধার মাদার গাছের তলা ,
কালো হয়ে থাকে দিঘির জল …
আজও বাগদি বুড়ি চুপ ভরে শাক তোলে ;
রবি ঠাকুর ,
রাতের পর রাত জাগছি ,
ঘুমাতে পারি না ;
কেবলই কাটাকুটি খেলায় উপনিষদ থেকে
তোমারই পংক্তি …
তুমিও তো আমাকে ছুটি দিলে না ।
––
অলৌকিক এক পুরুষ
মহাজাগতিক সংসার থেকে ধ্বনি ভেসে এলে
জন্ম নেয় শব্দ ;
জন্ম নেয় অমৃতকুম্ভ , পংক্তি …
সে পংক্তি সকল সঙ্গীত হয়ে বাজে ,
বুকের মাঝে ;
বাউল আঙ্গিকে কে গেয়ে ওঠে !
কে এগিয়ে চলে সামনে রাঙামাটির ধুলো মাড়িয়ে !
সে কি আমারই ভিতরে জেগে থাকা
এক কবি !
নাকি অলৌকিক এক পুরুষ !
যে কি না , একের পর এক শব্দ নিয়ে
এঁকে চলেছে উত্তরণের ছবি ;
এই জাগতি সংসার থেকে একের পর এক গান
রবীন্দ্র সঙ্গীত হয়ে বাজে সময়ে , দুঃসময়ে ।