ফিচার্ড লেখালেখি

শ্রীশ্রীদুর্গাপূজার সর্বজনীনতা, মাহাত্ব্য ও  স্মৃতিকথা ।। বিদ্যুৎ ভৌমিক

শ্রীশ্রীদুর্গাপূজার সর্বজনীনতা, মাহাত্ব্য ও  স্মৃতিকথা ।। বিদ্যুৎ ভৌমিক

শ্রীশ্রীদূর্গাপূজা একটি সর্বজনীন ধর্মীয় উৎসব হিসাবে সমগ্র হিন্দুসমাজেই প্রচলিত আছে। যাাক-যজ্ঞ, পূজা পার্বণ এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠান আমাদের আধ্যাত্বিক ও নৈতিক উন্নতির ধারক ও বাহক সত্যি,  তবে এসব উৎসব অনুষ্ঠান আমাদের, সামাজিক সম্প্রীতি, জন-সংহতি  সৌহার্ধ্য, ভাতৃত্ব তৈরী ও রক্ষা করার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।  শ্রীশ্রী দূর্গাপপূজা  হিন্দুদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হওয়াতে সম্প্রীতি,  জন-সংহতি  সৌহার্ধ্য  তৈরীতে দূর্গাপূজার গুরুত্ব অপরিসীম। তবে বাঙ্গালি হিন্দু সমাজে এটি অন্যতম বিশেষ ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক  উৎসব হিসাবে পালিত হয়। বাঙালি হিন্দুদের প্রাণের, মনের ও হৃদয়ের উচ্ছাস, আনন্দ ও উৎসব হল শারদীয় দূর্গাপূজা । আবার উওর ভারত ও হিন্দি ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে দিপাবলী ও দেওয়ালী উৎসবটি অধিক আনন্দ ও জাঁকজমকের সাথে পালন করা হয়।

মার্কেন্ডেয় পুরাণের চন্ডিতে মহামায়া দূর্গাপূজা বিশেষভাবে প্রকাশিত  ও বিকশিত আছে । মহাশক্তিদায়িনী দূর্গামাতা হলেন সত্য, সুন্দর, ন্যায় ও ধর্মের প্রতীক । অন্যদিকে মহিসাশুর হলেন অশুভ, অন্যায় ও ধ্বংসাত্তক শক্তির প্রতীক । অসুরদলনে, দুঃখ দূর্গতিনাশে, অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ধর্ম প্রতিষ্ঠার্থে মহাশক্তিদায়িনী ও দূর্গতিনাশিনী দেবী শ্রীশ্রী দুর্গাপূজা অবশ্যই করনীয় । কৃত্তিবাস তাঁর রামায়ণে লিখেছেন, রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শরৎকালে রাম স্বয়ং দুর্গার বোধন ও পূজা করেছিলেন । শরৎকালের দুর্গাপূজাকে “অকালবোধন” বলা হয় । আশ্বিন বা চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে মহাশক্তিদায়িনী দেবী দুর্গাপূজা করা হয়।  মহাভারতেও শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে কুরুক্ষেএের যুদ্ধের পূর্বে মহাশক্তিদায়িনী দেবীপূজার নির্দেশ দিয়েছিলেন। দূর্গামাতা হলেন সর্ব দেবদেবীর পূঞ্জিভূত শক্তি-যিনি অন্যায় ও অশূভ শক্তির প্রতীক মহিশাষুরকে বধ করে ধর্ম, সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করার নিমিত্তেই এ ধরণীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। শ্রীশ্রীদূর্গাপূজার তাত্বিক রহস্য হল একই পরমাত্মার পাঁচটি প্রতীকে ভক্তিমিশ্রিত পূজা, উপাসনা ও প্রার্থনা। আশ্বিন মাসে বা শরৎকালে দুর্গাপূজা হল যার নাম শারদীয় দুর্গাপূজা এবং চৈত্র মাসে বা বসন্তকালের দুর্গাপূজা বাসন্তী পূজা নামে পরিচিত। তবে আশ্বিন  মাসের শারদীয় দুর্গাপূজার জনপ্রিয়তা সর্বত্রই বেশি এবং আশ্বিন  মাসে সর্বত্রই ভক্তি মিশ্রিত আনন্দঘন পরিবেশে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এবং বিপুল সংখ্যক দর্শক/ভক্তমন্ডলীর উপস্থিতিতে  বেশী সংখ্যায় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দুধর্মে দেবীপূজা মাতৃকা শক্তির আরাধনাই বুঝায়। এ মাতৃপূজা হলো একটি মহাভাব ও মহাশক্তির পূজা যা নামান্তরে আমরা শ্রীশ্রীদূর্গাপূজা নামেই জানি বা বিশেষভাবে পরিচিত সর্বত্র।

দুর্গাপূজা ভারত, বাংলাদেশ ও নেপাল সহ ভারতীয় উপমহাদেশ ও বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রেই বর্তমানে  বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে । তবে বাঙালি হিন্দু সমাজের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হওয়ার দরুন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও ঝাড়খন্ড রাজ্যে ও বাংলাদেশে শ্রীশ্রীদুর্গাপূজা ভক্তিমিশ্রিত আনন্দ ঘন পরিবেশে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনাসহ জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সর্বজনীনভাবে পালিত হয়। । এমনকি ভারতের আসাম, বিহার, মনিপুর এবং ওড়িশ্যা রাজ্যেও দুর্গাপূজা মহাসমারোহে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে । ভারতের অন্যান্য রাজ্যে প্রবাসী বাঙালি ও স্থানীয় জনসাধারণ নিজ নিজ প্রথামাফিক শারদীয় দুর্গাপূজা ও নবরাত্রি উৎসব পালন করে থাকে। আমেরিকা, কানাডা, বৃটেন, ফ্র্রান্স, ইতালী সহ অন্যান্য পাশ্চাত্য দেশগুলিতে কর্মসূত্রে বসবাসরত ও অভিবাসী বাঙালি হিন্দুরা ভক্তিমিশ্রিত আনন্দঘন পরিবেশে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনাসহ জাঁকজমকের সঙ্গে দুর্গাপূজা পালন করে থাকেন । সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। শারদীয় দুর্গাপূজার এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে “দুর্গাষষ্ঠী”, “মহাসপ্তমী”, “মহাষ্টমী”, “মহানবমী” ও “বিজয়াদশমী” নামে পরিচিত । আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষটিকে বলা হয় “দেবীপক্ষ”। দেবীপক্ষের সূচনার অমাবস্যাটির নাম মহালয়া; এই দিন হিন্দুরা তর্পণ করে তাঁদের পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন করে । মহিষাসুরমর্দিনী  মহালয়ার দিন ভোরবেলা সম্প্রচারিত হয় একটি বিশেষ ও জনপ্রিয় বেতার ও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে  পরিবেশিত অনুষ্ঠান । মহালয়া আসলেই মনে হয় সর্বত্রই যেন  দুর্গাপূজা চলে এসেছে এবং চারিদিকে যেন  দূর্গতিনাশিণী দেবী মাতাকে বরণ করার জন্য সাজ সাজ রব সৃষ্টি হয় । দেবীপক্ষের শেষ দিনটি হল কোজাগরী পূর্ণিমা। এই দিন হিন্দুরা ঘরে ঘরে লক্ষীদেবীর পূজা করেন ।

পূর্বে পারিবারিক স্তরে শারদীয় দুর্গাপূজা প্রধানত ধনী পরিবারগুলিতেই আয়োজিত হত । কলকাতা, মেদিনীপূর, বর্ধমাণ, ঢাকা, নাটোর, কুমিল্লা শহরে পুরনো ধনী পরিবারগুলি দুর্গাপূজার আয়োজন করতো যা বনেদি বাড়ির পূজা” নামে পরিচিত ছিল । পারিবারিক দুর্গাপূজাগুলিতে শাস্ত্রাচার ধর্মীয় বিধাননগুলো পালনের উপরেই বেশি জোর দেওয়া হত । পূজা উপলক্ষে বাড়িতে অনেেকআত্মীয়-সমাগম হয়ে থাকে । দূর্গাপূজার সময় বিবাহিত মেয়েরা বাপের বাড়ীতে বেড়াতে আসে ও  আনন্দ উৎসবে অংশগ্রহণ করে থাকে। অন্যদিকে আঞ্চলিক স্তরে এক একটি এলাকা, অঞ্চলের বা গ্রামের বাসিন্দারা যৌথভাবে যে দুর্গাপূজার আয়োজন করেন তা বারোয়ারী পূজা বা সর্বজনীন পূজা নামে পরিচিত । ভারতে  স্বৈরাচার বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় সর্বজনীন পূজা শুরু হয় । মুলত মহাশক্তিদায়িনী ও দূর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে মাথায় রেখেই দেশমাতা বা ভারতমাতা বা মাতৃভূমির প্রতি অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে জাতীয়তাবাদী দেশাত্ববোধের ধারনা বিপ্লবের আকার নেয় । দেবী দুর্গার ভাবনা থেকেই বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর বন্দে মাতরম গানটি রচনা করেন যা ভারতের স্বাধীনতা-আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র  হিসাবে কাজ করেছে। নেতাজি সুভাস চন্দ্র বসু, বিপিন পাল, দেশবন্ধু চিওরন্জন দাস প্রমুখ বিল্পবী, দৈশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী নেতারা বিভিন্ন সর্বজনীন দুর্গাপূজার সঙ্গে যুক্ত থাকতেন। এখন সব জায়গায়  শহরগুলোতে ও গ্রামেগন্জে সর্বজনীন দুর্গাপূজাই বেশী হয় এবং সর্বজনীন দুর্গাপূজারই জনপ্রিয়তা বেশী সব অঞ্চলে । দুর্গোৎসব বাঙালি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্বজনীনতায় উন্নীত করেছে। শরৎকালের শারদীয় দুর্গোৎসব যেন উৎসব নয়, এ যেন একটি সর্বজনীন মহোৎসব যা সম্প্রীতি, জন-সংহতি  সৌহার্ধ্য, ভাতৃত্ব তৈরী ও রক্ষা করার ক্ষেএে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে।   ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, সাও্বিক ও আধ্যাত্বিকতার অনূভূতি, সংস্কৃতি, বৈচিত্রতা, আত্মীয়-সমাগম, সামাজিক প্রীতির বন্ধন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বশেষে সকলের মধ্যে সৌহার্ধ্য ভ্রাতৃত্বের বন্ধন শারদীয় দূর্গোৎসবকে বিশ্বজনীন ধর্মীয় উৎসবে পরিনত করেছে ।

এখনও মনে পড়ে শৈশবকালের দূর্গাপূজার কথা,  শ্রীশ্রীীদূর্গাপূজার আগমনী বার্তায় আনন্দ উৎসবে খুবই মেতে উঠতাাম। দূর্গাপূজা ঘনিয়ে আসছে এ যেন একটি অন্যরকম আনন্দ, পুুলকিত শিহরণ ও অনুভূতি।  শ্রীশ্রী দূগাদেবীর  বিসর্জন ও দশমীর দিন খুবই দূঃখভারাক্রান্ত থাকতাম ও সময় সময় কান্না আসতো এই ভেবে যে, দুর্গাষষ্ঠী”, “মহাসপ্তমী”, “মহাষ্টমী”, “মহানবমী” এ ৪/৫ দিনের মহা আন্নন্দ উৎসব, পালাগান ও কীর্তন, আরতী প্রতিষোোগীতা, প্র্রসাদ বিতরণ, শত শত লোকের আগমন, আত্থীয়সজনদের আগমন ও রাতে ফূল তোলা  এত তাড়াতাড়ি কেন শেষ হল এভাবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে ১ মাইল দক্ষিণে নিজের  গ্রামের বাড়ী উলচাপাড়ায় জন্মের পর থেকেই দুর্গাপূজা দেখে আসছি। প্রবীন গ্রামবাসীসহ, বাবা, মা, জেঠিমা, বাবার পিশিমা ঠাকুরমা ও দাদু বলতো বড় বাড়ী বা বেপারী বাড়ীর এ দূর্গাপূজা   ১২৫ বছর ধরে চলে আসছে। এতএব আত্মীয়স্বজনসহ দুগাপূজায় দেখতে আসা ও প্রসাদ নিতে আসা মানুষদের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে ও বিনয়ী হতে হবে।  এখনও মনে পড়ে  শৈশবে ও কিশোরকালে আনন্দঘন পরিবেশে ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য আত্মীয়স্বজন, ভাইবোন ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে কাটানো শারদীয় দুর্গাপূজার সোনালী ও রঙ্গিন দিনগুলোর কথা। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমার প্রিয়তম, মানবতাবাদী ও দয়ালু পিতা পাকবাহিনীর হাতে শহীদ হওয়ার পর দুগাপূজার আনন্দ শেষ হয়ে গেল। পাকবাহিনী ও রাজাকারদের হাতে গ্রামের বাড়ী লুটসহ ধ্বংসস্তূপে পরিনত হল। আমাদের গ্রামের বাড়ীতে দুর্গাপূজাও চিরতরে দুঃখজনকভাবে বন্ধ হয়ে গেল।

কানাডার মন্ট্রিয়লে  কোলকাতা থেকে আগত বাঙালিরাই প্রথম দুর্গা পূজা শুরু করেন । বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দুরা তখন তাদের সাথে দুর্গাপূজায় অংশ গ্রহণ করতো ।  মন্ট্রিয়লে বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দুদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তারাও স্বতন্ত্রভাবে পূজা শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করালো। যতদূর মনে পরে ১৯৮৯ খ্রী: মূর্তি ছাড়া বাংলাদেশীরা মন্ট্রিয়লে প্রথম দুর্গাপূজা শুরু করেন । তখন দুগামায়ের মূর্তি না থাকলেও বৈচিত্রময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, গান, নৃত্য, আবৃত্তি ও  বক্তৃতা সব আয়োজনই ছিল । ১৯৯৩ খ্রীঃ বাংলাদেশিরা প্রথম মন্ট্রিয়লে কোলকাতা থেকে  শ্রীশ্রী দুর্গাপূজার মূতি এনে দুর্গাপূজা শুরু করেন।  একটি সুখবর হল এই যে, মন্ট্রিয়লে বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দুরা সাফল্যের সাথে দু’টি মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশিদের দুটি মন্দির রয়েছে  মন্ট্রিয়লে। একটির নাম বাংলাদেশ হিন্দু মন্দির এবং অন্যটির নাম সনাতন ধর্ম মন্দির। দুটি মন্দিরেই ভক্তিমিশ্রিত আনন্দঘন পরিবেশে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনাসহ জাঁকজমকের সঙ্গে শারদীয় দুর্গাপূজাসহ, শ্রীশ্রীলক্ষীপূজা, শ্রীশ্রীশ্যামাপূজা, মাসিক সত্যনারায়ণপূজা, নববর্ষ উদযাপনসহ  বিভিন্ন পূজা, জন্মদিন, বিয়ের অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। গত দুই বছর ২০২০ ও ২০২১ সালে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের মহাপ্রদূর্ভাবের জন্য কানাডাসহ অনেকদেশেই কঠোর স্বাস্হ্যবিধি মেনেই দৃর্গোৎসব পালিত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সর্বজনীন সম্প্রীতি, শান্তি,  মঙ্গল ও কল্যান কামনা করে ২০২২ এ শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে ১ অক্টোবর ২০২২।  প্রতিবছরের মত এবারও সর্বজনীন সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের অনিন্দসুন্দর বন্ধনে বাংলাদেশ হিন্দু মন্দির, মন্ট্রিয়ল,  ৩০৪২ এলার্ড স্ট্রীট এ শ্রীশ্রী দূর্গাপূজার আয়োজন করেছে । অত্যন্ত ভক্তিমিশ্রিত আনন্দ ঘন পরিবেশে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এবং বিপুল সংখ্যক ভক্তমন্ডলী / দর্শকশ্রোতার উপস্থিতিতে  হিন্দু মন্দির, মন্ট্রিয়লে ১ অক্টোবর থেকে ৫  অক্টোবর ৫ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হতে যাচ্ছে। শারদীয় দুর্গোৎসবের পূণ্য প্রভাতে আমাদের প্রার্থনা হউক, আমরা যাতে  সর্বশক্তিমান ইশ্বরের ইচ্ছাশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে মানবিক মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হয়ে আধ্যাত্বিক উন্নতির পথ সূগম করতে পারি । অন্যায় ও অশূভ শক্তির পতনের মাধ্যমে দিকে দিকে সত্য, সুন্দর, ন্যায় ও মানবতার জয় সূচিত হউক-এ হউক আমাদের  প্রার্থনা, বাসনা ও প্রত্যাশা । সবাইকে শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২২ সালের শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও ভালবাসা জানাচ্ছি ।

বিদ্যুৎ ভৌমিকঃ সাবেক অধ্যাপক, লেখক ও সিবিএনএ’র উপদেষ্টা, মন্ট্রিয়ল, কানাডা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

 



সংবাদটি শেয়ার করুন