স্বদেশ প্রত্যাবর্তন || বিশ্বজিৎ মানিক
আজ হলো বাঙালির -ঐতিহাসিক দিন
জননেত্রী শেখ হাসিনা – দেশে আসেন এদিন।
পূর্বের কথা কিছু – বলে রাখা ভালো
তাঁর পিতা, বঙ্গবন্ধু ছিলেন – অন্ধকারের আলো।
অর্জিত হলো বিজয় – ষোলো’ই ডিসেম্বর
হানাদার বাহিনী এখন – ফিরে যাবে ঘর।
জনারন্য হয়ে গেলো – সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
মুচলেকা’য় স্বাক্ষর করে – পাক সেনা প্রধান।
স্বাধীন দেশে, বীর বেশে – ফিরে আসেন নেতা
দেশে এসে, গ্রহণ করেন – শাসন ক্ষমতা।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন যখন – দেশ গড়ায় লিপ্ত
ঘাতকেরা তখন থেকেই – তাঁর উপর হয় ক্ষিপ্ত।
কালোবাজারি, মুনাফাখোর – প্রতিবিপ্লবীর দল
ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে করে – অর্থনীতি দূর্বল।
দেশি ও বিদেশি দালাল – যুক্ত হয় তাতে
মীরজাফরের দল তাদের – পেয়ে যায় হাতে।
তাদের উদ্দেশ্য ছিল – দেশকে করবে অচল
পচাত্তরের আগস্ট মাসে – হলো তারা সফল।
স্বাধীন দেশে করে তারা – বঙ্গবন্ধু হত্যা
স্বাধীনতা অর্থহীন – হয়ে গেল মিথ্যা।
নেতা মন্ত্রী হত্যা করে – স্বপরিবারে
বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা – ছিলেন দেশের বাহিরে।
ঘাতকের দল চেয়েছিল – মুজিবভক্তের ইতি
বুঝতে তারা পারে নাই – বাড়বে আরো প্রীতি।
অত্যাচারী ঘাতকেরা – ইতিহাসের পাতায়
যাহা তাদের আসে মনে – তাহাই তারা রটায়।
নেতৃত্বের কোন্দলে যখন – দল হারালো গতি
দেশের বাহিরে থেকেই তিনি – হলেন সভাপতি।
একাশি সনের সতেরো মে – ফিরে আসেন নেত্রী
চারবার হলেন তিনি – দেশের প্রধানমন্ত্রী।
তার আগে, ছয়টি বছর – ছিলেন নির্বাসনে
বিদেশেও থাকতে হতো – অতি সংগোপনে।
আটবার হয়েছেন তিনি – দলের সভাপতি
তাঁর নেতৃত্বের ধারায় চলে – দেশের প্রগতি।
পিতৃহত্যার বিচার কিন্তু – তাঁর আমলেই হয়
গণতন্ত্রের মানসকন্যা – স্বৈরশাসক নয়।
ঊনিশ বার হত্যা চেষ্টা – করা হয় যাকে
সৃষ্টিকর্তা কৃপা করে – রক্ষা করেন তাঁকে।
এগিয়ে চল প্রধানমন্ত্রী – এগিয়ে চল তুমি
এই বাংলা’ই হলো তোমার – প্রিয় জন্মভূমি।
তোমার পিতা, ছিলেন এক – মহা নীতিবান
বাংলার মানুষ আশা করে – রাখবে তুমি মান।
দুষ্ট ক্ষত তারিয়ে দিয়ে – দলকে করো ভালো
তোমার উপর বর্ষিত হউক – চাঁদ সুরুজের আলো।
১৭. ০৫. ২০২০