খেলা

যে ভুল শুধরে নিতে ৭-৮ বছর লেগেছে তামিমের

যে ভুল শুধরে নিতে ৭-৮ বছর লেগেছে তামিমের

যে ভুল শুধরে নিতে ৭-৮ বছর লেগেছে তামিমের

 

অনুজ লিটন দাসকে ব্যাটিং বিষয়ে অন্যরকম এক পরামর্শ দিয়েছেন অগ্রজপ্রতিম তামিম ইকবাল।

আর তিনি নিজে বিষয়টি আত্মস্থ করতে ৭-৮ বছর সময় নিয়েছেন বলে জানান ।

কি সেই বিষয়?

প্রশ্নটি ছিল লিটন দাসেরই।

শনিবার রাতে ফেসবুক লাইভ আড্ডায় তামিমকে জিজ্ঞেস করেন লিটন, আচ্ছা, আমার একটা প্রশ্ন আছে আপনার কাছে। ধরুন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন। পরের ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামলে এক আত্মতৃপ্তি চলে আসে। অন্য কারও হয় কি না জানি না, আমার চলে আসে। ভেতরে অনুভব হয় আগের ম্যাচে তো সেঞ্চুরি করেছি। আমি মনে করি এটা খারাপ চিন্তা। এ থেকে মুক্তির কী উপায়? এক্ষেত্রে মাইন্ডসেটটা কেমন দরকার?

জবাবে তামিম বলেন, এমন ভাবনা নিয়ে মাঠে নামা মানে নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনা। আমি বলব, পরের ম্যাচে আবার নতুন করে শুরু করা উচিত। আগের খেলায় সেঞ্চুরি করেছি, এমন ভেবে খুশি মনে নির্ভার থেকে খেললে লাভের চেয়ে ক্ষতি হবে বেশি। ম্যাচ টু ম্যাচ এগিয়ে যাওয়া উচিত।

তামিম বলেন, এমনটা আমার বেলায়ও হয়েছে। এ বিষয়টি শুধরে নিতে আমার ৭-৮ বছর লেগেছে। প্রথম সাত-আট বছর আমারও তোর মতো একই অনুভূতি হতো। এক ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারলে পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবতাম না। কোনো প্ল্যানও করতাম না। খেলতে নেমে পড়তাম। তখনই ভুলটা করতাম। আর একটি ছোট্ট ভুলের আউট হওয়ার জন্য যথেষ্ট।

এভাবে দৌড়ালে একদিন ভারতে চলে যাবেন: তামিমকে মমিনুল

করোনাভাইরাসের কারণে খেলা বন্ধ থাকায় ঘরবন্দি খেলোয়াড়রা।

তবে বন্ধ নেই তাদের ফিটনেস ট্রেনিং। যার যার ঘরকেই জিম বানিয়ে ফেলেছেন ক্রিকেটাররা।

ঘরে কে কেমন ব্যায়াম করে শরীর ফিট রাখছেন শনিবার লাইভে এসে সে খবর নিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

নিজের ফিটনেস ট্রেনিং বিষয়ে এদিন মজা করে তামিম বলেন, ‘বাসায় ট্রেডমিলে খুব দৌড়াচ্ছি। প্রতিদিন ৫-৭ কিমি. দৌড়াই। দৌড়াইতে দৌড়াইতে আমি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে গেছি।’

তামিমের এ মজায় ঘি ঢালার সুযোগ হাতছাড়া করলেন না মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘এভাবে দৌড়ালে মনে কয়দিন পর ভারত চলে যাবেন নিশ্চিত।’

করোনাকালে শরীর ফিট রাখতে এখন বাসায় দৌড়ানোর স্বয়ংক্রিয় মেশিন ট্রেডমিলই ভরসা ক্রিকেটারদের।

সে কথা একযোগে জানালেন, মমিনুল, লিটন ও সৌম্য।

প্রায় দেড় ঘণ্টার ফিটনেস বিষয়ে আলাপকালে মুমিনুলকে তামিম জিজ্ঞেস করেন, ‘ফিটনেসের কী অবস্থা? কাজটাজ কী করতেছিস?’

মুমিনুল জানান, বাসায় ট্রেডমিল আছে। জিমের কিছু সরঞ্জামও আছে। ওগুলোতে টুকটাক চালিয়ে নিচ্ছেন তিনি।

তবে এই ট্রেডমিলে বেশ বিরক্ত ডানহাতি স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান লিটন দাস।

লাইভে তামিমের জিজ্ঞাসায় লিটন বলেন, ‘বাসায় ট্রেডমিলে দৌড়ের ওপরই আছি তাই। তবে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ওই একই ব্যায়ামে বিরক্ত ধরে গেছে। ট্রেডমিল একটা বোরিং জায়গা। সামনে কিছু দেখা যায় না, খালি দৌড়াও… ভাগো, ভাগো।’

লিটনের কথায় সহমত জানিয়ে তামিম বলেন, ‘আমারও এখন ট্রেডমিলে দৌড়াতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। রাস্তায় দৌড়ালে যেমন নতুন নতুন জিনিস দেখা যায়। ভালো লাগে। কিন্তু এখন একদমই বোরিং।’

সূত্রঃ যুগান্তর

 

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন