জীবন ও স্বাস্থ্য

করোনামুক্ত হবেন চার দিনেই, মাত্র ৩টি কাজ করে

করোনামুক্ত হবেন চার দিনেই

 

করোনামুক্ত হবেন চার দিনেই: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের দাপটে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে বিশ্বব্যাপী প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।

এরই মধ্যে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে তা-ব চালাচ্ছে নতুন এ ভাইরাস। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ৪০৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৬৭৬ জনের।

প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের ধ্বংসযজ্ঞে অসহায় হয়ে পড়েছে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান। কেননা, এখনো এ ভাইরাসের সফল কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। আর সে কারণেই দিন দিন বিশ্বব্যাপী দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কিছু ঘরোয়া কৌশল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়।

ভারতীয় এক নাগরিক যিনি করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের উহানে বসবাস করেন, তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের বরাতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে এ ঘরোয়া কৌশল। এ কৌশলে করোনামুক্ত হবেন চার দিনেই । ইতিমধ্যে সেই স্ট্যাটাসটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। বিডি-প্রতিদি্নের নিউজ।

 

করোনাভাইরাস মারতে ঘরে-বাইরে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে লাভ নেই

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মারতে বাড়ির অভ্যন্তরে বা রাস্তায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা ভালো কাজের চেয়ে আরও বেশি ক্ষতি করতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ভাইরাস মোকাবেলায় উন্মুক্ত স্থান পরিষ্কার রাখা ও জীবাণুমুক্ত করার বিষয়ে শনিবার প্রকাশিত এক নথির বরাত দিয়ে এনডিটিভি এ খবর দিয়েছে।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ডব্লিউএইচও বলেছে, রাস্তাঘাট বা বাজারের মতো খোলা জায়গায় জীবাণুনাশক ছিটানো বা ধোঁয়া দেয়ার মধ্য দিয়ে কোভিড-১৯ ভাইরাস বা অন্য জীবাণু ধ্বংস হয়- এমন কোনো প্রমাণ নেই। কারণ নোংরা ও ময়লার স্তূপ জীবাণুনাশককে নিষ্ক্রিয় করে।

এমনকি জৈব পদার্থ যদি নাও থাকে তবুও রোগজীবাণু নিষ্ক্রিয় করতে যতটুকু সংস্পর্শ সময়ের প্রয়োজন তা রাসায়নিক স্প্রে করার মাধ্যমে পর্যাপ্ত নয়।

ডব্লিউএইচও বলছে, রাস্তা ও ফুটপাত কোভিড-১৯ ‘সংক্রমণের সংরক্ষণাগার’ হিসেবে বিবেচিত নয়। তাছাড়া খোলা জায়গায় স্প্রে করার মধ্য দিয়ে ‘মানব স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে’।

এছাড়া ‘কোনো অবস্থাতেই আক্রান্ত ব্যক্তিদের ওপর জীবাণুনাশক ছিটানো সুপারিশ করা হয় না’ বলে নথিতে জোর দেয়া হয়েছে।

এটি শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে ক্ষতিকারক হতে পারে এবং এটি সংক্রমিত ব্যক্তির ড্রপলেট বা সংস্পর্শ থেকে ভাইরাস ছড়ানো ঠেকাতে পারে না।

এছাড়া মানুষের ওপর ক্লোরিন বা অন্যান্য বিষাক্ত রাসায়নিক ছিটালে তা চোখ ও ত্বকে প্রদাহ, ব্রঙ্কোস্পাজম ও পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে।

কেবল খোলা জায়গায় নয়, বাড়ির ভেতরেও জীবাণুনাশক ছড়িয়ে বিশেষ কোনো লাভ নেই বলেই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সংস্থাটি বলছে, যদি জীবাণুনাশক প্রয়োগ করতেই হয় তবে কাপড় বা ন্যাকড়ার মাধ্যমে করা যাতে জীবাণুনাশক শুষে নিতে পারে। যুগান্তর থেকে।

 

বাঅ/এমএ


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

সংবাদটি শেয়ার করুন