সাহিত্য ও কবিতা

বন্ধু শাহিন |||| শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান

বন্ধু শাহিন |||| শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান


নিউ মার্কেটের ভিতর দেখি বন্ধু শাহিন একা
যে যার মতে ব্যস্ত সবাই আর কারো নেই দেখা।
বিস্কুট হাতে দাঁড়িয়ে শাহীন ভাবছিলো কি করা
আমায় দেখে তাড়াতাড়ি চলতে শুরু করা।


বলি শাহিন একটু দাড়া দুটৌ কথা বলি
বলে আমার সময় নাহি এখন ই না চলি।
যে যার মতো হাটছে সবাই কারো বিকার নাই
বুড়ীর দৃষ্টি বোচকার দিকে বোচকা না হারাই।


হলের জন্য বিসকুট কিনে দাড়িয়ে আছে শাহীন
আমার চোখে লাগছে তখন লাগছে তাকে ফাইন।
খাওয়ার জন্য বিসকুট চাইলাম দিলো না সে মোরে
এ হাত ও হাত বিসকুট নিয়ে চারিদিকে সে ঘোরে।


সুযোগ বুঝে হ্যাচকা টানে বিসকুট নিলাম কেড়ে
অমনি শাহীন রেগেমেগে আসলো আমায় তেড়ে।
ইতোমধ্যে বিসকুট আমি মেশিনে দিলাম পুরে
অর্ধেক বিসকুট খাওয়ার পরে নিলো শাহীন কেড়ে।


বিসকুট খেয়ে ধুনে দিছি ধুনছি তুলার মতো
এ অবস্থা দেখে শাহীন দৌড় মারিলো শতো।
বন্ধু যবে বুঝলো আহা এ যে বিপদ ভারী
পেটুক শালা ধুনে বিসকুট দেবে শেষে ছাড়ি।


উপায় নাহি ভেবে শাহীন মারলো চিরে দৌড়
আমি ও তার পিছুপিছু মারলাম শেষে দৌড়।
অবশেষে বন্ধু শাহিন পড়লো ধরা হাতে
এবার বলে খা বিসকুট ধুনে দে সব দাঁতে।


সেদিনের সে মজার কথা আজও ভুলি নাই
ভার্সিটি আর নিউ মার্কেটে আবার ফিরে যাই।
শাহিন এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছে অনেক ভালো
ছেলে ভাবি সবাই মিলে ঘর করেছে আলো।


সুসজ্জিত নিজের বাড়ি সামনে ফুলের বাগান
সামনে থাকে নিজের গাড়ি নিজেই গাড়ী চালান।
অস্ট্রেলিয়া যাবার পরে ভাবী এবং তার
আপ্যায়ন আর যত্নের কথা ভুলবো কিরে আর।


গাড়ি নিয়ে ড্রাইভ করে দেখালো অনেক ঘুরে
আরও কিছু দেখার আছে দেখাবে আবার গেলে।
বন্ধুর প্রতি বেজায় খুশি সায়েদুর ও আমি
দেশ ছেড়ে ক্যান অস্ট্রেলিয়ায় জানে অন্তর্যামী।


বিদায়কালে জড়িয়ে ধরে শাহিনের সে কান্না
উলংগঙ্গের সাগর বলে আর কেঁদো না পান্না।



শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান, ছড়াকার ও সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, সুনামগঞ্জ


 

সংবাদটি শেয়ার করুন