(কিশোর প্রেমের কবিতা )
শ্যাওলা |||| শীতল চট্টোপাধ্যায়
————————————————————————————
ছাদের দরজা বন্ধ ছিল চাবিও তো ছিল তোলা
চাবিটাকে খুঁজে ইচ্ছে হল ছাদের দরজা খোলা ৷
হাট করে খোলা মনের দরজা সময় করেছে বন্ধ
পুরনো ছাদেই খুঁজছি আবার নতুনে বাঁচার ছন্দ ৷
ধুলো-পাতা পড়া ছাদটাতে দিই আবার ঝাঁটা ও জল
একলা ছাদেতে একা আমাতে স্মৃতি করে জ্বল – জ্বল ৷
চোখ পাখিটার এ ছাদ ছাড়িয়ে ওই ছাদে গিয়ে ওড়া
ওই ছাদেতে নীল ফ্রকও চায় ডানাতে এ চোখে জোড়া ৷
ইঁটের সংগে সুতো বেঁধেই কাগজেতে কথা ছুঁড়ি
দূরেতে ছিলুম তখন ছুঁতে বয়সের ঘরে কুড়ি ৷
আমার ওড়ানো ঘুড়িতে ওড়ায় ওই মেয়ে মেলে মন
দু’ছাদ মাথাতে একটা ছাদেরই আকাশটা সারাক্ষণ ৷
হটাৎ সেদিন একলাটি আমি দেখিনা ও ছাদে কেউ
না দেখায় ভেঙে মনেতে প্রথম কষ্টে ভরানো ঢেউ ৷
ইঁটে বাঁধা ছোট কাগজ চোখেও ঝরল বৃষ্টি ধারা
ছাদের ওপরে সাঁঝের কালোতে ওই ছাদ হল হারা ৷
ছাদ থেকে নেমে চলে আসা সেই ছাদটা ডাকেনা আর
রঙিন ঘুড়িটা কেটে হয়েছে অনেক বছরই পার !
বড় বাইরেটা ছোট হয়ে যেতে আজ ফের ছাদে যাই
দুটো ছাদেরই বয়স বেড়েছে শ্যাওলা পড়েছে তাই ৷
ওই ছাদে দেখি শুকোচ্ছে এক তারা আঁকা নীল শাড়ি
নীল ফ্রকটাই শাড়িতে বুঝি ছাদে পেতে আছে আড়ি ৷
দুই ছাদে আজও ডানা কাটায় সেই ঘুড়ি আছে পড়ে
স্মৃতির সুতোয় ইঁটের টুকরো এ ছাদে-ও ছাদে ওড়ে৷