মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য পণ্য ও ঔষধ বিক্রি করায়
কমলগঞ্জে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃঃমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য পণ্য ও ঔষধ বিক্রি করা, মূল্য তালিকা না রাখাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে তিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ১শ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১১ জানুয়ারী) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন কমলগঞ্জের শমশেরনগর বাজারে দোকান মনিটরিংকালে এই জরিমানা করেন।
অভিযানে শমশেরনগর বাজারের জেবিএল ফার্মেসীকে ১ হাজার ৫ শত টাকা, নূরজাহান ভেরাইটিজ স্টোরকে ২ হাজার টাকা ও রাজমহলকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়। জেলা ভোক্তা অধিকার সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন বাজারে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, তেল, শাক-সবজি, কাঁচামাল, মশলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ও নি¤œমানের সংক্রমণরোধী জীবানুনাশক বিক্রয় না করতে পারেন সে লক্ষ্যে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন তিন প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পৌরসভা নির্বাচন
কমলগঞ্জে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীকে দলীয় পদ থেকে বহিস্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে অংশ নেওয়ায় মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা মার্কা প্রতীকের বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সংগঠনের শৃঙ্খলা লঙ্ঘিত ও ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে। যা সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। গঠনতন্ত্রে ২২(ক) ধারা মোতাবেক যুবলীগের চেয়ারম্যানের নির্দেশে মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মো: আনোয়ার হোসেন এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি এখনও লিখিত পাইনি। শুনেছি আমাকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের সাংগঠনিক ধারা অনুযায়ি অব্যাহতি দিতেই পারে। তবে আমি আশাবাদী দল আমাকে আবার মূল্যায়ন করবে। আমি স্কুল জীবন থেকে মুজিব আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি, উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। পরে জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। বিগত জাতীয় সংসদ, উপজেলা, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকার প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করেছি। দলের দুঃসময়ের কাÐারী হিসেবে বিগত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আশ্বাস দিয়েছিলেন এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেবেন। দৃঢ় বিশ্বাস থাকা স্বত্তে¡ও দুঃখের বিষয় এইবারও ষড়যন্ত্র ও রহস্যজনক কারণে আমাকে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় তৃণমুলের নেতাকর্মীর ও এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ জনগণের চাপে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বুধবার আওয়ামীলীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা পরিবহণ শ্রমিক লীগের সভাপতি হেলাল মিয়াকে দলীয় পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।