বিশ্ব

ব্লুমবার্গের তথ্য আবারও এশিয়ার শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি

ব্লুমবার্গের তথ্য আবারও এশিয়ার শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি

চীনা শিল্পপতিকে টপকে ফের এশিয়ার শীর্ষ ধনীর মুকুট ফিরে পেয়েছেন ভারতের শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি। তার সম্পত্তির আনুমানিক বাজারমূল্য ৮ হাজার কোটি ডলার। ২০ শতাংশ সম্পত্তি বৃদ্ধি করে চীনা শিল্পপতি জোং শ্যানশেনকে পেছনে ফেলেছেন মুকেশ আম্বানি। শ্যানশেনের সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ৭ হাজার ৬৬০ কোটি ডলার। গত এক সপ্তাহের মধ্যে ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার খুইয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছেন শ্যানশেন।

ব্লুমবার্গ বিলিওনিয়ার ইনডেক্সে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, চীনা শিল্পপতি পানির বোতলের একাধিক কারখানার মালিক। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই তিনি ধনীতম শিল্পপতির তালিকার শীর্ষে ছিলেন। তবে চলতি সপ্তাহে তাকে পেছনে ফেলে ওপরে উঠে এসেছেন আম্বানি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আম্বানিকে পেছনে ফেলে ওপরে উঠে এসেছিলেন শ্যানশেন। ফলে বিশ্বে তিনি ষষ্ঠ ধনী হিসাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন। ২০২০ সালে টালমাটাল আর্থিক পরিস্থিতির জন্য বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়েন আম্বানি। চলতি সপ্তাহে চীন এবং হংকংয়ের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। এতে শ্যানশেনের কোম্পানি নংফু চলতি বছরের মুনাফা হারিয়ে ফেলে। আবার তার আরেকটি কোম্পানি ওয়ানতাইও ঢুকে যায় লোকসানের তালিকায়। যেখানে আম্বানির প্রায় প্রতিটি ব্যবসায়ী ইউনিট মুনাফা করে।

২০২০ সালের মাঝামাঝি জানা যায়, মুকেশ আম্বানির নিট সম্পদ ২৮ শতাংশ কমে গেছে। শেয়ারবাজারে সংশোধন হওয়ায় ৩১ মার্চ নিট সম্পদ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টরের মোট সম্পদ ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার কমেছে। ফলে বিশ্বের ধনী তালিকায় তার স্থান অষ্টম থেকে ১৭তম স্থানে নেমে এসেছে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির বদল হয়। লকডাউনের সময় দেখা যায় মুকেশ আম্বানির ব্যক্তিগত আয় হয়েছে প্রতি ঘণ্টায় ৯০ কোটি রুপি।

জ্বালানি খাত থেকে সরে এসে মুকেশ আম্বানি তার বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য সম্প্রতি প্রযুক্তি ও ই-কমার্সের দিকে নিয়ে যাওয়া শুরু করেছেন। গত বছর তিনি রিলায়েন্স ডিজিটাল এবং রিটেইল ইউনিটের দুই হাজার সাতশ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার গুগল ও ফেসবুকসহ কয়েকটি বড় কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করেন।

আইআইএফএল ওয়েলথ হারুন ইন্ডিয়ার রিচ লিস্ট, ২০২০ বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেখানে নয় বছর ধরে দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির স্থান দখল করে আছেন মুকেশ আম্বানি।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুকেশ আম্বানির তেল থেকে টেলিকম নানা ক্ষেত্রে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের নানা সংস্থার কর্তা থাকার সুবাদে ১২ মাসে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে গেছে ৭৩ শতাংশ। ফলে তিনি এশিয়ার শীর্ষ এবং বিশ্বের চতুর্থ ধনী হয়ে উঠেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন