কবি আসাদ চৌধুরী চলে গেলেন না ফেরার দেশে
অসংখ্য কালজয়ী কবিতার স্রষ্টা, বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান কবি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ চৌধুরী আজ ৫ অক্টোবর স্থানীয় সময় রাত পৌনে তিনটার দিকে টরন্টোর অদূরে অশোয়া শহরে লে’ক রিজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। চলে গেছেন না ফেরার দেশে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর।
কবি আসাদ চৌধুরীর ছোট ছেলে জারিফ চৌধুরী এ খবর প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
কবির স্ত্রী শাহানা চৌধুরী, মেয়ে নুসরাত জাহান চৌধুরী শাঁওলী, দুই ছেলে আসিফ চৌধুরী ও জারিফ চৌধুরীসহ নাতি-নাতনি নিয়ে কয়েক বছর ধরে কানাডার টরন্টোতে বসবাস করছিলেন।
কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বাকেরগঞ্জ জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্য পড়াশোনা শেষ করে ১৯৬৪-১৯৭২ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীকালে ঢাকায় থিতু হওয়ার পর একাধিক খবরের কাগজে সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। ১৯৮৫-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ভয়েজ অব জার্মানির বাংলাদেশ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে দীর্ঘকাল চাকরির পর এর পরিচালক হিসেবে অবসর নেন তিনি।
প্রথম কবিতার বই ‘তবক দেওয়া পান’–এ পরিচিতি পান কবি আসাদ চৌধুরী। ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান তিনি। ২০১৩ সালে পান একুশে পদক।
আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার মেহেন্দিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দেশ থেকে দেশান্তরে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয় কবিকে নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে নানারকম শোক গাথা, স্মৃতিচারণ এবং কবির সঙ্গে ফেলে আসা দিনের ছবি পোষ্ট করছেন।
কানাডা বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি সিবিএনএ, সিবিএনএ২৪ডটকম এবং দেশদিগন্ত মিডিয়ার পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা বিদ্যুৎ ভৌমিক, প্রধান নির্বাহী সদেরা সুজন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম খ্যাতিমান কবি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক, বিনম্র শ্রদ্ধা এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন তাঁর মৃত্যুতে স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তবুদ্ধি, অসাম্প্রদাািয়ক চেতনার উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালো যা বাংলাদেশের বর্তমান সময়ে সহজে পূরণ হবার নয়।