খড়ের চাল ।।।।। শীতল চট্টোপাধ্যায়
ক্ষয়ে যাওয়া খড়ের চালের
নিচ থেকে যায় ছিদ্র দেখা ,
সকাল হলেই ফোকাসিংএ
মেঝেয় নামে রোদের রেখা ।
চালের ফুটো পথটা ধরে
ঘরের মেঝেয় গ্রীষ্ম নামে ,
মাটির মেঝে তাও তেতে যায়
গরমেতে সবাই ঘামে ।
দেখতে-দেখতে বর্ষা এসে
বৃষ্টি এনে চালকে ভেজায় ,
লিকার রঙা খড় ভেজা জল
পড়ছে ভাতের ঠিক হাঁড়ি গা’য় ।
খড়ের চালের ছিদ্রগুলো
বন্ধ করার বাড়ুইয়ের খোঁজ ,
তার বাড়িতেই তার দেখা নেই
চাল ছাওয়াতেই ব্যস্ত সে রোজ ।
খড়ের চালে শরৎ এলো
আনলো খবর মেঘ ফুরানোর ,
ছিদ্র বেয়ে শরৎ নেমে
জড়ায় পুজোর আলোরই ডোর ।
ঘরের মধ্যে মাটির মেঝে
সইতে-সইতে থাকে শুয়ে ,
ছিদ্র দিয়েই হেমন্তটা
ঘরের মেঝে দেখছে নুয়ে ।
চালের ওপর হিমের গুঁড়ো
যেই ছাড়ালো হিমেল কালে ,
ছিদ্র দিয়ে হিম পড়ে রোজ
ঝাপসাতে ঘর রাত-সকালে ।
ক’দিন পরেই শীতের ঘরও
তৈরী হলো চালের ওপর ,
চালের ফুটোয় শীত ঝরে তাই
মেঝে কাঁপে ঠান্ডাতে জোর ।
আকাশ হলো উদাস ক্রমে
দখিন হাওয়া বসন্ততে ,
ছিদ্র বেয়ে ফাগুন চাঁদের
আলো ঝরে সবার হ’তে ।
ঠিকানা -জগদ্দল , উত্তর২৪পরগণা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ