শীতল চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা
নতুন বাঁচায়
বুকটা জুড়ে বোবা মুখ এক
চোখ জুড়ে সব ছেঁড়া ছবি,
অধরাতে বেঁচে তবু –
বাঁচার কথা লিখছে কবি।
নেইয়ের পথে হাঁটতে-হাঁটতে
মাঠের হলুদ সর্ষে ক্ষেতে,
শিশির ভেজা হলুদ ফুলের
মনটাকে চায় এ মন পেতে!
ফুলেতে মন হলুদ হতেই
পলাশ কুড়ায় কিশোর বেলায়,
অমনি কাঁচা গমের শিষে
দোল লেগে যায় সবুজ খেলায়।
মাঠটা যত, আকাশ ততও
আমার হ’তে চাইলো ‘ওরা’,
আমি বলি- আকাশ তোমায়
সঙ্গে নিয়ে যায় কি ঘোরা?
আকাশ বলল- মাঠ পেরিয়েও
চলনা কোথায় একায় যাবি,
চোখ বাড়ালেই দেখবি তোকে
ছুঁয়ে থাকার আমায় পাবি।
নেইয়ের মাঝেও এটাই বোধহয়
বাঁচতে বলা, প্রাণকে রাখা,
হলুদ মনের নতুন বাঁচায়
সর্ষে ফুলই রাইয়ে আঁকা।
কুম্ভমেলায় মোনালিসা
কুম্ভমেলায় মালা ফেরির
মোনালিসা ইন্দোরবাসী,
দুই চোখে তার চোখ কেড়ে নেয়
মন কাড়া তার ঠোঁটের হাসি।
মালা ফেরির দলেই ছিল
ঘুরছিল সে মেলার পথেই,
সাংবাদিকের ক্যামেরা চোখ
দেখল সেই এক উর্বশীকেই।
অপরূপা রূপের মেয়ে
সারা দেহ নিখুঁত খোদাই,
চোখের হাসি, ঠোঁটের হাসি
দেখতে তাকে,ভিড় জমে তাই।
কুম্ভমেলায় মোনালিসা
যেন সে এক অমৃতময়,
সাধনজয়ী সুন্দরীতে
কুম্ভমেলা সে করে জয় ।
অপরূপা মোনালিসা
জীবন্ত এক স্বপ্নপরী,
কুম্ভমেলার মনটা তাকে
সুন্দরীতে রাখল ধরি ।
ঠিকানা- জগদ্দল , উত্তর২৪পরগণা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ