দেশের সংবাদ

আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে বাপ্পিকে খুন করে দুই বন্ধু

বাপ্পি

আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে বাপ্পিকে খুন করে দুই বন্ধু

‘খুব বেয়ারা টাইপের ছেলে ছিল বাপ্পি (১৫)। কথায় কথায় বন্ধুদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত। গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা বোধ করত না। তার পরও একই সঙ্গে পাখি ও মাছ শিকার করত তারা চার বন্ধু। কিন্তু ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে বাপ্পি। দিনের পর দিন বাপ্পির এই রুক্ষ স্বভাবের কারণেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে তার বন্ধুরা। একপর্যায়ে বন্ধুদের হাতে খুন হয় বাপ্পি।’ শনিবার সন্ধ্যায় আদালতে ১৬৪ ধারায় এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় গ্রেপ্তারকৃত দুই বন্ধু

নিহত বাপ্পি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়নের গয়নাকুড়ি গ্রামের ট্রাকচালক মোকছেদ আলীর ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো- উপজেলার খরনা ইউনিয়নের গয়নাকুড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নুরুজ্জামান (২১) ও একই গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে জিহাদ বাবু (১৭)।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দীন জানান, বাপ্পি হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছাম্মাক জানান, কিশোর বাপ্পি হত্যার ঘটনায় গত বুধবার তার বাবা মোকছেদ আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের তিন দিনের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুই আসামিকে শনিবার ভোরে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। একই দিন সন্ধ্যায় আসামিদের কাছ থেকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

এসআই ছাম্মাক আরও জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর রাত ৯টা থেকে ঘটনাস্থলের পাশে বিভিন্ন  আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে বাপ্পিকে খুন করে দুই বন্ধু , সিমের মাচার ভেতর খড়ের বিছানা করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাপ্পির জন্য অপেক্ষা করছিল নুরুজ্জামান ও জিহাদ বাবু। এর আগে ঘটনার দিন সকালে নুরুজ্জামান ও জিহাদ বাবু বাপ্পিকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নুরুজ্জামান মোবাইল ফোনে বাপ্পিকে রাতে পাখি শিকারের কথা বলে। কথামতো পাখি শিকারের সরঞ্জামাদি নিয়ে তাদের অপর বন্ধু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী সাহেব আলীকে সঙ্গে নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত স্থানে চলে আসে। সুযোগ বুঝে পরিকল্পনা অনুযায়ী নুরুজ্জামান তার হাতে থাকা হাঁসুয়া দিয়ে পেছন দিক থেকে বাপ্পির ঘাড়ে জোরালো আঘাত করে।

এর পর জিহাদ বাবু তার হাতে থাকা রাম দা দিয়ে বাপ্পির মাথার পেছনে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বাপ্পি। এ সময় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী অপর বন্ধু সাহেব আলী সাহস করে বাপ্পিকে বাঁচাতে গেলে তাকেও বুকে ছুরিকাঘাত করে তারা। প্রাণ বাঁচাতে সাহেব আলী গুরুতর আহত অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে তার চাচার বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে। তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। -সূত্রঃ আমাদের সময়


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন