অঙ্গীকার ||| প্রজ্ঞা চৌধুরী প্রাপ্তি
আমি ভবিষ্যতে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চাই। কারণ আমি বোধ করি, “মানুষজাতির উপকারার্থে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই শেষ কথা নয়।প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে অনেকে নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষিত বলে আখ্যা দিতে চান এবং সেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মোড়কে জর্জরিত হয়ে নিজেদের সহজাত প্রবৃত্তিকেও সমাহিত করে বসেন।” কথাটি কাউকে অপমান করার উদ্দেশ্যে বলা হয়নি। তবুও কথাটি যদি কারোর মনে কিঞ্চিত পরিমাণ দাগও কেটে গিয়ে থাকে তবে আমি সেই ব্যক্তির নিকট ক্ষমা প্রার্থী। কিন্তু আমার নিজস্ব মতানুযায়ী, এই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা জ্ঞানের অহংকার বা বড়াই নিছকই পাগলামো বা বালকসুলভ আচরণ ব্যতীত অন্যকিছু নয়।
আজীবন বাবা-মায়ের পরিশ্রমে রক্ত জল করা ধন দ্বারা নিজস্ব আমোদ – আহ্লাদ পূরণ করা,পরীক্ষায় ভালো ফলাফল নিয়ে প্রবাসে চলে যাওয়ার পর মাসের শেষে একটি মোটা অংকের চেক পাঠিয়ে বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্ব -কর্তব্যের নাম রাখা কিংবা নির্দিষ্ট প্রয়োজন শেষ হয়ে আসলে বৃদ্ধ বাবা-মাকে ছুড়ে কোনো এক বৃদ্ধাশ্রমের আপন বিচ্ছিন্ন কুঠুরিতে ফেলে আসা। মাসের পর মাস যায়, অশ্রু শুকায়।আদরের খোকা-খুকু সেই অশ্রু মুছবার জন্য পাশে থাকেনা।অবশেষে সেই অশ্রুকে এবং জীবনের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে জীবনের শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে হয় অসহায় পিতা -মাতাকে। আবার সমাজের সবচেয়ে বিষাক্ত ব্যধি, নারী ভ্রুণ হত্যা! মেয়েরা নাকি সমাজের বোঝা? মেয়েরা নাকি অবলা?তাঁদের দ্বারা কোনো কাজই হবার নয়!নারীরা একাধারে কন্যা – জায়া- জননী। কথায় বলে, মায়ের ঋণ শোধ করা যায় না। আবার বাংলায় আরও একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে, যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। যা কেবল নারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সমাজের এক শ্রেণির মানুষজন অদ্যাবদি নারীদেরকে তাচ্ছিল্যপূর্বক অন্ধকারাচ্ছন্ন করে রেখেছে। নারীরা নাকি পুরুষের ন্যায় বলবান নয়।কিন্তু একটা কথা না বলে পারলাম না- পুরুষেরা যদি এতোই বলবান হন, তবে নতুন প্রাণ পৃথিবীতে নিয়ে আসার ক্ষমতা বিধাতা শুধু নারীদেরকে অর্পণ করলেন কেন?
কাজেই প্রত্যেকটি মানুষই নিজ নিজ অবস্থান থেকে শ্রেষ্ঠ। সমাজের কিছুসংখ্যক নারীরা তাঁদের প্রাপ্য সুযোগটা হয়তো তাঁদের পরিবার বা আপনজনের নৈকট্য হতে পাননা।তাই তাঁরা তাঁদের ক্ষমতা জনসমক্ষে প্রদর্শন করতে সক্ষম হননা।
আমার মতে, আসল কথা হচ্ছে মনোবল। মনোবল যদি দৃঢ় থাকে তবে নারীরা এমন এমন কাজ করে পৃথিবীতে নজির গড়ার ক্ষমতা রাখেন যা কিছুসংখ্যক পুরুষ (যাদের দ্বারা সমাজের নারীরা তাচ্ছিল্যের শিকার হন)হয়তো কোনোদিন কল্পনাও করেননি।
তাই যদি কোনোদিন সুযোগ হয়ে ওঠে তবে সর্বাগ্রে সেই অসহায় নারীদের জন্য কোনোকিছু করে নিজের জীবনটা সার্থক করার চেষ্টা করবো।
অঙ্গীকার ||| প্রজ্ঞা চৌধুরী প্রাপ্তি- ক্ষুদে লেখিকা।
০৬/০৯/২০২১ খ্রিস্টাব্দ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান