তুই ছাড়া কে দেবে আগুন !
চিতাকাঠ বর্ষার জলে ভিজে;
শ্মশান জুড়ে জন্ম নিয়েছে মাদি ঘাস;
কে হেঁটেছে!
কে হেঁটেছে নিয়মিত !
পায়ের পড় যে মহাপ্রস্থানের পথে আঁকা;
একের পর এক ধ্বংসের ইতিহাসে লুকিয়ে আছে রূপকথার কিছু গল্প;
সে গল্পের ছবি আঁকছে কোনও এক চিত্রশিল্পী;
জল রঙে নয় , মনের রঙে নয়,
কেবলমাত্র মানুষের রক্তে রক্তে;
এতো চাপ চাপ রক্তের দাগ রাজপথ জুড়ে;
এতো কালো কালো ধোঁয়া আকাশ মুড়ে;
এতো কান্নার শব্দ , শব্দ তরঙ্গে …
এ ভূমি কি ভাবে ধরে রাখবে বুকের ভিতর!
তুই ছাড়া কে ভাসাবে কাগজের নৌকা!
কে ফিরিয়ে দেবে শিশুর শৈশব,
কিশোরীর নূপুর!
দুপুর গড়িয়েছে সবে;
সময়ের বয়স বেড়ে গেলে
পুরানো বটগাছর ডালে এসে বসে হাজার হাজার পরিচিত পাখিরা;
শিকড় কামড়ে ধরতে চায় মাটির গভীরের মাটি,
খনিজ সম্পদ গুলো;
এখন আর প্রেতের দেখা পাওয়া যায় না:
সবটাই যে মৃত মানুষের দখলে চলে গেছে;
সমাজ জুড়ে এতো মৃত মানুষ,
এতো এতো শ্মশান-পথ অন্য কোথাও গ্রহে পাওয়া যাবে কি না কে জানে!
অসহায় মুখ গুলো একটু একটু করে বিমূর্ত হয়ে যাচ্ছে;
ভেসে যাচ্ছে ঘর, উঠান, স্বপ্ন …
ঠিক তখনই দাতা কর্ণ নিজস্বীতে মজে থাকে;
নিয়ে আসে প্রচারের আলোতে;
তবে দিকে দিকে এতো অন্ধকার,
এতো দাঙ্গাবাজ বেড়ে যায় যে দধিচির হাড় খুঁজে বেড়ায় শ্মশানের ডোম;
সে কারণে সেও নিরুদ্দেশ;
আমার যে কেবল তোকেই চাই;
তুই ছাড়া কে সাজাবে চিতাকাঠ,
তুই ছাড়া কে দেবে নতুন আরেক সভ্যতা!
তুই ছাড়া …
––
সোনাঝুরি , দিঘির পাড় বাজার, ফলতা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত