দেশের সংবাদ ফিচার্ড

আশুলিয়ায় সেদিন কী ঘটেছিল?

আশুলিয়ায়-সেদিন-কী-ঘটেছিল

আশুলিয়ায় সেদিন কী ঘটেছিল?

ঢাকা জেলার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির সামনে টাঙানো ব্যানার  । যাতে লেখা পৌরনীতি ও সুশাসন বিভাগের প্রভাষক উৎপল কুমার সরকারের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। নিজ প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে ওই কলেজেই পিটুনির শিকার হয়েছিলেন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে সরজমিন দেখা যায়, সুনসান নীরবতা। শিক্ষক হত্যার বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীরা গেছেন সাভারে মানববন্ধনে যোগ দিতে। দোতলাবিশিষ্ট ভবন। কাজ চলছে তিনতলার। মাঠ রয়েছে দু’টি।

ভবনের সামনে কংক্রিটে বাঁধানো ছোট মাঠ। এখানেই খেলা হচ্ছিল মেয়েদের শর্টপিচ, ইনডোর ক্রিকেট। খুবই ছোট মাঠ। লম্বায় সাড়ে তিন কক্ষ ও প্রস্থে ২৩ কদম মাত্র। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী, মেয়েদের খেলা চলা অবস্থায় ছেলেরা নামতে পারে না নিচতলায়। তবে বল কুড়ানোর জন্য কিছু ছেলে থাকে নিচতলায়। তারমধ্যে একজন ছিল আশরাফুল জিতু। সেদিনই শুরু হয়েছিল আন্তঃশ্রেণি ক্রিক্রেট প্রতিযোগিতা- ২০২২। প্রথম খেলা ছিল ৫ম ও ৮ম শ্রেণির মধ্যে। ৫ম শ্রেণির ক্রিকেট দলের দায়িত্বে ছিলেন উৎপল। খেলা চলাবস্থাতেই চলে যায় বিদ্যুৎ।  খেলার সময় জিতু এদিক-ওদিক হাঁটতে থাকে। উৎপল ছিলেন মাঠের এক কোণায়, ক্যান্টিনের সামনে। হাতে স্ট্যাম্প নিয়ে হাঁটছিল জিতু।

এরপর অতর্কিতই হামলা করে। প্রথমে স্ট্যাম্প দিয়ে দু’বার আঘাত করে মাথায়। এ সময় মাথায় হাত দিয়ে কুঁকড়ে যান শিক্ষক উৎপল। এরপর পেটের কাছে দু’বার আঘাত করলে স্ট্যাম্পের তীক্ষ্ম অংশের আঘাতে ক্ষত হয়ে যায় পেটের অংশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, পুরো ঘটনাটি ঘটে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডের মাঝে। প্রচণ্ড রক্ত ঝরতে থাকে উৎপলের মাথা থেকে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আটকে ফেলেন জিতুকে। উৎপলকে তড়িঘড়ি প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। শিক্ষকরা জিতুর বাবাকে ফোন দিয়ে ডেকে আনেন। কিন্তু তার বাবা আসার আগেই প্রতিষ্ঠান থেকে পালিয়ে যায় জিতু।  তখনো কেউই আঁচ করতে পারেননি কি হতে চলেছে। জিতুকে এলাকায় সেদিন বিকাল পর্যন্ত দেখা যায়। এসেছিল কলেজের পাশেও। কিন্তু শনিবার বিকালে উৎপলের অবস্থা মুমূর্ষু শোনার পর থেকে দেখা যায়নি আর এলাকায়। প্রতিষ্ঠানটির ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা সর্বত্র। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় মেলেনি সে সময়ের ফুটেজ। ঘটনার পরে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির মেইন সুইচ বন্ধ। ধারণা করা যায়, হামলার পূর্বে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে জিতু। জিতু শিক্ষকের ওপর আক্রমণের পর গিয়েছিল আড্ডাস্থলে। যা কলেজ থেকে দু’মিনিটের হাঁটা পথ। চায়ের দোকানদার মিজানুর রহমান বলেন, ‘জিতু দাদা’ এসেই সিগারেট ধরাইলো। আর ঘামতেছিল। খুব অস্থির ছিল। আমি তখনো জানি না কি হইছে।

আমি জিগাইলাম দাদা বহো, এমন করো ক্যা? কিছু না কইয়াই চইল্যা যায়। সেদিনের পর আর আসেনি। তিনি জানান, জিতু ও তার বন্ধুরা এই দোকানেই আড্ডা দেয়। তার সঙ্গে স্কুলের কয়েকজন বন্ধু। অন্য সময় এলাকার সাত থেকে আটজনের একটা গ্রুপ ঘুরে বেড়ায়। তাদের সকলে ‘জিতু দাদা’ গ্রুপ নামে জানে। জিতু বরাবরই এলাকায় উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করতো। এলাকাটিতে বিভিন্ন কলকারখানা থাকায় অধিকাংশই অস্থায়ী বাসিন্দা। ফলে জিতুরা স্থানীয় হওয়ায় ত্রাস সৃষ্টি করে সহজেই। ‘জিতু দাদা’ গ্রুপের এই সদস্যরা এলাকায় উচ্চ শব্দে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়াতো। এলাকায় কোনো ‘গ্যাঞ্জাম’ লাগলেই ডাকা হতো জিতুকে। এছাড়াও এলাকায় ও প্রতিষ্ঠানে ইভটিজিং’র অভিযোগ রয়েছে অহরহ। জিতু দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী হলেও সকলেই বলছেন, তার বয়স বেশি। স্থানীয় এক মাদ্রাসায় পড়তো। অকৃতকার্য হওয়ার পাশাপাশি আছে বিরতিও।

এরপর গত বছর ভর্তি হয় নবম শ্রেণিতে। তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল একাদশ পড়ুয়া এক মেয়ের সঙ্গে। স্কুলে ভর্তি হবার আগে থেকেই তাদের পরিচয়। প্রায়শই বিভিন্ন স্থানে দেখা যেত তাদের। শিক্ষার্থীরা বলছেন, স্কুলের ভেতর ঘনিষ্ঠভাবে চলাচল করা পছন্দ করতো না কেউই। প্রতিষ্ঠানটির শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি শিক্ষক উৎপল বিভিন্ন সময় শাসন করতেন জিতুকে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানে ওই মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে ঘোরাফিরা, উচ্চ গতি ও শব্দ করে মোটরসাইকেল নিয়ে স্কুলে আসা, স্কুলের মাঠে প্রকাশ্যে ধূমপান, মোবাইল ফোন আনা, চুল না কাটা ইত্যাদি অভিযোগ আছে। এ ছাড়াও লেখাপড়ায় অমনোযোগীর অভিযোগও আনা হয় জিতুর বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনার সপ্তাহখানেক আগে জিতু এবং ওই মেয়ের অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয় স্কুলে। এর পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জিতু। জিতুর এক সহপাঠী বলেছে, উৎপল স্যারের ওপর রাগ তার ‘গার্লফ্রেন্ডের’ বাবা-মাকে ডাকার পর থেকেই। স্যারকে বুধবার কিংবা বৃহস্পতিবার ফলোও করেছিল জিতু। হয়তো সেদিনও হামলার পরিকল্পনা ছিল। কলেজের একজন শিক্ষিকা বলেন, জিতুর পরিবার কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে জড়িত। এজন্য একটু সমীহ তো করা লাগতোই। যেমন ওর চুল সব সময় বড় থাকতো। ওকে বলেও যখন কাজ হয় না, তখন অন্যদেরও সেভাবে বলা যায় না কিছু। আর অনেক নারী শিক্ষার্থীই জিতুর নামে অভিযোগ দেয়।

তারা জিতুকে ভয় করেই চলতো। জিতুর বাড়ি কলেজ থেকে হাঁটাপথে পাঁচ মিনিটের রাস্তা। চিত্রাশাইল এলাকায় পাঁচতলা বাড়ি, মা-বাবা ভিলা। বাড়ির নিচে সুমাইয়া স্টোর। সুমাইয়া জিতুর ছোট বোন, পড়ে ওই স্কুলেই নবম শ্রেণিতে। জিতুর বাবা ও জিতু মিলেই চালাতো দোকান। পার্শ্ববর্তী দোকানদার মো. আমিন বলেন, এই দোকানদারিতে খুব একটা মনোযোগ নেই উজ্জ্বল ভাইয়ের (জিতুর বাবা উজ্জ্বল হোসেন)। তার বিভিন্ন ব্যবসা, বাড়ির দেখাশোনা করা, ভাড়াটিয়াদের নিয়ন্ত্রণ করা এসব কাজেই চেম্বার হিসেবে ব্যবহার করেন দোকানকে। জিতুও বসতো দোকানে। জিতু এলাকার বাইরে অনেক কিছু করে শুনেছি।  নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসমিন আক্তার জবা বলেন, জিতু ভাইয়ের বোন সুমাইয়া আমার সহপাঠী। একসঙ্গে সব সময় চলাফেরা করি আমরা। একদিন সুমাইয়ার বাড়ি যাই। জিতু ভাই কেমন জানি নজরে তাকায়। এরপর থেকে আর তাদের বাড়ি যাই না। ফেসবুকে প্রায়শই জ্বালাতন করতো। ব্লক করে দেয়ায় স্কুলের সবার সামনে আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ায় হুমকি দেয়। এরপর সুমাইয়ার হস্তক্ষেপে আর ডিস্টার্ব করেনি। আমার মতো অনেক মেয়েকেই ডিস্টার্ব করতো জিতু।

আমরা অনেক সময় মাঠে জিতুর গ্যাং থাকলে ভিন্ন রাস্তা দিয়ে ঘুরে যেতাম।  অপরদিকে উৎপল ছিলেন কড়া এবং বন্ধুসুলভ শিক্ষক। দশ বছর যাবত চাকরি করছেন এখানে। প্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ। উৎপল মোবাইল আনলে তা জব্দ করতেন। শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার চেষ্টা করতেন প্রতিযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী উৎপল বিবাহিত। মিরপুরে থাকতেন তিনি। তার স্ত্রী সরকারি চাকরি করেন। বান্ধবীর কাছে হিরো সাজতে শিক্ষককে পেটায় জিতু! কলেজের বান্ধবীর কাছে হিরো সাজতে শিক্ষক উৎপল সরকারকে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে পেটায় দশম শ্র্রেণির ছাত্র আশরাফুল আহসান জিতু। এর আগে জিতুকে অযাচিত ঘোরাফেরা করতে নিষেধ করেছিলেন এই শিক্ষক। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জিতু শিক্ষক উৎপল সরকারকে বেধড়ক মারধর করে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র?্যাব’র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র?্যাব’র লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, আশুলিয়ার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন উৎপল সরকার। শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম, ইভটিজিং, ধূমপানসহ শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত বিষয়গুলোও দেখভাল করতেন তিনি। আশরাফুল আহসান জিতু স্কুলের ছাত্র হলেও সে ওই প্রতিষ্ঠানের কলেজ পর্যায়ের একজন ছাত্রীর সঙ্গে অযাচিতভাবে ঘোরাফেরা করে বেড়াতো। বিষয়টি শিক্ষক উৎপল সরকারের চোখে পড়ে। তিনি জিতুকে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেন। এতে ওই ছাত্রীর কাছে নিজের হিরোইজম দেখাতে উৎপল সরকারকে মারধর করে জিতু। ঘটনার পর জিতু পালিয়ে যায়। সে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকতে শুরু করে। বুধবার র‌্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-১ ও র‌্যাব-৪ এর যৌথ অভিযানে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে আশরাফুল আহসান জিতু ওরফে জিতু দাদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুরো বিষয়টি স্বীকার করেছে এই শিক্ষার্থী। র‌্যাব জানায়, পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৫শে জুন ক্রিকেট স্টাম্প স্কুলে নিয়ে আসে এবং তা শ্রেণিকক্ষের পেছনে লুকিয়ে রাখে।

পরে কলেজ মাঠে ছাত্রীদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালীন শিক্ষক উৎপল সরকারকে মাঠের এক কোণে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জিতু স্টাম্প দিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। জিতু শিক্ষক উৎপল সরকারকে প্রথমে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে। পরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তিনি মারা যান। ঘটনার দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত জিতু এলাকায় থাকলেও পরে গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সে প্রথমে মানিকগঞ্জে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায়। সেখানে একরাত থেকে পরদিন আরিচা ফেরিঘাটে যায়। সেখান থেকে ট্রলারে নদী পার হয়ে পাবনার আতাইকুলা তার পরিচিত একজনের বাড়িতে আত্মগোপন করে। পরদিন ভোরে সে আবারো তার অবস্থান পরিবর্তন করতে আতাইকুলা থেকে বাসে কাজীরহাট লঞ্চ টার্মিনালে আসে। লঞ্চে আরিচাঘাট পৌঁছে। সেখান থেকে বাসে গাজীপুরের শ্রীপুরে ধনুয়া গ্রামে এক বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপন করে। সেখান থেকেই জিতুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

আল মঈন বলেন, জিতু প্রথমে স্কুলে পড়াশোনা করতো। পরে সে মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। এরপর আবার সে স্কুলে ভর্তি হয়। সে স্কুলের নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে বর্তমানে দশম শ্রেণিতে পড়তো। জিতুর জেএসসি’র সার্টিফিকেট অনুযায়ী বয়স ১৯ বছর। কিন্তু মামলার এজাহারে তার বয়স ১৬ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সে স্কুলে সবার কাছে উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন সময় শৃঙ্খলাভঙ্গ, মারামারিসহ স্কুলের পরিবেশ নষ্টের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ও স্কুল চলাকালীন ছাত্রীদের ইভটিজিং করতো। স্কুলে সবার সামনে ধূমপান, ইউনিফর্ম ছাড়া স্কুলে আসা-যাওয়া, মোটরসাইকেল নিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করতো। তিনি আরও বলেন, জিতু তার নেতৃত্বে এলাকায় জিতু দাদা নামে একটি কিশোর গ্যাং গড়ে তোলে। গ্যাং সদস্যদের নিয়ে মাইক্রোবাসে বিভিন্ন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতো। পরিবারের কাছে তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে জিতু তার অনুসারী গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হতো। র‌্যাব’র এই মুখপাত্র বলেন, নিহত শিক্ষক উৎপল সরকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তিনি ২০১৩ সালে আশুলিয়ার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ওই কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে জিতুর বাবাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

#মানবজমিন থেকে, পিয়াস সরকার,  আশুলিয়া থেকে ফিরে

 

 


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

সংবাদটি শেয়ার করুন