কানাডার সংবাদ ফিচার্ড

আসন্ন বইমেলায় সাইফুল ইসলাম রিপনের “সাত রাতের কিলিমান্জারো, এগারো রাতের হিমালয়”

আসন্ন বইমেলায় সাইফুল ইসলাম রিপনের “সাত রাতের কিলিমান্জারো, এগারো রাতের হিমালয়”

আসন্ন বইমেলায় প্রবাসী লেখক সাইফুল ইসলাম রিপনের হাইকিং বিষয়ক বই ‘সাত রাতের কিলিমান্জারো এগারো রাতের হিমালয় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। বইটা প্রকাশিত করবে স্বাধীনতার পক্ষের নতুন প্রজন্মের তরুন প্রকাশনি স্বপ্ন ‘৭১।
লেখক সাইফুল ইসলাম রিপন ছোটবেলা থেকেই দূরন্ত স্বভাবের। স্কুলের বন্ধুরা এখনও ক্লাসের সবচেয়ে বেশি দূরন্ত ছেলে হিসাবেই তাকে চেনে। দূরন্তপনার মধ্যে দিয়েই জীবনের সব অভিযানের সঙ্গে অবচেতনভাবেই জড়িয়ে পড়তে থাকে হাইকিং এ। স্কাই ডাইভ, বান্জিজাম্প, স্কুবা ডাইভ কিংবা হাইকিং, এই সবই সেই সব দূরন্তপণার অংশ। পুকুর থেকে নদীতে ঘন্টার পর ঘন্টা গোছল করা। চোখলাল হয়ে ওঠা না পর্যন্ত সাঁতরানো, এগুলি ছিলো প্রত্যেকদিনের ঘটনা। প্রথমে পাহাড়ে উঠেন ১৯৮২ সালে, সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে। কোনো কিছু না জেনে কিংবা কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই উঠে পড়েন সেই পাহাড়ে। কানাডায় অভিবাসনের পরে ক্যালগেরি এসে ২০০৪ থেকে সত্যিকারের অর্থে পাহাড়ে ওঠা শুরু। হাইকিং এর সংখ্যা ৩০০ এর মতো। এভারেষ্ট বেস ক্যাম্পআর কিলিমান্জারো এর ভিতরে উল্লেখযোগ্য।
লেখক, সাইফুল ইসলাম রিপন
 
আলবার্টা রাইটার্স ফোরাম কমিটির নির্বাহী উপদেষ্টা এবং বুয়েট এলামনাই এসোসিয়েশনের সহসভাপতি লেখক, প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম রিপন বইটি সম্পর্কে মিডিয়াকে বলেন, “সাতরাতের কিলিমান্জারো এগারো রাতের হিমালয়” মুলত হাইকিং এর অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। হাইকিং করতে গেলে শুরু থেকে কি কি করতে হবে তার একটা বিশদ বর্ণনা। শারীরিক প্রস্তুতি, মানসিক যোগ্যতা থেকে শুরু করে, কী ধরণের পোশাক, জুতা এবং অনান্য বিষয়াদির প্রয়োজন, তার সঠিক ব্যাখা এই বইয়ে বর্ণিত। এর বাইরে আমার জীবনের শ্রেষ্ট হাইকগুলি থাকছে। আর সাথে সাথে থাকছে একজন হাইকারের জীবনের পথচলার চালিকা শক্তি।
 
উল্লেখ্য লেখক সাইফুল ইসলাম রিপন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষে বাংলাদেশ মেশিন টুলস্ ফ্যাক্টরিতে সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। যন্ত্রকৌশলের নতুন যন্ত্রের উদ্ভাবনছাড়াও ভারী ও হালকা উৎপাদন শিল্পের বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখেন। দেশের বাইরেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মেরমাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পদচারণা করেন। সব শেষে বিশ্বের সবচেয়ে বড় খনিজ তেল উৎপাদক সৌদি আরামকো নামক কোম্পানিতে চাকুরীর মাধ্যমে চাকুরী জীবন শেষ করেন। এর ভেতরে এইটি ব্যাংকক থাইল্যান্ড ও ওয়াইন ষ্টেট ইউনিভার্সিটি, ডেট্রয়েট মিশিগান থেকে দুইটা বিষয়ে স্নাতকত্তর অর্জন করেন।
বর্তমানে কানাডায় প্রবাসী লেখক সাইফুল ইসলাম রিপন ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক।


সংবাদটি শেয়ার করুন