কানাডার সংবাদ ফিচার্ড

মন্ট্রিয়লে আগামীকাল থেকে  শুরু হবে আন্তর্জাতিক  জ্যাজ ফেস্টিভ্যাল

মন্ট্রিয়লে-আগামীকাল-থেকে-শুরু-হবে-আন্তর্জাতিক-জ্যাজ-ফেস্টিভ্যাল

মন্ট্রিয়লে আগামীকাল থেকে  শুরু হবে আন্তর্জাতিক  জ্যাজ ফেস্টিভ্যাল

আগামীকাল ৩০ জুন, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে মন্ট্রিয়লের সবচে বড় বিশ্ব সংগীতের অনুষ্ঠান ফেস্টিভ্যাল ইন্টারন্যাশনাল দ্য জ্যাজ দ্য মরিয়াল ২০২২। বৈশ্বিক মহামারি কোভিডের কারনে দু’বছর বিরতির পর মন্ট্রিয়লের ডাউনটাউনের প্লাস দ্যা আটসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে  আন্তর্জাতিক জ্যাজ ফেস্টিভ্যালের ৪২তম আসর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যেমনি নামিদামি সঙ্গীত শিল্পীরা উপস্থিত হয়েছেন গান পরিবেশনের জন্য ঠিক তেমনি বিভিন্ন দেশ ও শহর থেকে সঙ্গীত পিপাষুরাও উপস্থিত হবেন এমন উৎসবে। চলবে আগামী ৯ জুলাই, রবিবার পর্যন্ত। উৎসব এলাকা বিভিন্ন ধরনের গেইট এবং রকমারি স্টল দিয়ে সাঁজনো হয়েছে, বানানো হয়েছে বিশাল বিশাল মঞ্চ। ‘রিয়ো টিনটো এ্যালকন’ ‘টিডি ব্যাংক’ বিভিন্ন নামে বেশ ক’টি বিশাল মঞ্চ থেকে গান পরিবেশনের পাশাপাশি ছোট ছোট মঞ্চ থেকেও গান পরিবেশিত হবে, এছাড়া ইনডোর গানের আসরতো থাকছেই।  দশদিনব্যাপি বিশ্বখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীর গানের পাশাপাশি রাস্তায় রাস্তায় থাকছে বিভিন্ন রকমের বিনোদন মূলক ম্যাজিক, নৃত্য, শিশু-কিশোরদের জন্য অনুষ্ঠান। জ্যাজের প্রথম দিনে ওয়েদার গুমুটবেঁধে থাকবে যদিও আগামী রবিবার পর্যন্ত আবহাওয়া জ্যাজ ফেস্টিভ্যালের তেমন অনুকুলে নেই রোদ আর মেঘের খেলায় মাখামাখি হয়ে থাকবে।

শৈত্যপ্রবাহ আর তুষারপাতের দেশ বলে খ্যাত কানাডার মন্ট্রিয়লে সামার মানে সম্পূন্ন ভিন্নরকমের অবিশ্বাস্য একটি শহর। সামারে কানাডার বিভিন্ন প্রদেশের শহরে শহরে রকমারি অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। সামার মানেই বিভিন্ন উৎসবের শহর, আনন্দের শহর, বিনোদনের শহর। সাউন্ড সিস্টেমে মিউজিকের ঝংকার আর ক্যামেরার ক্লিকে শত শত, হাজার হাজার  পর্যটকের পদভারে মুখরিত শহর।  প্রবল তুষারপাত আর জীবন যুদ্ধের বিরতীহীন ক্লান্ত জীবনে সামার মানেই দুদন্ড বিনোদন আর আনন্দ উপভোগের সময়। পরিবার পরিজন নিয়ে একান্তে কিছুটা ক্ষণ যাপনের সময়। বহুদেশ, বহুজাতি, বহুমুখী  সংস্কৃতি আর বহুমুখি সৌন্দর্যের দেশ কানাডার ক্যুইবেক প্রদেশের সেন্ট লঁরা নদীর পাদদেশে আইল্যান্ডের নাম মন্ট্রিয়ল। মন্ট্রিয়লের পাশে রয়েছে নদী ডেম্প, আর সবুজ বনানীঘেরা বনাঞ্চল। শীতকালে সাদা তুষারপাতে ঢেকে রাখে সব কিছু যেমনি, সামারেও দেখার মতো সবুজে সবুজ। আবার সামারের শেষান্তে ম্যাপল  পাতার বাহারি রং। কী অদ্ভুত সুন্দর ম্যাপল পাতা। মনে হয় যেনো তাবৎ পৃথিবীটাই রঙ্গীন অদ্ভুত সুন্দর। সামারে ঝাঁকে ঝাঁকে  বিভিন্ন জাতের পাখিরা সারিবব্ধ হয়ে নীলাকাশের নীচ দিয়ে কি সুন্দরভাবে কানাডায় ফিরে আসে খাবারের সন্ধানে, লেইকগুলো ভরে যায় পাখির কলকাকলিতে, আর নদীগুলো ভরে যায় স্পীড বুট আর রকমারী নৌপরিবহনের পর্যটকদের ভীড়ে। একের পর ফেস্টিভ্যালের জন্য পর্যটকদের আগমনে আর মিউজিকের শব্দে আনন্দ উল্লাসে মেথে উঠে মন্ট্রিয়ল। ফ্রাঙ্কো, আন্তর্জাতিক জ্যাজ ফেস্ট, জাস্ট ফর লাফ্স, ফেস্টিভ্যাল ইন্টারন্যাশনাল নূঁই দাফ্রিকান, গেঁই ফেস্ট, আর্ট ফেস্টিভ্যাল, বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসব, ফায়ার ওয়ার্কস,  ফেন্টাসিয়া, নেটিভ ফ্যাস্টিভ্যালসহ কত রকমারি উৎসবে নান্দনিক সাঁজে আর লাখো মানুষের কলরবে জেগে ওঠে মন্ট্রিয়ল।

মূলত সারা বছরবব্যাপী বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান থাকলেও মে মাস থেকেই উৎসবগুলোতে মানুষের বহর বেড়ে চলে। জুন মাসের শুরুতে গ্রান্ডপ্রি কিংবা কার রেইস প্রতিযোগিতা শেষ হতে না হতেই ক্যুইবেকবাসীদের প্রিয় সঙ্গীত উৎসব ফ্রাঙ্কো জুন মাসের মাঝামাঝি শেষ হতে না হতেই জ্যাজ ফেস্ট-এর প্রস্তুতি। ৩০ জুন থেকে শুরু হবে ৪২ তম আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন জ্যাজ ফেস্টিভ্যাল, চলবে ৯ জুলাই পর্যন্ত ডাউন টাউনের প্লাস দ্যা আর্টসে। ১লা জুলাই ১৫০তম কানাডা দিবস উপলক্ষে সারাদিনব্যাপি চলবে বিশেষ বিশেষ রকমারি অনুষ্ঠান। সারা কানাডার মতো মন্ট্রিয়লের ওল্ড পোর্টে সকাল থেকে অনুষ্ঠানের যাত্রা শুরু হবে, বিশাল নান্দনিক প্যারেডের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন রকমের প্রদর্শনী আর রাতে ওল্ড মন্ট্রিয়লের পোর্টে চলবে ফায়ার ওয়ার্কস। মন্ট্রিয়লে প্রত্যেকটা উৎসবই দেখার মতো। হাজার হাজার মানুষের মিলন মেলায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠে উৎসবগুলো। এই পরবাসের কষ্টকঠিন সময়ের মাঝে একটু প্রশান্তির জন্য, একটু বিনোদনের জন্য মন্ট্রিয়লে বসবাসরত প্রবাসীরা পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে আসুন  উৎসব গুলোতে। নিশ্চিত ভালো লাগবে। এ সব ক’টি অনুষ্ঠানের নিউজ ও ছবি এবং ভিডিও ফুটেজ কভারেজ করার জন্য বিগত বছরের মতো এবছরও সিবিএনএ’এর নির্বাহী সদেরা সুজন মনোনিত হয়েছেন। নিউজ ও ছবির জন্য চোখ রাখুন সিবিএনএ২৪ডটকমে, এবং ফেসবুক, টুইটারসহ স্যোশাল মিডিয়াতে।

 



 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন