জার্মানিতে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিবাদ লিপি হস্তান্তর
জার্মানির বন শহরে অবস্থিত দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘ডয়চে ভেলে’র বাংলা বিভাগে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ডয়চে ভেলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করে জার্মান আওয়ামী লীগ।
সমাবেশে জার্মান আওয়ামী লীগ, জার্মান আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং জার্মানির বিভিন্ন শহর থেকে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালি অংশ নেন।
জার্মান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূঁইয়া বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় থেকে জার্মানিতে বসবাস করছি। বাংলাদেশিরা ইতোপূর্বে কখনই ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের এহেন বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্ত দেখতে পাইনি। আমরা অবিলম্বে বাংলাদেশবিরোধী মিথ্যা প্রচার-প্রচারণা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অনারারী কনসোল ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, মাবু জাফর স্বপন, শবনম মিয়া কেয়া, কামাল ভূইয়া, ফিরোজ আহমেদ, আলমগীর আলী আলম, এনাম চৌধুরী, আবদুল সালাম খোকন, সগির খান, মঈন খান, আবদুল মালেক, শাহরিয়ার রাজু, জার্মান স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খান সাবরা, নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খানসহ আরও অনেকে।
জার্মান আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ডয়চে ভেলের কর্মকর্তাদের কাছে দেওয়া প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিককালে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠানগুলিতে বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। জার্মানির জনগণের করের অর্থায়নে পরিচালিত এই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিছু ব্যক্তি, তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ ও মতামত ডয়চে ভেলের মাধ্যমে প্রচার করছে। ডয়েচে ভেলে বাংলা বিভাগ ক্রমাগতভাবে অনেকগুলি নেতিবাচক প্রতিবেদন তৈরি করছে। যা বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবার অপপ্রয়াস বলে আমরা মনে করি।
এতে আরও বলা হয়, ডয়েচে ভেলের অনুষ্ঠান বিষয়ক কার্যপ্রণালী বিধিতে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, তাদের অনুষ্ঠানগুলি অবশ্যই জনগণের স্বাধীন মতামত তৈরিতে সহয়তা করবে এবং একতরফাভাবে কোনো দল বা রাজনৈতিক, ধর্মীয় সম্প্রদায়, পেশাজীবী বা বিশেষ কোনো সম্প্রদায়কে সমর্থন করবে না বা উস্কে দেবে না। প্রতিবেদনগুলি যথেষ্ট স্বচ্ছ, বাস্তবসম্মত ও সত্য হতে হবে। এ ছাড়া ডয়েচে ভেলে এমন কোনো অনুষ্ঠান করবে না, যাতে করে জার্মানির সঙ্গে অন্যান্য দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি কুচক্রীমহলের ইন্ধনে ও অর্থায়নে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক ভূয়া রিপোর্ট তৈরি করে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে যা অনৈতিক। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ ও র্যা বের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে যা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, বলা হয় প্রতিবাদ লিপিতে।