রথে থাকা ছোটবেলা ।।।। শীতল চট্টোপাধ্যায়
দৃশ্য পথে যে রথ চলে
জীবন চলা যে রথ বলে ,
ওই রথেতে খুঁজলে পরেই
প্রাণ প্রতিরূপ প্রতি পলে ৷
রথের চাকা রশির টানে
যায় এগিয়ে সমুখ পানে ,
রথে ঠাকুর পথে যেতে
মানুষে রথ চলমানে ৷
এগোচ্ছে রথ মেলা ছেড়ে
সারথি হাত দেখায় নেড়ে ,
রথে থাকা ছোটবেলা
সবাই আবার নিচ্ছে কেড়ে ৷
রথ খেতাবের ইতিহাসে
রাধারানী মেলায় আসে ,
গরিবি নয় , শখের মালা
গাঁথতে রথে ভালোবাসে ৷
রথে যদি বৃষ্টি ঝরে
ফিরতে রাধা’ টোটো ধরে ,
তাকে ছুঁতে জল ও কাদা
নেই যে কোথাও পথ ওপরে ৷
ফেরার পথে সেই যে রাধার
পথ হারানো পথের আঁধার ,
আজ সে পথের হ্যালোজেনে
কেউ ধরেনা রাধার হাত আর !
প্রতিচ্ছবি
রথ চলার চলমান ছবিতে
পৃথিবী চলমানতার প্রতিচ্ছবি ৷
রথাকৃতির কোনারকের সূর্যমন্দিরের স্থপত্যে
থমকানো রথ চাকাও
চলমান ও গতিময়ে স্পর্শ করে
মানব মনের – মন গতিকে ৷
চলমান বিশ্বরূপ একটি রথের রূপে ,
সেই রথ চালনার ঈশ্বর শক্তি প্রতিরূপে
জগন্নাথ রূপের দর্শণ পাওয়া ৷
যে রূপের অলক্ষ্যে ঈশ্বর চালিত রথে চলে –
মানুষ,বাতাস,বৃষ্টি,স্বর্গাদ্বা
শ্মশান শিখা , সাগরের ছুটন্ত ঢেউ ৷
ভিন্ন আকার , বিভিন্ন দৃশ্যমানতায়
একই রথের চলায় ৷
কথাটা স্মরণ করাতেই
মানুষের মাঝে জগন্নাথ আসেন রথের দিনে ৷
জগদ্দল , উত্তর ২৪ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ , ভারতবর্ষ