কানাডার সংবাদ ফিচার্ড

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও আধিবাসীদের উপর হামলার প্রতিবাদে কানাডাতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও আধিবাসীদের উপর হামলার প্রতিবাদে কানাডাতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
বাংলাদেশে চলমান সাম্প্রদায়িক ও পাহাড়ী আধিবাসীদের উপর হামলার প্রতিবাদে কানাডার রাজধানী অটোয়াতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে  কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বজনরা। গতকাল সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী অটোয়াস্থ কানাডা পার্লামেন্টের সামনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় সহস্রাধীক প্রবাসীর মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠেছিলো পার্লামেন্ট ভবনের সম্মুখস্থল। মূলধারার মানুষরা এই বিশাল সমাবেশ ও মিছিল দেখে সমর্থণ জানায়।  বিভিন্ন ধরনের রকমারী ব্যানার ও পোষ্টার, ফেস্টুন হাতে নারী ও শিশুদের উপস্থিতি ছিল দেখার মত। এতে বাংলাদেশ হিন্দু কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কানাডা পার্লামেন্টের বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যরা বক্তব্য দেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পাশে তাঁরা থাকবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। ইতোপূর্বে কানাডার পার্লামেন্টে সরকারী দলের একজন সংসদ সদস্য বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের পুরো ইতিহাস পরিসখ্যান তুলে ধরেন।

কানাডার বিভিন্ন দলের সংসদ সদস্যরা সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন

গতকালের বিক্ষোভ সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন। তবে সম্প্রতি এটি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পয়েছে। গত ৫আগস্টের পর থেকে এর পরিমাণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তারা দ্রুত এর সমাধান চান।

গত ৫আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ঘটনা ঘটে চলছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এর তথ্য মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে গত ৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত ২ হাজার ১০টি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৯ জন নিহত হয়েছেন। চারজন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে একজন বাক্প্রতিবন্ধী। ২ হাজার ১০টি সাম্প্রদায়িক হামলার মধ্যে ৯ জনকে হত্যা, ৪ জনকে ধর্ষণ/গণধর্ষণ, ৬৯টি উপাসনালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ; ৯১৫টি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ; ৯৫৩টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ; বসতবাড়ি দখল একটি; ৩৮টি শারীরিক নির্যাতন এবং ২১টি জমি/ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার পাহাড়িদের অন্তত ৩০টি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

সংবাদটি শেয়ার করুন